দেশ-বিদেশে মাতৃভাষা চর্চার আবশ্যকতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মো. আনোয়ার হুসাইন:: স্বর্গীয় ভাষা আরবী, এজন্য মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন আরবী ভাষায় নাজিল হয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তার বৈজ্ঞানিক আইডলজি ফিলোসপি’র গবেষণা করলে এটা পাওয়া যায়, তিনি সকল সৃষ্টির জন্য স্বতন্ত্র ভাষা দিয়েছেন। এবং যে যেই ভাষায় কথা বলেনা কেন, স্রষ্টা সে-ভাষা বুঝতে পারেন। মহান কুদরতি মহিমায় তিনি সেটা ভাষান্তরিত করতে পারেন। সুবহানাল্লাহ! পৃথিবীর প্রায় দুইশো দেশের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি মানুষ বসবাস করছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এদের মধ্যে ৭১১১টি ভাষা রয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাভাষার বিকাশ হয়েছে আজ হতে ১৩০০ বছর পূর্বে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানা ১,৪৮,৪৬০ বর্গ কিলোমিটার তার মধ্যে রয়েছে ৬৮ হাজার গ্রাম। ৪৬০ টি উপজেলা। এ দেশটিতে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে ৯৫% মানুষের মুখের ভাষা হচ্ছে বাংলা ভাষা। তার মধ্যে ৫% নাগরিকের মধ্যে রয়েছে খাসিয়া, মনিপুরী, চাকমা প্রভৃতি উপজাতি। এদের রয়েছে যার যার নিজস্ব বর্ণমালা ও ভাষা স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য। রয়েছে অঞ্চল ভিত্তিক কৃষ্টি কালচার ও সাহিত্য সংস্কৃতি।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়-সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ পূণ্য ভূমি-অলিকুল শীরমণী হযরত শাহ জালাল র: এর স্মৃতি বিজড়িত সিলেটের কথা। মূলত এই সিলেটের স্বতন্ত্র স্বাধীন একটি ভাষা রয়েছে। এই ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। কৃষ্টি, ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে।
ভারতের করিমগঞ্জ, আসাম, মেঘালয়,শিলং, চেরাপুঞ্জি ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষ সিলটি বর্ণমালায় শিক্ষা গ্রহণ করে। এ অঞ্চলের স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতিতে জড়িয়ে রয়েছে সিলেটি ভাষা। কিন্তু ১৯৪৭ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পরে সিলেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভারত থেকে। যার ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে সেই ঐতিহাসিক সিলেটি ভাষা। সিলেট অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার সাথে সিলেটি ভাষা চর্চা না থাকায় ক্রমশবাংলা ভাষার গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে যায় সিলেটি ভাষা। তার পরেও মাতৃভাষা হিসেবে সিলেটের মানুষ সিলটি ভাষায় কথা বলে মনের ভাব বিনিময় করে। স্কুলে সিলেটি ভাষা শিক্ষার সুযোগ না থাকায় নতুন প্রজন্ম এ ভাষার বর্ণমালা চিনে না- জানেনা, তাই লিখতেও পারে না ? কিন্তু চাকমা, মনিপুরী, খাসিয়া উপজাতির দিকে তাকালে দেখা যায় ওরা রাষ্ট্র ভাষা বাংলার পাশাপাশি তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে নিজের স্বতন্ত্র ভাষা শিক্ষা দান করে। যার ফলশ্রুতিতে তাদের নিজস্ব ভাষা কোনো ভাষার গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। দুঃখজনক সিলেটের মানুষের মাঝে এ চিন্তা চেতনা নেই। কোনো পরিকল্পনা নেই!
গবেষণা করলে দেখা যায়, বাংলা ভাষায় বহু ভাষার শব্দের সংমিশ্রণ ঘটেছে। এ মিশ্রণের কারণ হলো এ দেশকে শাসন করেছে ইরান, আফগান,আরব, ইংরেজ জাতির লোকজন। অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, বাংলা ভাষায় আরবি, ফার্সি, উর্দু, আফগান, ইংরেজি ভাষার অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় মিশ্রিত হয়েছে। মূলত বাংলা ভাষা ছিলো একটা রাজকীয় ভাষা, রাজা বাদশা নবাব সম্রাট সকলের ভাষা ছিল বাংলা ভাষা। চট্টগ্রামের বৃহত্তর অঞ্চল এবং বার্মা নিয়ে ছিল মুসলিম রাজ্য। তার নাম ছিল আরাকান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সেই রাজ্যের বিখ্যাত কবি আলাওল বাংলা ভাষায় অনেক কবিতা গ্রন্থ লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ভারতের মুসলিম সাম্রাজ্যের ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবর বাংলা ভাষা চর্চা করেছেন। তিনি বাংলা ক্যালেন্ডার অর্থাৎ বাংলা সাল গণনা চালু করেছিলেন। চর্চাপদ হচ্ছে বাংলা ভাষার লিখিত প্রথম নিদর্শন। বাংলা ভাষা চর্চা করেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি নজরুল, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, জসিম উদ্দিন, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর, সৈয়দ মুজতবা আলী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষায় গীতাঞ্জলি লিখে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। ইসলামের দর্শন ইসলামের শিক্ষা সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যের মধ্যে বিরাট একটা দখল রয়েছে বাংলা ভাষার। এটাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
২০২২ সালে শিক্ষামন্ত্রী দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১৯,১৯৯ টি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মূল ভাষা হচ্ছে বাংলা ভাষা। ওদের মাঝে সুমধুর বাংলা ভাষা চর্চা আরও বেশি করে বিকশিত করতে হবে। পৃথিবীর ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হচ্ছে বাংলাভাষা। ব্যবহারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাভাষা পৃথিবীর বুকে একটি মধুর ভাষা হিসেবে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, পৃথিবীতে বহু দেশে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার সন্মান ও স্বীকৃতি দান করা হয়েছে। আফ্রিকার লিওন দেশে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা, শিলং, মিজুরাম,আসাম,এ পাকিস্তানের করাচী শহর, বাংলাভাষা দাপ্তরিক মর্যাদা পেয়েছে। এর সাথে বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাঙালী। তাদের মাতৃভাষা হচ্ছে বাংলা। স্কুল কলেজে ভিন্ন ধরনের ভাষায় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও ওরা বাবা মায়ের সাথে মাতৃভাষায় কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকেন। এ পরবাসী নতুন প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষা জীবন্ত রাখতে নেই কোনো চিন্তা ভাবনা, নেই কোনো গবেষণা!
দেখা যায়, বৃটেনের মাটিতে বৃটিশ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ। এদের সন্তানেরা মূলত ইংরেজি ভাষায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে, কিন্তু এদের মাতৃভাষা হচ্ছে সিলেটি বাংলা ভাষা। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার, বাংলাদেশি বংশদ্ভূত বৃটিশ বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মকে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাঙালি কমিউনিটির ঐতিহ্য বাহী বাংলা ভাষা শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলশ্রুতিতে অদূর ভবিষ্যতে বৃটিশ বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে তাদের পূর্ব পুরুষের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রচুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির অভিভাবকের মনে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
গবেষণা করে দেখা যায়, বৃটেনের মধ্যে মাল্টিন্যাশনাল মাল্টিকালচারাল সোসাইটি’র বিভিন্ন দেশের লোক রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যার প্রায় অষ্টম বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মূল ভাষা হচ্ছে বাংলা ও সিলেটি মাতৃভাষা। ইংরেজি হচ্ছে তাদের দ্বিতীয় ভাষা। এজন্য বৃটিশ সরকার তাদের সংবিধানের মধ্যে বাংলা ভাষাকে বৃটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির অষ্টম বৃহত্তর ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এ স্বীকৃতির পাশাপাশি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলা ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেনি বৃটিশ সরকার। এজন্য বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির মনে ভিষণ জ্বালা। যদি এখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা না হয় তা হলে ধীরে ধীরে বাংলা ভাষা বৃটিশ যাদুঘরে মধ্যে চলে যেতে পারে বলে ভাষাবিজ্ঞানী সাহিত্যিক মহল মনে করছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারেরও কোনো মাথা ব্যথা নেই! মাতৃভাষার বিকাশ সাধনের কোনো উদ্যোগ নেই। বৃটিশ পার্লামেন্টে বৃটিশ বাংলাদেশি চারজন এমপি, স্কটিশ পার্লামেন্টে একজন বৃটিশ বাংলাদেশি এমপিও কিন্তু পার্লামেন্টে এবিষয়ে কোনো কথা বলেন না। ভাষাবিজ্ঞানী সাহিত্যিকগণ মনে করেন, মাতৃভাষাকে সুরক্ষার জন্য কমিউনিটির বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক বৃন্দ বৃটিশ বাংলাদেশী এমপি গণের মাধ্যমে বৃটিশ সরকারের সাথে মতবিনিময় করেতে পারেন। তাঁরা বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির মাতৃভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি রক্ষার দাবি জানাতে পারেন। যদি তা-না হয় তাহলে অচিরেই বৃটিশ বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে বাংলা ভাষা ইংরেজি ভাষায় বিলীন হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এ জটিল সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য শহীদ সামরিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সকলের নিকট আবেদন রাখছি। এবং দেশ বিদেশের মধ্যে ইসলামী শিক্ষার সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে উর্দু, ফার্সি ভাষার হাদিসের কিতাবগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে বাংলা ভাষায় ইসলামি শিক্ষার পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের সম্মানে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দান করেছে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই,পৃথিবীতে যে ৭১১১ মাতৃভাষা রয়েছে সেই ভাষার বিকাশ সদন। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়,সিলেটী ভাষা সংস্কৃত ভাষার মতো পৃথিবীর প্রায় ৪২ টি মাতৃভাষা চর্চার অভাবে অযত্নে অবহেলায় অন্য ভাষার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে যে কয়টি ভাষা পৃথিবীতে বহুল প্রচলিত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ২২টি ভাষার হিসাব নিম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
১. চীনা ভাষা – ১২৮ কোটি ৪০ লক্ষ, চীন। (এই সংখ্যাটিতে চীনা ভাষার সব উপভাষা অন্তর্গত)। ২. স্পেনীয় ভাষা – ৪৩ কোটি ৭০ লক্ষ, স্পেন।
৩. ইংরেজি ভাষা – ৩৭ কোটি ২০ লক্ষ যুক্তরাজ্য। (জামাইকা ও গায়ানা-র ক্রেয়োলভাষী জনগণকে ধরা হয়নি)। ৪. আরবি ভাষা – ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ, সৌদি আরব। (এক অঞ্চলের আরবি উপভাষা অন্য অঞ্চলের মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়)। ৫. বাংলা ভাষা – ২৮ কোটি ৫০ লক্ষ, বাংলাদেশ ও ভারত।(২০১১ সালে শুমারী অনুযায়ী ভারতে মোট ১০ কোটি বাংলাভাষী রয়েছে এবং ২০১৯ শুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ১৮ কোটি বাংলাভাষী রয়েছে)। ৬. পর্তুগিজ ভাষা – ২১ কোটি ৯০ লক্ষ, পর্তুগাল। ৭. রুশ ভাষা – ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ, রাশিয়া। ৮. জাপানি ভাষা – ১২ কোটি ৮০ লক্ষ, জাপান। ৯. লাহান্দা ভাষা – ১১ কোটি ৯০ লক্ষ, পাকিস্তান। (পূর্ব পাঞ্জাবের ভাষাকে গণনায় ধরা হয়নি, যে ভাষায় ভারতের প্রায় ২ কোটি ৭১ লক্ষ মানুষ কথা বলে)। ১০. জাভানীয় ভাষা – ৮ কোটি ৪৪ লক্ষ, ইন্দোনেশিয়া। ১১. কোরীয় ভাষা – ৭ কোটি ৭২ লক্ষ, দক্ষিণ কোরিয়া।
১২. জার্মান ভাষা – ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ, জার্মানি। ১৩. ফরাসি ভাষা – ৭ কোটি ৬১ লক্ষ, ফ্রান্স। ১৪. তেলুগু ভাষা – ৭ কোটি ৪২ লক্ষ, ভারত।
১৫. মারাঠি ভাষা – ৭ কোটি ১৮ লক্ষ, ভারত। ১৬. তুর্কি ভাষা – ৭ কোটি ১১ লক্ষ, তুরস্ক। ১৭. উর্দু ভাষা – ৬ কোটি ৯১ লক্ষ, পাকিস্তান।
১৮. ভিয়েতনামি ভাষা – ৬ কোটি ৮১ লক্ষ, ভিয়েতনাম। ১৯. তামিল ভাষা – ৬ কোটি ৮০ লক্ষ, ভারত। ২০. ইতালীয় ভাষা – ৬ কোটি ৩৪ লক্ষ, ইতালি। (কেউ কেউ আঞ্চলিক ভাষা ও ইতালীয় ভাষায় সমান পারদর্শী) ২১. ফার্সি ভাষা – ৬ কোটি ১৯ লক্ষ, ইরান। ২২. মালয় ভাষা – ৬ কোটি ৮ লক্ষ, মালয়েশিয়া।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে অপসংস্কৃতির হাত থেকে সুরক্ষা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। পরিতাপের বিষয়, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের সহজ সরল কোমলমতি শিশুদের মন মানসিকতার বিকৃত করার উদ্দেশ্য পাঠ্যক্রমে ধর্ম বিদ্বেষী চিন্তা চেতনা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাস্তিক্যবাদীরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করেছে ধর্ম বিরোধী মূর্তি পুজো দেবতা পূজার কাল্পনিক কেচ্ছা কাহিনী। সরকারের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা। সিলেটি বর্ণমালা ও সিলেটি ভাষা সিলেট জেলার মধ্যে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার কামনা।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক আরাফাত নিউজ পত্রিকা (ইউকে)।