হারিয়ে যাওয়া প্রেম
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
তাসলিমা খানম বীথি:
রাত তখন ২টা বাজে। মোবাইলের রিংটনে ঘুম ভেঙ্গে যায় কবিতার। ঘুমকাতুরে লাইনটা কেটে দেয় সে। আবার বেজে ওঠে। আবার কাটে। এভাবে কয়েকবার রিংটন কাটার পর চোখ খুলে দেখে কার নাম্বার। নাহ, নাম্বারটা পরিচিত মনে হচ্ছে না। ঘুমিয়ে পড়ে সে। কিছুক্ষণ পর আবার কল। এবার কবিতা রেগে গিয়ে কলটি রিসিভ করতেই- ‘মন গহীনে মনের বনে মনের কথা মনের সাথে মন মিলিয়ে পেলাম ব্যথা আমার মনে এখন শুধু একটা আশা তোমায় ছাড়া হবে না যে ভালোবাসা।’ -ভেবেছিলো খুব জাড়ি দেবে। কিন্তু কবিতা শুনে রাগ পালিয়ে যায় কবিতার। তবুও কিছুটা রাগান্বিত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করে। -কে আপনি? এত রাতে কল দিচ্ছেন কেন? -কবিতা শুনাবো বলে কল দিচ্ছি। জানালা খুলে দেখো বাইরে কি সুন্দর রিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে। প্লীজ একবার তোমার হাতটি ভিজাবে বৃষ্টিতে। জানালা দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে তোমার হাত ভিজাবে আর আমি কবিতা শুনাবো। লাইনে থাকো আরেকটা কবিতা শুনাই। তার আগেই ‘কবিতা’ মোবাইলে অপর পক্ষে থাকা লোকটিকে থামিয়ে দেয়। – স্যরি, আপনাকে চিনতে পারছি না। -আমি আলম। -আলম! -এই নামে কাউকে চিনি না। প্লিজ এতরাতে ডিস্টার্ব করবেন না। মুখের উপরে ‘কবিতা’ ঠাস করে লাইনটা কেটে দেয়।
২. সকাল ৮টা ঘুম ভাংগতেই মোবাইল হাতে নিলো। দেখলো ইনবক্সে একটি এসএমএস। আমি তিশার খালাতো ভাই। তার কাছ থেকে তোমার নাম্বারটা নিয়েছি। -কোন তিশা- কবিতা এসএমএসের উত্তর দেয়। -সঙ্গে সঙ্গে আলমের কলব্যাক । -কী ব্যাপার আপনি? আবার কল করেছেন। কথা বলতে ইচ্ছে হলো তাই। তাছাড়া গতকাল রাতে তোমাকে কবিতা শুনাতে পারিনি বলে জেগেছিলাম, ঘুমাইনি। -লেখালেখি করে যে তিশা, তার ভাই আমি। -ঠিক আছে একদিন আসরে আসবেন তিশার সাথে। -তিশার কাছ থেকে তোমার অনেক কথা শুনেছি। তুমি কবিতা খুব ভালোবাসো তাই না। -হ্যাঁ। বাসি।
৩. একদিন সাহিত আসরে আলম এসে হাজির। কবিতাও এসেছে। তবে তার কোনও লেখা নেই। এসেছে মন ভালো করতে। সাহিত্য আসর চলছে। অনেকেই গল্প, কবিতা আর ছড়া পড়ছে। তবে একটি কবিতা বেশ ভালো লেগেছে তার। ‘তোমাকে দেখার খুব সাধ জাগে, আসবে কি তুমি যদি প্রাণ জাগে, হে প্রেয়সী চলে গেলাম, খুব নীরবে ভালোবাসা দিয়ে গেলাম। ভালো থাকো, সুখে থেকো, হাজার সালাম’। আসর শেষ করে কেউ বারিন্দা, কেউ গেইটের সামনে, কেউ বা সিঁড়িতে বসে জটলা বেধে আড্ডা দেয়। কবিতাও আড্ডা দিচ্ছে তাদের সাথে। হঠাৎ ব্যাগে হাত দিয়ে মোবাইলটা না পেয়ে সাহিত্য আসর কক্ষে ছুটে যায় কবিতা। রুমে ঢুকে দেখে ফর্সা চেহারা, কালো টি শার্ট পরা একজন তরুণ। বসে আছে একা। সাহিত্য আসর চলাকালিন তাকে দেখেছে সে। যার লেখা কবিতা শুনেছে একটু আগে। কবিতা জিজ্ঞাসা করে তাকে- কী ব্যাপার আপনি? বসে আছেন যে। বাসায় যাবেন না। একটু পরেই হল রুম তালা দেওয়া হবে। -জ্বী যাবো। -আচ্ছা আপনি কি কবিতাকে ছিনেন? আমি তাকে খুঁজছিলাম। -জ্বি? আমিই কবিতা। বলুন? আপনাকে ঠিক চিনলাম না। -অহ আপনিই কবিতা। -আমি আলম। -তিশার খালাতো ভাই। -অহ আচ্ছা। এখন চিনতে পেরেছি। সেদিন কল দিয়েছিলেন। -আলম কবিতাকে বলে- হাতে সময় থাকলে চলুন কোথায় বসে কফি খাই। -হুম। বসা যাবে। তবে বেশি সময় বসবো না। সেদিনের কফি খাওয়া, প্রথম দেখার মধ্য দিয়ে কবিতা আর আলমের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
৪. প্রায়ই তাদের দেখা হয়, কথা হয়। কখনো সাহিত্য আসরে, কখনো ক্বীনব্রীজে সুরমা নদীর তীরে আবার কখনো শাহী ঈদগাহে। তবে বেশিরভাগই তাদের কথা হয় সাহিত্য নিয়ে। সেদিন সাহিত্য আসর শেষ করে কবিতা বাসা ফিরছে। ঠিক সেই সময় আলমের কল। কবিতা হ্যালো বলতেই- জানতে চায় সাহিত্য আসর কি শেষ? -হ্যাঁ। -তুমি কোথায়? -আমি আম্বরখানা পয়েন্টে। -একটু দাঁড়াও চলে আসছি। কিছুক্ষনের মধ্যে হাঁফাতে হাঁফাতে কবিতার সামনে এসে হাজির আলম। -চল চা খাই। -না চা খাবো না। -খুব খিদে লেগেছ বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করবো। -আলম বলে-ঠিক আছে। চা না হলে অন্য কিছু খাবে। কোথায় বসবে বলো। চল ডিঙি রেস্টুরেন্টে বসি। ডিঙির ভেতরে প্রচন্ড ভীড়। কোনো টেবিলই খালি নেই। তখন কবিতা বলে- চল ঈদগাহ ভিউ রেস্টুরেন্টে বসি। ডিঙ্গি থেকে বের হতেই বৃষ্টি চলে আসে। এখন কী হবে? কিছুক্ষন অপেক্ষা করতেই বৃষ্টি থেমে যায়। তবে কোনও রিকশা বা সিএনজি নেই। পুরো রাস্তা এখন লোকজনের ছুটাছুটি। দু একটি সিএনজি আর রিকশা থাকলেও ছেলেরা লাফ দিয়ে ওঠে পড়ছে। কোনও গাড়ি না পাওয়াতে কবিতা আলমকে বলে- হেঁটে যাই। এই বলে কবিতা ও আলম পাশাপাশি হাঁটছে আর কথা বলছে। আলম তার কবিতা বলছে- ‘সখি হাঁটতে হাঁটতে বলতে পারো অধিকার জীবন দিয়ে করবো তোমার উপকার।’ কিছুক্ষন হাঁটার পর হুচোট খেয়ে কবিতার জুতাটা ছিড়ে যায়। আলম রিকশা নিতে চায়। কবিতা না করে। সামনেই রেস্টুরেন্ট একটু পথ হেঁটে যেতে পারবো। কিছু হবে না। কবিতার কোনও কথা না শুনেই। একটি কালি রিকশা যেতেই কবিতাকে ওঠতে বলে আলম পাশে বসে। রিকশায় বসে আবারো আলম কবিতা বলতে শুরু করে- ‘তুমি আছো সখি হৃদয় মাঝে ওড়াই দুঃখ প্রেমের ভাজে…। কবিতা হেসে বলে মি. হালুম। -আমি হালুম না। -আলম। -হা…হা। কবিতা হাসতে থাকে। মাঝে মাঝে মজা করে আলমকে হালুম বলে ডাকে কবিতা। তখন আলমের অভিমানের মুখটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে তার। তা মি. এত মুখস্ত রাখ কিভাবে। তবে তোমার কবিতা আবৃত্তি খুব ভালো লাগে। মোবাইলে যখন শুনাও তখন প্রতিটি শব্দ যেন হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আরে না। কি যে বল না তুমি। কবিতা তখন আলমকে বলে-নিজেকে আড়ালে রাখতে চাও কেন? -আলম হেসে বলে-তোমাদের জগত আর আমার জগত এক না। বুঝলে। মানে কী? কিসের জগত, কার জগত। রিকশায় বসে তাদের কথা শেষ না হতেই ঈদগাহ চলে আসে দুজনেই।
৫. পায়ে ছিড়ে জুতা নিয়েই কবিতা ধীরে ধীরে হেঁটে আলমের সাথে ঈদগাহ ভিউ রেস্টুরেন্টের সিঁড়ি মাড়িয়ে ছাদে ওঠে। বেশ চিমচাম। সাজানো গোছানো। টেবিল ফুলের টবও রয়েছে। হিমেল বাতাসে গাছের পাতাগুলো দুলছে। মাঝখানে ছোট একটি ফ্লোরাও রয়েছে। তবে তেমন লোকজন নেই। কবিতা আর আলম যে টেবিলে বসেছে। তার পাশেই বড় একটি টেবিলে কিছু মানুষ রয়েছেন। মনে হচ্ছে পুরো পরিবারই আজ ডিনারে এসেছে। বৃদ্ধ মা বাবা, ছেলেমেয়েরা তাদের বাচ্চাসহ বেশ আনন্দসহকারে উপভোগ করছে রাতের ডিনারটি। এদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। কারেন্ট যাচ্ছে আর আসছে। ফাইনালি কারেন্ট চলেই গেলো। জেনারেটার কাজ হচ্ছে না দেখে ওয়েটার তখন মোমবাতি ব্যবস্থা করে দেয়। কবিতা পাশের চেয়ারে তাকিয়ে দেখে আলম নেই। হয়তো ওয়াশরুমে গেছে। ফ্রেশ হতে। কবিতা তখন চেয়ার ছেড়ে চিলকোটা দুলনাতে বসে। পাশের টেবিলে বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে। বাচ্চার পিছন পিছন মা ছুটছে। কবিতা টেবিলের কাছে আসতেই দেখে আলম। -কী ব্যাপার। এতক্ষন কোথায় ছিলে তুমি? -আলম জবাব দেয়। কেন? আমি তোমার পাশেই ছিলাম। ম্যানু দেখছিলাম। -কী বল আমি স্পষ্ট দেখেছি তুমি ছিলে না। বাদ দাও এসব। এখন বল কী খাবে। কবিতা বলে-তুমার ইচ্ছে। চিকেন ফ্রাই না স্যুপ। -ঠিক আছে বলে আলম দুটোই অর্ডার দেয়। -কিছুক্ষণ পর তাদের অর্ডার অনুযায়ী খাবার আসে। কবিতা স্যুপ খায় আর আলম চিকেন ফ্রাই। চিকেন ফ্রাইটা খুব মজা লাগছে দেখে কবিতাকে খাওয়ার কথা বলে আলম। -কবিতা বলে-দাঁতে সমস্যা খেতে পারবে না। -আলম তখন চিকেন ফ্রাইটা চাকু দিয়ে কেটে দেয় কবিতাকে খেতে। কবিতা এর আগেও লক্ষ্য করেছে আলম যা-ই খায় খুব তৃপ্তিসহকারে খায়। তার খাওয়ার মাঝে একধরনের আর্ট রয়েছে। চিকেন ফ্রাই আর স্যুপ খাওয়ার সাথে চলে তাদের আড্ডা। সেই আড্ডা চলে অনেকক্ষণ। তাদের আড্ডায় কবি আল মাহমুদ আর কবি হেলাল হাফিজের কবিতা এসে যোগ দেয়। তাদের কবিতা আলমের ভালো লাগে। আল মাহমুদের কবিতার মধ্যে একটি কবিতার শেষের যে লাইনগুলো তার সবচেয়ে প্রিয়- ‘বাঁচার জন্য পথ পেরুলাম পথের শেষে তোমার কোমল হাতখানি গো লাগলো এসে বুকের মাঝে বুক মেলাতে বাড়াও চরণ ভালোবাসাই যেন আমার জীবন মরণ’।
৬. মাস বছর পেরিয়ে এভাবেই চলছে তাদের বন্ধুত্ব। কবিতা অনুভব করে নিজের অজান্তে কখন যে আলমকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু তাকে হারানোর ভয়ে বলে না। তবে এখন চাইলেই আলমের সাথে কথা বা দেখা হয় না। কারন ইদানিং তাকে মোবাইলে পাওয়া যায় না। কিংবা সাহিত্য আসরেও আসে না। সেই আগের মত কবিতাও শুনা হয় না আলমের। তাকে খুব মিস করে কবিতা। বিশেষ করে গভীর রাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে যায়। কারন আগে ঘুম ভাংগলে আলমকে কল দিতেই কবিতা শুনাতো। কবিতা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতো কবিতা। তার যখন খুব মন খারাপ হত আলমের সাথে কথা বললেই ভালো হয়ে যেতো। মাঝে মাঝে আলম কল দিলে কথা হয় কবিতার সাথে। তবে তার কোনও র্নিদিষ্ট নাম্বার নেই। একেক সময় একেক নাম্বার থেকে কল দেয় আলম। কবিতা ইচ্ছে করলেই কল দিতে পারে না তাকে। যখন যে নাম্বারে কল দেয়, সেই নাম্বারই বন্ধ থাকে। তাই আলমের কোনও নাম্বারই কবিতার কাছে সেইভ নেই।
৭. অনেকক্ষণ থেকে বিছানায় ওপাশ এপাশ করছে কিছুতেই ঘুম আসছে না কবিতার। মোবাইলের এসএমএসের শব্দ শুনে হাতে নিতেই দেখে আলমের ম্যাসেজ..। ‘মাঝ রাতে আসবো যেচে, দেখে যাব কেমন রয়েছো বেঁচে।’ কবিতা কলব্যাক করতেই- ‘তোমার নয়নে কোলে, দেহ বাহুডোরে, আদরে আদরে ভরে আমার শূন্য এ হাত দাও গো ভরে প্রেমের সুধা জলে তুমিহীন এ রাত ফুরাবে না প্রাণনাথ আস না দুজন আলোতে ভরাই গভীর কালো রাত।’ -কেমন আছো কবিতা? -এতদিন পর! কোথায় ছিলে তুমি? কবিতা জিজ্ঞাসা করে আলমকে। -তোমাকে কল দিয়ে পাওয়া যায় না কেন? -আলম জবাব দেয়-মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে আর পকেটে টাকা নেই। মেঝ আপু মোবাইল গিফট করছে। নতুন মোবাইলের চার্জ দিয়ে অন করে প্রথমেই তোমাকে কল দিলাম। কবিতা শুনাবো বলে। স্যরি তোমাকে এত রাতে ঘুম ভাঙ্গানো জন্য। কবিতা কিছু বলার আগেই লাইনটা কেটে যায় আলমের। সাথে সাথে কল ব্যাক করলে মোবাইলটা বন্ধ পায় কবিতা। চার্জ হয়তো হয়নি তাই লাইনটা কেটে গেছে। আলমের এরকম আচরণ কবিতাকে খুব কষ্ট দেয়। তবে তাকে বুঝতে দেয় না সে।
৮. আলমের কোন খোঁজ নেই ৬ মাস হলো। কবিতার কাছে কোনও কল আসে না। তাকে কল দিলেও বন্ধ থাকে মোবাইল। হঠাৎ তিশার কথা মনে হতেই কবিতা কল দেয় তাকে। হয়তো আলমের কোন খোঁজ পাওয়া যাবে তার কাছে। অনেকক্ষন থেকে কল দিচ্ছে। রিসিভ হচ্ছে না। আজ প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। ব্যালকুনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে হাত ভিজাচ্ছে কবিতা। আলমকে মিস করছে। কবিতা শুনতে ইচ্ছে করছে খুব। হঠাৎ করে কেন এমন হলো আলম। এসব যখন ভাবছে তখন তিশার কল। -কেমন আছেন আপু? -ভালো। তোমাকে একটা কথা বলার জন্য কল দিয়েছিলাম। – বলুন কী কথা? -তোমার খালা তো ভাই আলম। তার কী খবর? -তিশা অবাক হয়ে জবাব দেয়। -আলম! তিনি আবার কে? এই নামে তো আমার কোন খালাতো ভাই নেই। -তিশা যতটা না অবাক হয়েছে তার চেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছে কবিতা। -কী বল! আলম নামে তোমার কোনও ভাই নে? কিন্তু সে তো আমার কাছে তোমার পরিচয় দিয়েছে। তার সাথে পরিচয়ের পরের সবকিছু খুলে বলে তিশাকে। তবে কোন লাভ হয়নি। আলম নামে সত্যি সত্যি তিশার কোন খালাতো ভাই নেই। তবে তাহলে কবিতার সাথে যার বন্ধুত্ব হলো, সে কে ছিলো! কিছুই মিলাতে পারছে না। আলমের মুখটি চোখের সামনে ভেসে ওঠতেই কবিতার হৃদয় দুমড়ে মুছড়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদতে। তখন আলমের একটি কবিতার লাইন কানে এসে বাজছে- ‘আমার প্রতিটি মুহূর্ত যেনো নিদারুন সাকারাত জীবন-মরণ- প্রেম- ভালোবাসা শুধুই আঘাত’।
তাসলিমা খানম বীথি: লেখক, গল্পকার।