লন্ডনে ‘ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি’র সংবাদ সম্মেলন : সংসদ ভবন এলাকায় নিষ্কণ্টক প্লট, প্রবাসীদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০১৭
দেশ রিপোর্ট: ঢাকা ভিত্তিক আবাসন প্রকল্প ‘ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি’র উদ্যোগে গত ২১ আগস্ট সোমবার পূর্ব লন্ডনের অজবর্ণ স্ট্রিটের সোনারগাঁ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের অন্যতম ডাইরেক্টর জান্নাতুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জেড এ ভুঁইয়া।
‘দেশের জন্য আমরা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কয়েকজন সুশিক্ষিত ও উদ্যমী তরুণের প্রচেস্টার ফসল ‘ম্যাক্সওয়েল হোমস এন্ড প্রপার্টিস লিমিটেড’। সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার জেড এ ভুঁইয়া বলেন, ম্যাক্সওয়েল হোমস এন্ড প্রপার্টিস লিমিটেড এর প্রজেক্ট ‘ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি’ প্রকল্পটি রাজধানী ধাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদ পুর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের সাথে সংযুক্ত যা সংসদ ভবন থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। এখানে রয়েছে প্রকল্পের তিন দিকেই এলজিআরডির পাকা রাস্তা। বাড়ি করার উপযুক্ত নিষ্কণ্টক ভুমি। প্রকল্পের চারিদিকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আরো নানা সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি।
যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা ৩০ আগস্টের মধ্যে প্লট কিনলে কাটা প্রতি মূল্য ছাড় পাবেন ৫০ হাজার টাকা। সেই সাথে থাকছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের আবাসন সেক্টরের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের ডিরেক্টরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবির আহমদ, মোহাম্মদ বশির আহমদ, মোহাম্মদ ইমরুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন রুবেল ও মঈনুদ্দীন চৌধুরী পাপ্পু প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সাপ্তাহিক দেশ প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিলো বর্তমানে বাংলাদেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় প্লটে যারা বাড়ি করবেন তাদেরকে কীভাবে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকার পাশে গ্যাস সরবরাহ রয়েছে। তবে কীভাবে আনা যাবে এখনও নিশ্চিত নয়। তারা বিষয়টি দেখছেন।
লন্ডনে কি কোনো অফিস থাকবে- কোনো সমস্যা হলে প্লট গ্রহিতারা যেখানে গিয়ে অভিযোগ করতে পারবেন-জবাবে তিনি বলেন এখানে তাঁদের কয়েকজন ডাইরেক্টর আছেন। তাঁরা সব কিছু করবেন। অফিসের কথা আগে চিন্তা করেন নি। তবে এখন মনে হচ্ছে অফিসের দরকার আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যর্থ প্রজেক্টের উদাহরণ দিয়ে প্রবাসীদের বিনিয়োগের নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জেড এ ভুঁইয়া বলেন, আমরা ব্যর্থ হবো না। আমরা সবধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করেই প্রকল্প গ্রহণ করেছি। আমরা সততার সাথে প্লট বিক্রি ও তত্ত্বাবধান করছি। আমাদের পরিচালনা বোর্ডে যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই সুশিক্ষিত। আমরা সুশিক্ষিত মানুষদেরই এই প্রকল্পে সম্পৃক্ত করবো। শিক্ষিত অর্থ কিন্তু শুধু বড় বড় ডিগ্রী নয়। যাদের ভালো-মন্দ বুঝার ক্ষমতা আছে, তাঁদেরকেই আমরা শিক্ষিত বলে বুঝি। এককথায়, যাদের কারণে প্রকল্পের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে তাদেরকে আমরা আমাদের প্রকল্পে স্বাগত জানাতে পারবো না।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পে বর্তমানে বাড়ি নির্মাণের উপযোগী প্লট প্রস্তুত রয়েছে। কেউ প্লট কিনে নিজে নিজে বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন। আবার চাইলে তাঁরাও নির্মাণ করে দিতে পারেন। তাছাড়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কোনো ধরনের সমস্যা থাকবেনা বলেও দাবী করে প্রকল্প চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন প্রকল্প নেতৃবৃন্দ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজের মধ্য দিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য, প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে জান্নাতুল ইসলাম বাবুল (০৭৯০৩ ৯৯৬ ৮৩২) অথবা মোহাম্মদ ইমরুল হোসেনের সাথে (০৭৯৮৫ ২২০ ৬২০) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

