সুইন্ডনে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩
এম এ আউয়াল, সুইন্ডন থেকে:: বাংলাদেশ এসোসিয়েশন সুইন্ডনের উদ্যোগে প্রাণের মেলা ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ মে রোববার স্থানীয় পারিংডন পার্কে তৃতীয় বারের মতো এই মেলার আয়োজন করা হয়। এতে সুইন্ডনে বসবাসরত বাঙালীদের পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা-ভাষীর মানুষ অংশ নেন।
শুরুতেই প্রধান অতিথি সুইন্ডনের মেয়র কাউন্সিলার আব্দুল আমিন স্বাগত জানিয়ে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মজম্মিল আলী, সাবেক সহ সভাপতি নোয়াব আলী, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কাদির মিয়া, আহাদ আলী, ডা: রাফি আহমেদ, বাবু স্বপন রয় ও বাবু সুমন রয়। তরুণ কমিনিউনিটি নেতাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রকীব আলী, মেহরান চৌধুরী ও ওয়ালিদ মিয়া হেলাল। মহিলাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইয়াছমিন চৌধুরী মনি, চম্পা সাহা, কাকলী দাস প্রমুখ।
এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ কাহার বলেন, ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মকে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। স্থানীয় একঝাঁক প্রতিভাবান সংস্কৃতি কর্মীদের মন মাতানো গান, নাচ ফ্যাশন শো ও শিশুদের পারফরমেন্স ছিল মেলার মূল আকর্ষণ।

সুইন্ডন বাঙালীদের পক্ষে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিচালনা ছিলেন শাহানুর চৌধুরী রানা। সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী বাউল আব্দুল শহীদ, মমতা দাস, আশরাফ চৌধুরী, আব্দুল রশীদ, বিথী সাহা, আনন্দিতা রয়। এবারের মেলা প্রাঙ্গণে দর্শক-অতিথিতে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। শুধু ইংল্যান্ড প্রবাসী বাঙালিরাই নয়, অন্যান্য ভাষা-ভাষী অতিথিদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। দূর-দূরান্ত থেকেও মেলায় অগণিত দর্শকদের সমাগম ঘটে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণরাও বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে মেলাতে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও মেলায় উপস্থিত হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, কবি ও সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বৃটিশ বাংলাদেশিরা। মেলায় বাঙালি খাবার ও দেশীয় পোশাকের নানারকম স্টল ছিল। খাবারের স্টলগুলোতে ছিল নানা ধরনের মুখরোচক দেশীয় খাবারসহ পুরি, চটপটি, পিঁয়াজু, হালিম, জিলাপি, সিঙ্গারা বিরানি সহ রকমারি পিঠা ও মিষ্টি। আর তৈরি পোশাকের স্টলগুলোতে ছিল সালোয়ার কামিজ, জামদানি ও অন্যান্য তাঁতের শাড়ির বিপুল সমাহার।
বৈশাখী মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন রকমের রাইড দর্শকদের নাগরদোলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে, তেমনি ছোট ছোট বাচ্চাদের সারাবেলা আনন্দে মাতিয়ে রেখেছিল। বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষে মেলার সার্বিক তত্বাবধে ছিলেন মোস্তাক আহমেদ ও এম এ আউয়াল।
সহযোগিতায় ছিলেন সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, এীডা এ কালচারাল সম্পাদক আকলাকুর রহমান মাসুম, শিক্ষা স¤পাদক মিজান মিয়া, মহিলা সম্পাদক জিয়াসমিন আরা সোনালী, কার্যকারী সদস্য রাজু মালাকার রাজু। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

