বিশাল ভূগর্ভস্থ মহাসাগরের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশ ডেস্ক:: সাম্প্রতিককালে নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার উঠে আসছে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মনকে বরাবরই বিস্মিত করছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই আরেকটি বিস্ময়কর আবিষ্কার করেছেন। এবার তারা পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা এক বিশাল মহাসাগরের সন্ধান পেয়েছেন। গত শনিবার জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ভূগর্ভস্থ এ মহাসাগরকে তারা পানির বিশাল জলধারা হিসেবে আবিষ্কার করেছেন। যা ভূপৃষ্ঠের ৪০০ মাইল নিচে ‘রিংউডাই’ নামে পরিচিত শিলায় সঞ্চিত রয়েছে।
ইন্ডি১০০ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এর আগে আবিষ্কার করেছিলেন পানি স্পঞ্জের মতো অবস্থায় ম্যান্টল রকের ভিতরে সঞ্চিত থাকে। যা পানির তরল, কঠিন বা বায়বীয় না বরং অন্য এক অবস্থা।
২০১৪ সালে ‘ডিহাইড্রেশন মেল্টিং অ্যাট দ্য লোয়ার ম্যান্টল’ শিরোনামে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সে সময় যে দলটি এ আবিষ্কার করেছিল তার অংশ ছিলেন ভূপদার্থবিদ স্টিভ জ্যাকবসেন।
তখন স্টিভ জ্যাকবসেন বলেছিলেন, ‘রিংউডাইট একটি স্পঞ্জের মতো। এটি জল চুষে নেয়। রিংআউটের স্ফটিক কাঠামোর খুব বিশেষ একটা ব্যাপার আছে। যা এটিকে হাইড্রোজেনকে আকৃষ্ট করতে ও পানি আটকে রাখতে দেয়। এ খনিজটি গভীর ম্যান্টলের অবস্থার অধীনে প্রচুর পরিমাণে পানি ধারণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা অবশেষে পুরো পৃথিবীর পানিচক্রের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। যা আমাদের আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহের পৃষ্ঠে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণের তরল পানির অস্তিত্বের ব্যাখ্যা প্রদানে সাহায্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরেই এই হারিয়ে যাওয়া গভীর জলের সন্ধান করছিলেন।’
বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করার পরে এই ফলাফলগুলো পান। তারা আবিষ্কার করেন যে, সিসমোমিটারগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠে শকওয়েভের সৃষ্টি করছে। যার ফলে রিংউডাইটে যে পানি আটকে রাখা হচ্ছে তা তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হন।
বিজ্ঞানীদের মতে, এ শিলায় যদি কেবল ১ শতাংশ পানি থাকে, তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিচে ভূপৃষ্ঠের সমুদ্রের তুলনায় তিনগুণ বেশি পানি রয়েছে।
সূত্র : জিও নিউজ