সিভিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৫২ বাংলা সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম অভি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০২৩
ব্রিটেনের রাজার রাজ্যাভিষেকের বছর টাওয়ার হ্যামলেটস বারা কাউন্সিলের মর্যাদাকর সিভিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মানবিক ও সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত কবি সাংবাদিক ও সংগঠক আনোয়ারুল ইসলাম অভি।
গত ০২ মে মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের দ্যা আর্টস প্যাভিলিয়নে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের উদ্যোগে বারার স্পিকার কাউন্সিলার শাফি আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন স্পিকার কাউন্সিলার শাফি আহমেদ, ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার মায়ুম তালুকদার, ইন্টারমিন চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিপেন হ্যালসি।
সিভিক অ্যাওয়ার্ডের রীতি অনুযায়ী, অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি,পরিবারের কয়েকজন, অ্যাওয়ার্ডের নমিনেটর, নির্বাচিত কাউন্সিলার এবং ডেমোক্রেটিক সার্ভিস এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টাওয়ার হ্যামলেটস বারা কাউন্সিলের সিভিক অ্যাওয়ার্ড একটি সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড। প্রতি বছর একটি নিরপেক্ষ বোর্ডের মাধ্যমে সামাজিক,সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকতা এবং চ্যারিটি কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবার মোট ১২ জনকে সিভিক সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম অভি দীর্ঘ দুই যুগ থেকে কমিউনিটিতে বিভিন্ন মানবিক ও চ্যারিটি কাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতা ও সাংগঠনিকভাবে কাজ করে আসছেন। মানবিক, সেবা ও চ্যারিটি কাজে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে সিভিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ মনোনীত করা হয়।
উল্লেখ্য, আনোয়ারুল ইসলাম অভি ৫২বাংলা ও ওয়েব পোর্টাল ৫২বাংলাটিভি ডটকম এর সম্পাদক ও পরিচালক। একজন কবি ও সৃজনশীল লেখক হিসাবেও পাঠকের কাছে তিনি পরিচিতি। তার প্রকাশিত বই তিনটি। তিনি শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ওয়েভজিন পলল ডটকো ডটইউকে এর সম্পাদক।
আনোয়ারুল ইসলাম অভির দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ (বড়বাড়ি) গ্রামে। সহধর্মিণী ও তিন মেয়ে নিয়ে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
তার বাবা প্রয়াত অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সমছুল ইসলাম ও মা করিমা খানম। চার বোন ও দুই মিলে অসহায় মানুষের কল্যাণে আদর্শ শিক্ষক ব্যক্তিত্ব বাবা সমছুল ইসলাম ও মা করিমা ইসলামের নামে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত –‘সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশন’বিশেষ করে শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব কাজের মাধ্যমে সমাজে আলো ছড়াচ্ছে। অন্ধকারে আলো শ্লোগানে কাজ করা ফাউন্ডেশনের তিনি প্রধান নির্বাহী।
অভি লন্ডনে প্রায় এক দশক হেলথ এন্ড সোশ্যাল কেয়ার এর একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে টিম লীডার হিসাবে কাজ করেন। যেখানে ইক্যুালিটি এন্ড ডাইভাসিটি, রেইজিন কনসার্ণ এন্ড হুইসেল ব্লোইং ,ফাস্ট এইড এওয়ারনেস, প্রফেশনাল বাওয়ান্ডরিস এন্ড কনফিডেনশিয়ালিটি , আনডারস্টেডিং দ্যা অরগানাইজেশন ইত্যাদি বিষয়ে স্টাফ প্রশিক্ষক হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বাংলাদেশে তিনি জাতীয় দৈনিক বাংলাবাজার, দৈনিক আজকের সিলেট এর প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন। ছাত্রাবস্থা থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এর বইপড়া আন্দোলনের একজন একনিষ্ট কর্মী সহ নানা মানবিক কাজে চিহ্ন রেখেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

