ভাইয়ের হাতে খুন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০১৫
শরীয়তপুরের জাজিরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ভাই আরেক ভাইকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে, হত্যাকারীরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের সমর্থকরা ৩০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করে ২০টি গরু ১০টি ছাগল, ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে।
নিহতের প্রতিবেশী চাচাত ভাই লিটন মাদবর বলেন, জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের চর খোরাতলা গ্রামের সোলায়মান মাদবর ৫ ছেলে রেখে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে তার রেখে যাওয়া স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সকল ছেলেরা সমান ভাবে ভাগবাটোয়ারা করে ভোগ দখল করছেন। কিন্তু নিহত (সোলায়মান মাদবরের মা আনজু বিবি) সামাদ মাদবরের দাদি মারা যাওয়ার আগে ৪৮ শতাংশ জমি তার বড় নাতি অর্থাৎ নিহত সামাদ মাদবরের নামে লিখে দিয়ে যান। নিহত সামাদ মাদবরের চার ভাই দাদির দেয়া জমির সমান ভাগ চায়। বড় ভাই সামাদ জমির ভাগ দিতে রাজি নয়। এ জমি নিয়ে ৫ ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে। বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ৯টায় সামাদ মাদবর (৬০) পার্শ্ববতী গঙ্গানগর এলাকা থেকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির প্রায় কাছাকাছি বিলের মাঝে পৌঁছানো মাত্র তাকে বেড় দিয়ে তার ছোট ভাই মোতালেব মাদবর ও মালেক মাদবর তাদের সহযোগীদের নিয়ে এলোপাতাড়ি ডেগার দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় সামাদ মাদবর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দেয়। আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার পর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
লুটপাটের ঘটনা অস্বীকার করে জাজিরা থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।