১ বছরের মধ্যে ১০,০০০ সিরীয়কে আশ্রয় দেবে কানাডা
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
কানাডার রক্ষণশীল সরকার নতুন এক ঘোষণায় বলেছে, আগামী ১ বছরের মধ্যে ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হবে কানাডায়। অনেক আগেই ২৩ হাজার ইরাকি নাগরিককে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির সরকার। এবার সিরীয়দের আশ্রয় দিতে অভিবাসন নীতি সহজীকরণ ও গতিশীল করার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীরা জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কাছ থেকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন কিনা, তা প্রমাণে কোন নথিপত্র চাইবেন না ভিসা কর্মকর্তারা। বরং, যারা সহিংসতা থেকে পালাচ্ছেন, তারা শরণার্থীর সংজ্ঞায় পড়ছেন, এমনটাই বিবেচনা করা হবে। ফলে, প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুততর হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ফলে, আগামী বছর অর্থাৎ, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় ওই বিবৃতিতে। এদিকে ২৩ হাজার ইরাকি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার প্রতিশ্রুতি এ বছরের শেষ নাগাদ পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে ভিসা কর্মকর্তারা নিরাপত্তা, অতীত অপরাধের রেকর্ড যাচাই ও স্বাস্থ্য-পরীক্ষার মতো বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করবেন। এর আগে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব করায় কানাডার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। বিরোধী দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, যদি তারা আগামী ১৯শে অক্টোবরের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে, সেক্ষেত্রে সিরীয় শরণার্থীদের জন্য আরও উদার নীতি অবলম্বন করবে দলগুলো। বিভিন্ন জনমত জরিপও বলছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের দল মধ্য-বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে কঠিন ভোটের লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে।