১৫ বছরে ২ হাজার শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ইসরায়েলি সেনাদের হাতে গত ১৫ বছরে অন্তত ২ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোর মারা গেছে। ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ, জলপাই বাগানে আগুন, হামলার প্রতিবাদ জানানোর সময়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলি কিংবা আটক করার পর নির্যাতনে এসব শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়। একটি এনজিওর পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইন গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমালোচনা করে বলে, দেশটির সরকারের আগ্রাসী নীতি, ফিলিস্তিনি ভূমি দখল, নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের ইসরায়েলি সেনারা ধরে নিয়ে যায়, গুলি করে হত্যা করে অথবা কারাগারে আটক শিশু-কিশোররা নির্যাতনে মারা যায়। জেরুজালেম ও পশ্চিত তীরে প্রায়ই এধরনের ঘটনা ঘটায় ইসরায়েলি সেনারা।
জেনেভা ভিত্তিক এ এনজিওর প্রতিবেদনে বলা হয় অধিকাংশ ফিলিস্তিনি শিশু ও কিশোর ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে মারা যায়। পাথর ছুড়ে প্রতিবাদ জানাতে গেল তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে ইসরায়েলিরা সেনারা। ইসরায়েলি সেনারা ছাড়াও দেশটির নাগরিকরা যখন ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি দখল করে নেয় তখনও তারা নির্যাতনের শিকার হয়। গত বছর পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। কিন্তু এসব ঘটনার কোনোটিতে গুলি করার মত কোনো পরিস্থিতি ছিল না বলে এনজিওটির প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে এপর্যন্ত ৫৫৩ জন শিশু ইসরায়েলি সেনাদের সরাসরি গুলিতে মারা গেছে। নিহত শিশুদের ৬৮ ভাগেরই বয়স ১২ বছরের কম। ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে ইসরায়েলি সেনারা জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। এবং তা চলে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ২২’শ ফিলিস্তিনি নিহত হয় যাদের মধ্যে ৫৭৭ জন শিশু ছিল। গুরুতর আহত হয় ১১ হাজার ১’শ জন, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৭৪ জন শিশু, ২ হাজার ৮৮ জন নারী ও ৪১০ জন বয়োবৃদ্ধ মানুষ।
অথচ ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের ১২০টি স্থানে অবৈধ বসতি গড়ে ইসরায়েলের ৫ লাখ মানুষ বসবাস করছে। ফিলিস্তিনের মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে কিন্তু তাতে কোনো কান দিচ্ছে না ইসরায়েল।