কিশোরীদের সতীত্ব পরীক্ষার নামে আসলে কি হচ্ছে?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০১৫
কিশোরীদের অমতে তাদের সতীত্ব পরীক্ষা করতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের পরিবার ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। একটি সুইডিশ টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের গোপন অনুসন্ধানে সম্প্রতি এই বিষয়টি উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টে এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
‘কোল্ড ফ্যাক্ট’ নামে চলতি ঘটনাবলী নিয়ে একটি টিভি অনুষ্ঠানের জন্য তারা এই অনুসন্ধানে নামেন। সাংবাদিকরা সারা দেশের ঘুরে একই চিত্র পান। ধর্মপরায়ণ পরিবারগুলো সাধারণত তাদের কিশোরী কন্যারা কুমারী কি না সেটা জানার জন্য চিকিৎসকদের মাধ্যমে এই পরীক্ষা চালান বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
দুইজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক তাদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা এক ফুটেজে দেখান, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে নিয়ে তার ফুফু এক মহিলা ডাক্তারের কাছে যান কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে। মেয়েটির পরীক্ষা করাতে অস্বীকৃতি জানালেও ফুফু ডাক্তারকে পরীক্ষাটি করতে বলেন। ডাক্তারও কিশোরীর ‘না’ সত্ত্বেও পরীক্ষা করাচ্ছেন।
সুইডেনের আইন অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশ অথবা সমাজ কল্যাণ সংস্থাকে বিষয়টি জানানো এবং মেয়েটির সুরক্ষার ব্যাপারে সহায়তা করা। ফুটেজে আরও দেখা যায়, মহিলা ডাক্তারটি এই কাজটি শুধু কিশোরীদের ওপর না শিশুদের ক্ষেত্রেও অনেক বার করেছেন।
মানবাধিকার কর্মী লিয়েসল জার্নথলজ ডেইলি মেইলকে জানান, নারী অধিকার রক্ষায় সুইডেনের সুনাম বিশ্বব্যাপী। কিন্তু এখানে এ ধরনের কাজ হচ্ছে আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মেয়েদের সতীত্ব পরীক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজে একটি কুসংস্কার প্রচলিত আছে। আমরা সবাই জানি, জরায়ু ভিতরে একটা পর্দা থাকে যাকে আমরা সতী পর্দা হিসেবে জানি।
যখন কেউ জীবনে প্রথম শারীরিক সম্পর্ক করে তখনই এই পর্দাটি ছিঁড়ে যায়। আসলে এটি একটি ভুল ধারণা। সতী পর্দা শুধু যৌন মিলনের কারণে ছিঁড়ে না। আরও নানা কারণে ছিঁড়তে পারে। যেমন- রোগ, ব্যথা বা শারীরিক ব্যায়ামে ইত্যাদি কারণেও ছিঁড়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।