বাবার লাশ খালে ফেলার সময় ছেলেসহ আটক ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
দেশ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবার লাশ বস্তায় ভরে খালে ফেলার সময় ছেলে মো. সোহেলসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৯ই সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত অন্যরা হলেন সোহেলের বোন বৃষ্টি (১৫), মা কোহিনুর বেগম (৩৮), খালা জাহানারা বেগম (৪১) ও লাশ বহনকারী রিক্সা চালক রশিদ (৩৭)।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সোহেল তার বাবা তৈয়ব আলীকে খুন করে বস্তায় ভরে শনিবার রাতে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের পার্শ্বে রাস্তার পাশের খালে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় এলাকার দারোয়ান জানতে চাইলে সোহেলের সাথে থাকা এক বন্ধু পালিয়ে যায়। পরে রিকশাচালক রশিদ ও সোহেলকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করে সোহেল ও রিকশাচালককে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল তার বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টং ফকির এলাকার বাসা থেকে তার মা কোহিনূর, খালা জাহানারা এবং তার ছোট বোন বৃষ্টিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।’
আটককৃতরা জানিয়েছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী তৈয়ব বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সার জন্য ছেলে ও স্ত্রীকে নির্যাতন করত। ৮ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে তৈয়ব আলী বাসায় গিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০০টাকা চায়। এসময় তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তৈয়ব আলীর সাথে তাদের গভীর রাত পর্যন্ত ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত পৌনে ২টার দিকে সোহেল তার বাবাকে কাঠের ব্যাট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। তারপর তার মা কোহিনূর ও খালা জাহানারা গলা টিপে ধরে। বোন বৃষ্টি পা চেপে ধরে। সোহেল তার বাবার মুখে বালিশ চাপা দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কাঁচি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪০/৫০টি আঘাত করে।
পরে মা ও খালার সহায়তায় লাশটি বস্তায় ভরে রেখে দেয়। সোহেল তার এক বন্ধুর পরামর্শে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে শনিবার রাতে রশিদ বিল্ডিং এলাকায় খালে ফেলতে যায়। তার ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর। সূত্র: মানবজমিন

