মাইল্যান্ডে ডিম ছুঁড়াকে কেন্দ্র বাংলাদেশী জামিনুর হত্যাকাণ্ড : কিশোর দোষী সাব্যস্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০১৭
দেশ, ২৫ নভেম্বর: এ বছরের ১১ এপ্রিল মাইল্যান্ডের ওয়াগনার স্ট্রিটে নিজ ঘরের সামনে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশী যুবক সৈয়দ জামিনুর ইসলাম। এ মর্মান্তি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে। তবে সে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় আইনী কারনে উক্ত কিশোরের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
‘ইনার লন্ডন ক্রাউট আদালত’ জানিয়েছে এই হত্যা কান্ডের সূত্রপাত হয় ডিম ছুঁড়াকে কেন্দ্র করে। আদালত জানায় এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের মধ্যে মাইল্যান্ডের বার্ডেট রোড়ে বসবাসকারী নাঈম চৌধুরী ১৮ ও বেথনালগ্রীনের সাইপ্রাস রোড়ে বসবাসকারী সামিউর রহমান নিহতের ভাইকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারলে তা গিয়ে পড়ে তাদের ঘরের দরজার সামনে।
এনিয়ে নাঈম চৌধুরী ও সামিউর রহমানের সাথে ঝগড়া হলে এ পর্যায়ে জামিনুর ছুরিকাঘাতে হন। সিসিটিবি ফুটেছে দেখা গেছে ঝগড়া হবার পরে ওয়াগনার স্ট্রিটে অভিযুক্ত তিন যুবক ভাড়া করা একটি গাড়ী নিয়ে জামিনুরের ভাইকে খোঁজতে ছিল। এসময় তাদের হাতে ছিল ছুরি ও বেইজবল বেড। কিন্তু যখন সৈয়দ জামিনুর, নাঈম চৌধুরীর সামনা সামনি আসে, তখন তাকে বেইজবল বেড দিয়ে আঘাত করে ক্যানারি ওয়ার্ফ এ বসবাসকারী ইসমাইল মোহাম্মদ উদ্দিন ১৮ প্রায় একই সময় ১৬ বছর বয়সী কিশোর তার বা পায়ে ছুরিকাঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে সেখানেই জামিনুরের মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাঈম চৌধুরীর জ্যাকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ীর চাবি উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ৪ অপরাধী নর্থ লন্ডনে পালিয়ে যায়। পরে তাদের আটক করে বিচারের সম্মুখিন করা হয়। এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সী কিশোরের রায় প্রকাশ করা হয় শুক্রবার। বাকীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর একই আদালতে তাদের কারাদন্ড দেয়া হবে। তদন্ত কর্মকতা টনি লিন্স বলেন, সৈয়দ জামিনুরকে নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল যিনি তার ভাইয়ের জন্য এই ঘটনার শিকার হন।

