বেক্সিট-বিচ্ছেদ নিয়ে সন্তোষজনক আলোচনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০১৭
দেশ ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের চলে যাওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা গত সোমবার সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সমাপ্ত হয়েছে। তবে এটি কেবল আলোচনার সূচনা পর্ব। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে জোট ত্যাগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে ব্রিটিশ ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ও ইইউর পক্ষে মিশেল ব্রানিয়ার আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় উভয় পক্ষই দ্রুত জটিল বিষয়গুলো নিয়ে আগামী ১৯ জুলাই এবং আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবারের আলোচনার পর ইইউর পক্ষের মিশেল ব্রানিয়ার বলেছেন, ‘আমাদের আলোচনা বিফল হয়ে যাওয়ার চেয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি ন্যায্য সমাধান বের করাটাই জরুরি। ইইউ জোটের পক্ষে কোনো দেশই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অবন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে না। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান কর্তব্য হলো ব্রেক্সিটের কারণে যেসব ইউরোপীয় নাগরিকের বিভিন্ন দেশে থাকার অধিকার ও আইনগত সমস্যা হতে পারে, তার সমাধান, যুক্তরাজ্যের কাছে পাওনার বিষয় ও বিচ্ছেদ-সম্পর্কিত অন্য বিষয়গুলোর নিষপত্তি।’ ব্রেক্সিট-বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা শুরুর পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, উভয় পক্ষই একটি সম্মানজনক সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে, যা যুক্তরাজ্য ও অবশিষ্ট ইউরোপের মধ্য দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করবে।’
সোমবারের আলোচনায় মূল তিনটি বিষয় নিয়ে সমাধান করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। বিষয়গুলো হলো যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউভুক্ত নাগরিক এবং ব্রিটিশ নাগরিক যাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বসবাস করছেন, তাঁদের আইনগত অধিকার। ইইউ সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের কাছে পাওনা প্রায় ১০০ বিলিয়ন ইউরো এবং ইইউ সদস্য হিসেবে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত ভবিষ্যতেও মুক্ত থাকবে কি না। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, সাম্প্রতিক নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে ব্রেক্সিট-বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের যতটা অনমনীয় মনোভাব দেখানোর কথা ছিল, বস্তুত তা থেকে তারা সরে এসেছে।