৫ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ইমরান খান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০২৩
দেশ ডেস্ক:: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদ আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে ইমরান খান ২০২৮ সাল পর্যন্ত এমপি হিসেবে থাকতে পারবেন না এবং সরকারি দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না। বিবিসির খবর।
এদিকে তোশাখানা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন ইমরান খান। গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) এ আপিল করা হয়। দ্য ডনের খবরে বলা হয়, আজ বুধবার আইএইচসির প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।
এর আগে শনিবার তোশাখানা মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ রুপি জরিমানা করেন ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত। পাশাপাশি সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই তাঁকে লাহোরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপিলে ইমরানের দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে ‘আইনসম্মত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার এক দিন আগে জেলা বিচারিক আদালত সাক্ষীদের একটি তালিকা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, বিবাদীর সাক্ষ্য না শুনে দোষী সাব্যস্ত করা ‘ন্যায়বিচারের প্রতি চরম অবমাননা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায্য বিচারের মুখে একটি থাপ্পড়’। রায়টি উচ্চ আদালতের আদেশেরও লঙ্ঘন ছিল। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে মামলাটিতে প্রকৃত ফৌজদারি অভিযোগে জড়িত কিনা, তা পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
বারবার সমন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অমান্য করে ৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শুনানিতে উপস্থিত হতে অস্বীকার করার পর আদালত বিচার ত্বরান্বিত করেছিলেন।
শনিবার ইমরানকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন দেশটিতে বড় ধরনের কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। অথচ কয়েক মাস আগে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এবার কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর গন্তব্য গোপন করা হয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যমকে ‘বোকা’ বানাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশে কয়েকটি কনভয় ছিল। গ্রেপ্তারের আগেই কয়েক ডজন লোককে আটক এবং বড় শহরগুলোয় উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন আগামী মার্চ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্টস (সিসিআই) নতুন জনশুমারি অনুমোদন করার পর এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে। ফলে নির্বাচনী আসনের সীমানা নতুনভাবে সাজাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।