১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইউকের নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা


আপডেট: ৩:৪৭:১২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোম বার
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইউকের নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

বাংলাদেশের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রবাসী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (এফওবি), ইউকে আয়োজন করেছে এক বর্ণাঢ্য বার্ষিক নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

গত শনিবার (১১ অক্টোবর) লন্ডনের বিখ্যাত মেফেয়ার ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সংগঠনের ভবিষ্যৎ মানবিক প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ, বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের চিকিৎসা, পথশিশুদের পুনর্বাসন ও চোখের দৃষ্টি পুনরুদ্ধার প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করা।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আজিজ জানান, এফওবি বর্তমানে বাংলাদেশজুড়ে একটি মোবাইল ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং ইউনিট পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করে জীবন রক্ষার কাজ চলছে। তিনি বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই একটি মোবাইল চোখের ছানি অস্ত্রোপচার ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষ দৃষ্টি ফিরে পায়।”

১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (এফওবি), ইউকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মানবিক সহানুভূতি ও দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে কাজ করছে। সংগঠনটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাদের নীতি—“Hundred Percent Goes to the Beneficiaries”, অর্থাৎ সংগৃহীত সব অর্থ সরাসরি উপকারভোগীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের (যুক্তরাজ্য) প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর তানভির মোহাম্মদ আজিম। তিনি হাইকমিশনারের বার্তা পাঠ করে বলেন, “ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ কেবল একটি প্রবাসী সংগঠন নয়, এটি এক মানবিক শক্তি, যা বাংলাদেশে অসহায় মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনছে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমপি অ্যান্ড্রু রোসিন্ডেল, এমপি ডেম সিওভেইন ম্যাকডোনাফ, টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রুপের লিডার কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, ক্রয়ডনের মেয়র কাউন্সিলর মো. ইসলাম, কমিউনিটি নেতা কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী এবং বিবিসিএ সভাপতি তোফাজ্জল মিয়া। তাঁদের উপস্থিতি ও বক্তব্য অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও অনুপ্রেরণামূলক।

সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. জিয়াউল হক। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আজিজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি সদস্য ও সাবেক সভাপতি মাহবুব ইজদানি খানসহ সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় সংগঠনের কার্যক্রমভিত্তিক ডকুমেন্টারি, উপস্থাপনা করেন ডা. এম. এ. আউয়াল। এছাড়া কনসালট্যান্ট ব্রেস্ট সার্জন ডা. জাকারুল্লাহ ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ও আত্ম-পরীক্ষা’ বিষয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

তহবিল সংগ্রহ পরিচালনা করেন প্রখ্যাত কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আজমল মাশরুর। তাঁর প্রাণবন্ত আহ্বানে উপস্থিত অতিথিরা বিপুল অনুদান প্রদান করেন। তাঁকে সহায়তা করেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফারহান মাহমুদ খান, সলিসিটার ইমতিয়াজ হোসেন এবং খাদিজা নাসিম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট সৈয়দ আরিফ কাজী। সভাপতি ডা. জিয়াউল হক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে অতিথি, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন।

সাংস্কৃতিক পর্বে শিল্পী আল আমিন শাদ, সম্পা দেওয়ানসহ অন্যরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নিলাম ও র‌্যাফেল ড্র পর্বে অতিথিদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যজুড়ে বসবাসরত চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, হিসাবরক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের অংশগ্রহণে স্পষ্ট হয়—প্রবাসে থেকেও মাতৃভূমির অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব, যদি থাকে ভালোবাসা, মানবিকতা ও ঐক্যের শক্ত বিশ্বাস।

ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (এফওবি), ইউকে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে—বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের কল্যাণে সর্বশক্তি ও সম্পদ উৎসর্গ করে মানবতার সেবায় অবিচল থাকবে তারা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য মিছবাহ জামালের মা হুসনে আরা বেগমের ইন্তেকাল : ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক


আপডেট: ৩:৩৮:১০, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোম বার
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য মিছবাহ জামালের মা হুসনে আরা বেগমের ইন্তেকাল : ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক

লন্ডন, ১২ অক্টোবর ২০২৫ : লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও স্পেকট্রাম রেডিও বাংলার প্রতিষ্ঠাতা মিছবাহ জামালের মা হুসনে আরা বেগম ১০ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় সিলেট শহরের কুয়ার পাড় এলাকার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যূকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর । তিনি ৫ ছেলে, ৪ কন্যা, নাতি-নাতনীসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখেছেন ।

সিলেট শহরে মার্চেন্ট হিসেবে সুপরিচিত কামাল সাবানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নাছির উদ্দিন আহমেদের সহধর্মিণী হলেন হুসনে আরা বেগম।

রবিবার প্রথম জানাজা বাদ জোহর কুয়ারপার জামে মসজিদে এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর বাঘা মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।

মিছবাহ জামাল শনিবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশে গিয়ে পৌঁছেছেন মায়ের জানাজায় অংশ নিতে।

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক :
এদিকে মিছবাহ জামালের মায়ের মৃত্যুতে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ ও কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ এক শোকবার্তায় মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন । পাশাপাশি তাঁর স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণের শক্তি দানের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন। মায়ের মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন মিছবাহ জামাল।

Issue 28. Year 12. 10-16 Oct.2025


আপডেট: ৭:০৮:১৯, ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবি বার

লন্ডনে ‘ই-ইমামস’ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা : ইসলামি সেক্টরের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর


আপডেট: ১১:৪৬:১০, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
লন্ডনে ‘ই-ইমামস’ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা : ইসলামি সেক্টরের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর

লন্ডন, ৮ অক্টোবর ২০২৫ : যুক্তরাজ্যে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সব ধরনের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ও ইমাম সমাজ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সহজলভ্য করতে প্রথমবারের মতো ই-ইমামস.কম (eimams.com) নামে একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে । এই ওয়েবসাইটে মুসলিম সেক্টরের চাকরির খবরা-খবর থাকবে । বিশ্বের যেকোনো প্রান্থ থেকে ওয়েবসাইট ভিজিট করে চাকরির আবেদন করাসহ যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে লন্ডন মুসলিম সেন্টারে ব্রিটেনের শীর্ষ স্থানীয় উলামা, কমিউনিটির বিশিষ্টজন ও প্রিন্ট এন্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
ওয়েবসাইটের প্রবর্তক মাওলানা শাকির আহমেদ প্রজেক্টারের মাধ্যমে সুবিধাগুলো তুলে ধরেন । এসময় দেখা যায়, ২ শতাধিক জব ভেকেন্সি ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন শায়খ আবু সাঈদ চোধুরী । বিশেষ অতিথি ছিলেন কভেন্ট্রি শাহজালাল জামে মসজিদের প্রাক্তণ ইমাম হাফিজ আমির হোসাইন, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের, জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ ও চ্যানেল এস-এর ইস্ট মিডল্যান্ডস করেসপন্ডেন্ট সাংবাদিক নোমান রাজা । যুক্তরাজ্যর বিভিন্ন শহর থেকে বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ সহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
ওয়েবসাইটের প্রবর্তক মাওলানা শাকির আহমেদ আগত অতিথিদের ধন‍্যবাদ জানিয়ে তাদের সামনে এটির প্রয়োজনীয়তা এবং এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ২১ বিলিয়ন পাউণ্ডের বেশি আর্থিক যোগান আসে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে । এই সম্প্রদায়ের নিজস্ব বিশেষায়িত কাজের পাশাপাশি মুলধারায় শুধুমাত্র মুসলিমদের জন‍্য যথেষ্ট কাজের সুযোগ রয়েছে। এই সব কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিরাও রয়েছেন । শুধুমাত্র চাকরি দাতা এবং চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে যথোপযুক্ত যোগাযোগের মাধ‍্যমের অভাবে অনেকেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। ই-ইমামস.কম মুলত উভয়ের মধ্যে সহজ যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে ।
এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে চাকরি দাতা এবং চাকরি প্রার্থীরা উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অতিথিরা।
মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফিজ আমির হোসাইন ।

 

 

আনন্দ-উচ্ছ্বাসে শেষ হলো লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ : ওয়ানবাংলা চ্যাম্পিয়ন, চ্যানেল এস রানার আপ


আপডেট: ৭:৫২:৪৮, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে শেষ হলো লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ : ওয়ানবাংলা চ্যাম্পিয়ন, চ্যানেল এস রানার আপ

 লন্ডন, ৮ অক্টোবর, ২০২৫: উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫। পূর্ব লন্ডনের স্টেপনি গ্রিন মাঠে ৫ অক্টোবর রবিবার দিনব‍্যাপী খেলায় ছিল উচ্ছ্বাস আর আনন্দ । এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ছয়টি জনপ্রিয় দল । তবে এই টিম গুলোর অধীনে বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের শতাধিক ক্লাব মেম্বার এতে যুক্ত ছিলেন।

টিম গুলো হলো: বাংলা কাগজ, ওয়ান বাংলা, চ্যানেল এস, মোহামেডান এসসি, দেশ-পত্রিকা ইউনাইটেড এবং ইউকে বাংলা লাইভ ইউনাইটেড। রোমাঞ্চকর ফাইনালে মুখোমুখি হয় ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড এবং চ্যানেল এস। নির্ধারিত সময়ে গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, আর সেখানে ওয়ান বাংলা ৪–৩ গোলে জয় পেয়ে ৪র্থবারের মতো ছিনিয়ে নেয় চ্যাম্পিয়ন ট্রফি!

ক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়েরের সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ-এর পরিচালনায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন সফররত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা- বাসস-এর চেয়ারম্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন। স্বাগত বক্তৃতা করেন আয়োজন কমিটির কো-অর্ডিনেটর ক্লাবের ইভেন্টস সেক্রেটারী রুপি আমিন। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক উদয় শংকর দাশ ও শেখ মোজাম্মেল হোসেন কামাল আহমদ, খেলার স্পন্সর ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সিইও ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। অপর স্পন্সর অল সিজন ফুড।

লন্ডন স্পোটিফের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন বাহার উদ্দিন এবং সাহিদুর রহমান সুহেল। জাকির হোসেন কয়েস পেয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার । আর ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মোহাম্মদ সোবহান। খেলা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও অতিথিরা । এসময় লন্ডন স্পোটিফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সেক্রেটারি মহিবুর রহমান, ট্রেজারার আতিকুর রহমান, ডিরেক্টর ও ক্লাব ম‍্যানেজার মাহি মিকদাদ ও ডিরেক্টর ফরহাদ উদ্দিন।

বক্তারা বলেন, এই টুর্নামেন্ট শুধু খেলাধুলা নয়, এটি সাংবাদিকদের বন্ধুত্ব, ঐক্য ও সহযোগিতার প্রতীক।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, ট্রেজারার সালেহ আহমেদ, এসিসটেন্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, এসিসটেন্ট ট্রেজারার ইব্রাহিম খলিল, অর্গানাইজিং এন্ড ট্রেনিং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আকরামুল হোসাইন ও মিডিয়া এন্ড আইটি সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান ও ১ম নির্বাহী সদস্য সাহিদুর রহমান সোহেল ।

 

প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে কর্মরত বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের এই সংগঠন আয়োজন করে আনন্দঘন এই ফুটবল টুর্নামেন্ট, যা এখন প্রবাসী কমিউনিটির অন্যতম সেরা ক্রীড়া উৎসবে পরিণত হয়েছে ।খেলাধুলার মধ্য দিয়ে এই ঐক্য, আনন্দ ও বন্ধুত্ব থাকুক, প্রবাসে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করুক এসব উদ্যোগ- এমনটাই প্রত‍্যাশা সবার।

ইস্ট হ্যান্ডস ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট রেকর্ড অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত


আপডেট: ৮:২০:৫৭, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
ইস্ট হ্যান্ডস ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট রেকর্ড অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত

ইলফোর্ডের রেডব্রিজ স্পোর্টস সেন্টারে চতুর্থ ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ২০২৫ গত ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ১০৮টি দল অংশগ্রহণ করে। যা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

এই টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ। অভিজ্ঞ ও নবীন খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে প্রতিযোগিতা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং কমিউনিটি ও চ্যারিটির এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়।

এ টুর্নামেন্টে তিনটি বিভাগে খেলা হয়। বিজয়ীরা চার শত পাউন্ড , রানার-আপ দুই শত পাউন্ড এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীরা ট্রফি প্রদান করা হয়।গ্রুপ এ-তে চ্যাম্পিয়ন হন ফিফি ও মিতুন, গ্রুপ সি-তে জাহিদ ও ফারিস, আর গ্রুপ ডি-তে মুরাদ ও বাবুল।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দার, সাবেক মেয়র কাউন্সিলর জুসনা ইসলাম, ট্রাভেললিংকের সিইও সামি সানাউল্লাহ, লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি হেড টিচার আশিদ আলী, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুহিত উদ্দিন, হাবিব রহমান, দিলোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান, ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরীসহ কমিউনিটির অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

টুর্নামেন্টের আয়োজোনে ও সহযোগীতায় সফল ভাবে নেতৃত্ব দেন সাবেক কাউন্সিলর আতা রহমান। সহায়তায় ছিলেন হাবিব রহমান, মাহিদ চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, বাবুল হক, সুহান খান, শামীম ও আতীক। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন কিনু, মকবুল, নোবিল ও সিপন।
স্পনসররা ছিলেন: আইডিয়া অ্যান্ড বিল্ড, কারপ্ল্যানেট, ফিস্ট অ্যান্ড মিষ্টি, ইয়াকি ইয়্যা!, কারজোন, ট্রাভেল লিংক ওয়ার্ল্ডওয়াইড, মাহি অ্যান্ড কো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, অ্যাম্পল এস্টেট এজেন্ট, কিংডম সলিসিটর্স, আইটেক ও চ্যানেল এস।

প্রতিযোগিতার পাশাপাশি উৎসবমুখর পরিবেশে ছিল রিফ্রেশমেন্ট, অংশগ্রহণকারীদের জন্য ফ্রি টি-শার্ট এবং স্পনসর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ইস্টহ্যান্ডসের চেয়ার নবাব উদ্দিন বলেন, ১০৮টি দলের অংশগ্রহণ আমাদের সব প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি আমাদের কমিউনিটির শক্তি ও ব্যাডমিন্টনের প্রতি ভালোবাসাকে প্রমাণ করে, পাশাপাশি একটি মহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার প্রতিফলন। আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ সকল খেলোয়াড়, সমর্থক ও স্পনসরদের প্রতি। এই টুর্নামেন্ট শুধু উচ্চমানের খেলার প্রদর্শনীই নয়, বরং ইস্টহ্যান্ডসের বাংলাদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিকেও আরও দৃঢ়ভাবে সামনে এনেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

টাওয়ার হ্যামলেটসে শিশুদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী আর্লি হেল্প স্ট্র্যাটেজি চালু : গর্ভাবস্থা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত পরিবারকে সহায়তা


আপডেট: ৮:১৫:৫৫, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
টাওয়ার হ্যামলেটসে শিশুদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী আর্লি হেল্প স্ট্র্যাটেজি চালু : গর্ভাবস্থা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত পরিবারকে সহায়তা

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ২০২৫–২০২৮ সালের জন্য তাদের নতুন আর্লি হেল্প স্ট্র্যাটেজি চালু করেছে। এই কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো: প্রতিটি শিশু, তরুণ এবং পরিবার যেন উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

গত বুধবার, ১ অক্টোবর মিথ গার্ডেনস ফ্যামিলি হাবে আয়োজিত এক কমিউনিটি ইভেন্টে এই স্ট্র্যাটেজি বা কৌশলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে পরিবার, পেশাজীবী এবং অংশীদাররা একত্রিত হয়ে শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতি উদযাপন করেন।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় টাওয়ার হ্যামলেটস-এর নির্বাহী মেয়র বলেন, এই কৌশল টাওয়ার হ্যামলেটস-এর প্রতিটি শিশুর জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা জানি, যত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তত বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর্লি হেল্প মানে হলো সমস্যা বড় হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করা এবং পরিবারকে সঠিক সময়ে সঠিক সহায়তা দেওয়া, যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।টাওয়ার হ্যামলেটস দেশের সবচেয়ে তরুণ ও বৈচিত্র্যময় বারাগুলোর একটি-এটাই আমাদের শক্তি। এই কৌশল আমাদের কমিউনিটিরই প্রতিফলন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে এ বছর অফস্টেড টাওয়ার হ্যামলেটস-এর আর্লি হেল্প সার্ভিসকে একটি শক্তিশালী দিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এখানেই আমরা থেমে থাকছি না। এটি কেবল একটি কাউন্সিল পরিকল্পনা নয়; এটি গোটা কমিউনিটির প্রতিশ্রুতি। পরিবার, স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অন্যান্য অংশীদারদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, যাতে আমাদের শিশুরা বিকশিত হতে পারে।”
স্ট্র্যাটেজির মূল নীতিমালা, সম্পূর্ণ পরিবারকে সহায়তা করা। প্রতিটি যোগাযোগকে মূল্যবান করে তোলা। সমন্বিত, সহজলভ্য ও সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল সেবা প্রদান করা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন অভিভাবক ও একজন তরুণ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এসময় ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইযুম তালুকদার সহ কাউন্সিলের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইযুম তালুকদার বলেন, আমাদের পার্টনারশিপ সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। শিশু, তরুণ এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে শিশুরা ও তাদের অভিভাবকেরা অমূল্য। এই কৌশল অনুসরণ করে আমরা আরও ভালোভাবে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিশ্চিত করব।

সাপোর্টিং ফ্যামিলিজ-এর পরিচালক সুজানাহ বিসলি-মারে বলেন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, যাতে আপনি সহজেই সিস্টেম সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সঠিক ব্যক্তির কাছ থেকে সহায়তা পান। এই পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে শিশু ও অভিভাবকদের কণ্ঠ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, কারণ তারাই সবচেয়ে ভালো জানেন, তাদের কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন।

আর্লি হেল্প অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসের প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, প্রত্যেক পরিবার জীবনে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। বেশিরভাগ সময় সেই চ্যালেঞ্জে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুরা পাশে থাকে। তবে কখনও কখনও অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হয়-সেই সময় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। আর্লি হেল্পের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ও অংশীদারদের একত্রিত করা, যাতে সঠিক সময়ে সঠিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং পরিবারগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

শাহেদ রাহমান সম্পাদিত ম্যাগাজিন ও কাব্যসংকলন প্রকাশ


আপডেট: ৮:১৫:১৯, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
শাহেদ রাহমান সম্পাদিত ম্যাগাজিন ও কাব্যসংকলন প্রকাশ

শাহেদ রাহমান সম্পাদিত ‘আজকের শতাব্দী’ ম্যাগাজিনের ডক্টর আনসার আহমেদ উল্লাহ বিশেষ সংখ্যা এবং কাব্যসংকলন ‘বিলেতে কবিতা লিখার আগে’ প্রকাশিত হয়েছে। লন্ডনের পূর্বাঞ্চলে একটি প্রীতি সভার মাধ্যমে এই প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সহযোগিতা প্রদান করে ব্রিটিশ বাংলা প্রগেসিভ রাইটার্স এসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বরো অব ক্রয়ডন কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মুহাম্মদ ইসলাম।

সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ বাংলা প্রগেসিভ রাইটার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ন আহ্বায়ক ও ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মোঃ সাজিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন “আজকের শতাব্দী” ম্যাগাজিনের সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারি ও ব্রিটিশ বাংলা প্রগেসিভ রাইটার্স এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব কবি মিজানুর রহমান মীরু।

প্রকাশিত ম্যাগাজিন ও কাব্যসংকলনের আনুষ্ঠানিক পাঠন্মোচন করেন প্রধান অতিথি ও উপস্থিত লেখক ও শুভার্থীরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেইন, অভিনেতা ও লেখক স্বাধীন খসরু, প্রবীন সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, কবি হামিদ মোহাম্মদ, ছড়াকার দিলু নাসের, কবি মাশূক ইবনে আনিস, কবি মজিবুল হক মনি, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আব্দুল মালিক খোকন, সাংবাদিক সাঈম চৌধুরী, জুয়েল রাজ, সৈয়দা নাজনীন সুলতানা (শিখা), আমিনা আলী, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ইমদাদুন খান, কবি আসমা মতিন, কবি ফায়সাল আইয়ুব এবং আবৃত্তিশিল্পী ফাহমিদা দীপা।

বক্তারা ডক্টর আনসার আহমেদ উল্লাহকে তার গবেষণা, সাংবাদিকতা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে জীবনের দীর্ঘ অধ্যায় উৎসর্গ করার জন্য সম্মান জানান। তিনি সম্প্রতি বিলেতে বর্ণবাদ বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বক্তারা প্রবাসে সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব ও প্রাপ্তবয়স্ক প্রবাসী সাহিত্যিকদের অবদানের প্রশংসা করেন।

আজকের শতাব্দী ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যায় ড. সাম হালবরসন, প্রফেসর আলাসতেইর ওউনস, প্রফেসর জন ইয়াড, ড. ক্রিস টান্গ, জালাল রাজন উদ্দিন, ড. সিন কেরিই, সুজিত সেন, মতিয়ার চৌধুরী, স্বাধীন খসরু, শামীম আজাদ, হামিদ মোহাম্মদ, নজরুল ইসলাম বাসনসহ মোট ৩৫ জন লেখকের রচনার সংযোজন করা হয়েছে। কাব্যসংকলন বিলেতে কবিতা লিখার আগে সম্পাদনা করেছেন মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। সংকলনে বিলেতে বসবাসরত ১৭ জন কবি তাঁদের কবিতা উপস্থাপন করেছেন।

তাঁরা হলেন-কবি অধ্যাপক নুরুজ্জামান মনি, কবি হামিদ মোহাম্মদ, কবি মজিবুল হক মনি, কবি দিলু নাসের, কবি মাশূক ইবনে আনিস, কবি লুৎফুর রহমান কামালী, কবি মুজিব ইরম, জওয়াহের হোসেন, মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, মিজানুর রহমান মীরু, ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ফায়সাল আইয়ুব, সিতু মিয়া কামালী, ফাহমিদা ইয়াসমিন, দেবার্ঘ্য চক্রবর্তী, মুহাম্মদ সালেহ আহমদ ও সালমা বেগম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এমসিএর দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন


আপডেট: ৮:১৩:২৫, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
এমসিএর দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন

বৃটেনের অন্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী সংগঠন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) এর দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা গত রবিবার ৫ আগস্ট লন্ডন মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আজাদ সদস্যদের সরাসরি ভোটে ২০২৫-২০২৭ সেশনের জন্য পুনরায় এমসিএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বর্তমান সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আজাদ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল মতিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দারস পেশ করেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শায়খ আব্দুল কাইয়ুম।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ব্যারিস্টার হামিদ আজাদ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সদস্যদের আত্মত্যাগ ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমরা মুসলিম হিসেবে সমাজ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এমসিএ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক সংকট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।

শায়খ আব্দুল কাইয়ুম কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নেতৃত্বের দায়িত্ব ও গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, ইসলামী সংগঠনের ঐতিহ্য অনুসারে নেতৃত্বের আসন চাওয়া নয়, বরং আমানত হিসেবে তা পালন করাই প্রকৃত সাফল্য।

দুপুরের বিরতির পর সভাপতি হামিদ হোসেন আজাদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং দ্বিবার্ষিক রিপোর্টের উপর আলোচনা হয়, যা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এরপরই অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন পর্ব। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, স্বচ্ছ ও পেশাদারভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন হাবিবুর রহমান, আর তাকে সহযোগীতা করতে কমিশনের সদস্য হিসেবে ছিলেন ড. আব্দুল বারী, আয়ুব খান, ড. আশরাফ মাহমুদ ও রাহেলা চৌধুরী। কমিশনের পক্ষ থেকে ২০২৫–২০২৭ সেশনের রিজিয়ন সভাপতি ও শুরা কাউন্সিল নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সকল প্রার্থী ও সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও দক্ষতার প্রশংসা করেন। উপস্থিত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা জানান, এবারের নির্বাচন ছিল এমসিএ’র ইতিহাসে অন্যতম সুশৃঙ্খল ও অংশগ্রহণমূলক একটি প্রক্রিয়া।

২০২৫-২০২৭ সেশনের নতুন রিজিয়ন সভাপতিরা হলেন, এফ.কে.এম শাহজাহান (লন্ডন নর্থওয়েস্ট), সৈয়দ আহমেদ (লন্ডন ওয়েস্ট), কাজী ফয়জুল ইসলাম পারভেজ (লন্ডন সাউথইস্ট), আবুল হোসেন রায়হান (লন্ডন ইস্ট), মোহাম্মদ জুবায়ের মিয়া (লন্ডন নর্থইস্ট), হাসানুল বান্না (মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনালস অ্যান্ড স্টুডেন্টস), জয়নাল আবেদীন লিটন (লন্ডন সাউথওয়েস্ট), কামাল উদ্দিন (সাউথইস্ট ইংল্যান্ড মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন), গিয়াস উদ্দিন (সাউথওয়েস্ট ইংল্যান্ড ইসলামিক সোসাইটি), শরীফুর রহমান (ইস্ট অব ইংল্যান্ড), রেজাউল করিম চৌধুরী (ইস্ট মিডল্যান্ড), এস বদরুল আলম (নর্থওয়েস্ট), আসাদ আহমেদ (ওয়েলস), ফরিদ মিয়া (ওয়েস্ট মিডল্যান্ড), মাসুদুল হাসান (ইয়র্কশায়ার অ্যান্ড হাম্বার), জাহিদ ইসলাম (নর্থইস্ট)।

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত ১৬ জন রিজিয়ন সভাপতি শুরা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হন। এছাড়া নির্বাচিত ডেলিগেটদের মাধ্যমে আরও ২৪ জন শুরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেন, আবদুদ দাইয়ান মোহাম্মদ ইউনুস, আনসার মুস্তাকিম, দিলোয়ার হোসেন খান, ড. আবদুস সালাম আজাদি, ড. দিলদার চৌধুরী, হাফিজ আবুল হোসেন খান, হাসান সিরাজুস সালেকিন, হাসান কাওসার আহমেদ, মোঃ আব্দুল মুমিন, মনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ মুস্তাক আহমেদ, মুসাদ্দিক আহমেদ, নেসার আহমেদ, নজমুল হোসেন, নুরুল মতিন চৌধুরী, রাজু মোহাম্মদ শিবলী, সিরাজুল ইসলাম হীরা, সৈয়দ জামিরুল ইসলাম বাবু, ড. মাহেরা রুবি, আসমা খান, ড. শিরিন সোবহানি, রওশনারা কবির, এবং আনজুমারা বেগম।

অনুষ্ঠানের শেষে ২০২৩-২০২৫ সেশনের কার্যক্রমের রিপোর্ট উপস্থাপন ও ইয়ুথ কার্যক্রমের ওপর সচিত্র প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। এছাড়াও সেশনের বিভিন্ন রিজিয়নের কার্যক্রমের ভিত্তিতে তাদের কাজের মূল্যায়ন ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবারের নতুন এসকল উদ্যোগ উপস্থিত সকলের প্রশংসা অর্জন করে।

উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতিদের বক্তব্যে সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান জিলু বলেন, এমসিএ বর্ণবাদ ও ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এজন্য সকলকে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে হবে।

সাবেক সভাপতি দিলোয়ার হোসেন খান নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন ইয়ুথদের উন্নয়নে সময়, মেধা ও সম্পদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সেক্রেটারি শায়েখ মুসলেহ ফারাদি স্থানীয় দাওয়াহ কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আজাদ বলেন, আমরা এমসিএকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, যোগ্যতা, এবং এখলাসই হবে আমাদের সফলতার চাবিকাঠি। আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তিনি এমসিএর ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি হবে বৃটেনে মুসলমানদের ঐক্য, নেতৃত্ব ও কল্যাণের রূপরেখা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্যের লীডস ও ব্রাডফোর্ড শাখার নতুন কমিটি গঠন


আপডেট: ৮:১২:৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্যের লীডস ও ব্রাডফোর্ড শাখার নতুন কমিটি গঠন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্যের লীডস ও ব্রাডফোর্ড শাখার কমিটি পুনর্গঠন উপলক্ষ্যে মজলিসে শূরার অধিবেশন গত ৫ অক্টোবর রবিবার বাংলাদেশী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি ও ব্রাডফোর্ড শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও লীডস শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছাদিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শূরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শায়খুল হাদীস প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান। যুক্তরাজ্য শাখার উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য শায়খ মাওলানা আব্দুল জলিল বলরামপুরী।

শাখা পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতী ছালেহ আহমদ। শূরার অধিবেশনে উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে মাওলানা ছাদিকুর রহমান কে সভাপতি,হাফিজ আখলাকুর রহমান চৌধুরী কে সিনিয়র সহ সভাপতির, হাফিজ মাওলানা মুফিজুর রহমান মারুফ কে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা সাইদুল ইসলাম কে সহ-সাধারণ, মুহাম্মদ শাহনূর সেলিম কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট লীডস কমিটি। মাওলানা আব্দুস সালাম কে সভাপতি, মাওলানা জাহাঙ্গীর খান কে সিনিয়র সহ সভাপতি ,ক্বারী মাওলানা আব্দুল জলিল কে সাধারণ সম্পাদক, হাফিজ মাওলানা রশিদ আহমদ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাডফোর্ড শাখা পুনর্গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটির দায়িত্বশীলদের শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শায়খুল হাদীস প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল হক।

শূরার অধিবেশনে অন্যান্যদের বক্তব্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহনূর মিয়া, সহ সভাপতি ও বার্মিংহাম শাখার সভাপতি ব্যারিস্টার মাওলানা বদরুল হক, সহ সভাপতি শায়খ মাওলানা নাজিম উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক ও লন্ডন মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন,যুক্তরাজ্য শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা লিয়াকত হোসাইন,যুক্তরাজ্য প্রচার সম্পাদক ও লন্ডন মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আল আমিন ভূঁইয়া,লীডস শাখার সহ সভাপতি মাওলানা ফয়জুল হাসান চৌধুরী,ব্রাডফোর্ড শাখার সহ.সভাপতি আলহাজ্ব রইস আলী,প্রচার সম্পাদক হাফিজ মুহাম্মদ হোসাইন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ, প্রমুখ।

শূরার অধিবেশনে কুরআন তিলাওয়াত, রিপোর্ট পেশ ও পর্যালোচনা, শাখা পূনর্গঠন, শপথ বাক্য পাঠ, হেদায়েতী বক্তব্য, সভাপতির হেদায়েতী বক্তব্য, মোনাজাত কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত ছিল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

টাওয়ার হ্যামলেটসে সামার ফেয়ারে মানুষের ঢল


আপডেট: ৮:৪০:৪০, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
টাওয়ার হ্যামলেটসে সামার ফেয়ারে মানুষের ঢল

এ বছর গ্রীস্মকালিন ছুটির দিনগুলিতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের উদ্যোগে বারাজুড়ে সামার অব ফান ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারার পার্ক, ইয়ূথ এবং চিলড্রেন্স সেন্টার, আইডিয়া স্টোর্স এবং লাইব্রেরী, স্পোর্টস ভ্যানু এবং লেইজার সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত সামার অব ফান প্রোগ্রামের শত শত এক্টিভিটিস বা কার্যক্রম এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দা অংশ নিয়েছেন।

সামার ফান প্রোগ্রামে ৮শ’র বেশি রকমের ফ্রি স্কুল সামার হলিডে ইভেন্ট বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা স্বস্থির সাথে খেলাধুলা অথবা শারিরীক কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন এবং উপভোগ করেছেন নিত্য-নতুন সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। এছাড়াও এই প্রোগ্রাম বারার সব ধর্ম, বর্ণ ও সব বয়সের মানুষকে বারার সব ধরনের সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ এনে দিয়েছিল পাশাপাশি টাওয়ার হ্যামলেটসকে ভালোবাসার মতো আকর্ষণীয় ও সৌন্দর্যমন্ডিত বিষয়গুলোও উন্মোচনের সুযোগ করে দিয়েছিল।

আর্টস, পার্ক এন্ড ইভেন্টস, আইডিয়া স্টোর্স, লোকাল হিস্টোরি লাইব্রেরি এন্ড আর্কাইভ বা সংরক্ষনাগার, বি ওয়েল, ইয়ং টাওয়ার হ্যামলেটস, স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্যামিলি হ্যাবসহ কাউন্সিলের বিভিন্ন দপ্তর এই প্রোগ্রাম উদযাপন এবং শিশু-কিশোর এবং তাদের পরিবারকে সহযোগিতার মাধ্যমে অংশিদারিত্ব কাজের দুর্লভ নজীর স্থাপন করেছে।

টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি মেয়র এবং এডুকেশন, ইয়ূথ এন্ড লাইফলং লার্নিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর মাইয়ূম তালুকদার বলেছেন, ”আমাদের স্টাফ এবং অংশীদারী সংগঠনগুলো গ্রীস্মকালীন স্কুল ছুটি চলাকালে পুরো বারাজুড়ে বিণামূল্যে শত শত অনুষ্ঠান উদযাপনের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে সমর্থন দিয়েছেন, এ জন্যে আমি গর্বিত।

এই কার্যক্রমগুলো বাসিন্দাদেরকে তাদের স্থানীয় পরিবেশ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করেছে, টাওয়ার হ্যামলেটসকে ভালোবাসার মতো নতুন এবং অজানা বিষয়গুলো জানতে তাদের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়েছে। উপস্থিতির সংখ্যা আমাদের অনুমানের চেয়েও বেশি হয়েছে এবং সকল বয়সের অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সারা পেয়ে আমি আনন্দিত।

সামার ফান ২০২৫ প্রোগ্রামে উল্লেখ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: দ্যা সামার অব ফান রিডিং চ্যালেঞ্জ: আইডিয়া স্টোরগুলোর সহায়তায় পুরো বারাজুড়ে অনুষ্ঠিত বুক রিডিং চ্যালেঞ্জে অংশ গ্রহণকারীরা বই পড়া, স্ট্যাম্প সংগ্রহ এবং প্রাইজ ড্রতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
সাপ্তাহিক লাভ টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি ফ্যামিলি ফান ডে: পার্ক এবং ফ্যামিলি হ্যাব টিমগুলো প্রতি বুধবার এটির আয়োজন করেছিল যেখানে খেলাধুলা, শিল্প ও কারুশিল্প, এবং আরও অনেক কিছু ছিল।

নেক্সট স্টপ-টাওয়ার হ্যামলেটসে ৯শ বছরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট প্রদর্শনী: টাওয়ার হ্যামলেটস লোকাল হিস্টোরি লাইব্রেরী এবং সংরক্ষনাগার এর আয়োজন করেছিল। এখানে এসে পরিদর্শকরা রেড বাস এবং ট্রেইনসহ ৯শ বছরের পুরনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ভিক্টোরিয়া পার্কে খেলাধুলা এবং স্বাস্থ্যকর দিন: ইয়ং টাওয়ার হ্যামলেটস, টাওয়ার হ্যামলেটস ইয়ূথ সার্ভিস বিভিন্ন পার্ক এবং খোলা জায়গায় ৮টি অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিল। যেখানে শিশু-কিশোর এবং পরিবারের সদস্যদের আনন্দ বিনোদনের জন্যে ইনফ্ল্যাটাবল এক্টিভিটিজ, বাঙ্গি দৌঁড়সহ নানা ধরনের এক্টিভিটিজ ছিল। এছাড়াও তরুন-তরুনীদের জন্যে ইয়ং টাওয়ার হ্যামলেটস বিণামূল্যে ইয়ূথ সেন্টার ভিত্তিক শত শত এক্টিভিটিজ, কর্মশালা, ভ্রমণ এবং গেইমের আয়োজন করেছিল।

সামার ফান রিডিং চ্যালেঞ্জে প্রায় ২ হাজার শিশু কিশোর অংশ নিয়েছিল এবং তারা প্রায় ৫ হাজার ৪শ ৫১ বই পড়েছে।
ডেপুটি মেয়র ও কালচার এবং রিক্রিয়েশন বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কামরুল হোসাইন হোয়াইটচ্যাপল টাউন হলে বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ী শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের স্বাগত জানান এবং বিজয়ী ইয়ংস্টারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

কালচার এবং রিক্রিয়েশন বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কামরুল হোসাইন বলেছেন: ”গ্রীস্মকালিন ছুটিতে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিশু-তরুন এবং তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে যা শুনেছি, এ বছরের সামার ফান প্রোগ্রাম জীবন সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”

২৪টি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ৬টি বই পড়ে স্বর্ণপদক (গোল্ড এওয়ার্ড) জিতেছে ৭ বছরের আধিতি। তার মা ভিদায়া বলেছেন: ”বো এবং হোয়াইটচ্যাপল আইডিয়া স্টোরের অনুষ্ঠান ছাড়াও অসংখ্য আউটডোর কার্যক্রমে অংশ নিয়েছি। গল্পকার এবং কমিক ওয়ার্কশপগুলি দুর্দান্ত ছিল। আমরা ফুটবল এবং ডিম এবং চামচ দৌড়ও উপভোগ করেছি এবং আধিতির তৈরী শিল্পকর্মে আমাদের দেয়ালগুলি এখন পরিপূর্ন হয়ে আছে।”

বেথনালগ্রীন সোলো ক্যাফের দানকৃত ৪০ পাউন্ডের ভাউচার জিতেছে ৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ এবং ভিক্টোরিয়া পার্কের হ্যাব ক্যাফের সৌজন্যে ৪০ পাউন্ডের ভাউচার জিতেছে ৯ বছর বয়সী আলিশা।

মোহাম্মদের মা সারা ইসমাইল বলেছেন, ”ওয়াটনি মার্কেট ও হোয়াইটচ্যাপল আইডিয়া স্টোরে ল্যাগো কর্মশালা এবং স্টেপনী গ্রীনের ফানডেতে বেশ কিছু কার্যক্রম আমরা উপভোগ করেছি। মোহাম্মদ ল্যাগো অবকাঠামো নির্মান করতে ভালোবাসে এবং একটি জলবায়ূ পরিবর্তন কর্মশালায় অংশ নিয়ে সে একটি আরবান ফরেস্ট মডেল তৈরী করে সে বলে, এটি টাওয়ার হ্যামলেটসে বায়ূদোষণ বন্ধে সহযোগিতা করবে।”
১০ বছর বয়সী মোহাম্মদ ৬টি বই পড়ে সামার অব ফান রিডিং চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেছে। তাকে ১০ পাউন্ডের বুক ভাউচার প্রদান করা হয়। মোহাম্মদ বলেছে: ”অ্যালেক্স রাইডারের উপন্যাসগুলি আমার প্রিয়, এবং আরও বইয়ের জন্য আমি ভাইচারটি ব্যয় করব।” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

গাজা সংকট ও মুসলিম বিদ্বেষ মোকাবেলায় এমসিএর সভা অনুষ্ঠিত


আপডেট: ৮:১০:১১, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
গাজা সংকট ও মুসলিম বিদ্বেষ মোকাবেলায় এমসিএর সভা অনুষ্ঠিত

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান মানবিক সংকট এবং যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ নিয়ে মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) গত ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক সদস্য ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সভাটি পরিণত হয় এক তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজনে, যা রূপ নেয় চিন্তামূলক, সংহতিমূলক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নির্ধারণের এক মঞ্চে। মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মুসাদ্দিক আহমেদ এর সঞ্চালনায় তিনজন বিশিষ্ট বক্তা তাঁদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য তুলে ধরেন।

আলোচকদের মধ্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা ও শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ আব্দুল বারি ব্রিটিশ মুসলিমদের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সময় এসেছে আমাদেরকে বর্ণবৈষম্য ও ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তিনি তার আলোচনার মাধ্যমে নাগরিকদের অংশগ্রহণ, আন্তঃধর্মীয় সহযোগিতা এবং তরুণদের ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় বক্তা কাউন্সিলর ফর আরব-ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর স্টেকহোল্ডার রিলেশনের প্রধান শাহেদা দেওয়ান সকলকে সমন্বিতভাবে গাজায় চলমান গণহত্যার বাস্তব ও করুণ চিত্র তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে ও মানবিক সহায়তা দিতে এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার রক্ষায় নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আমাদেরকে সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

সভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বক্তা কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ড. আব্দুল্লাহ ফালিক যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষের ঘটনার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঘৃণাজনিত অপরাধের ঘটনা নথিবদ্ধ করা, ভুক্তভোগীদের সহায়তা এবং বর্ণবাদবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি এবং একটি সময়েরও দাবি।

সভায় মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন সামগ্রিকভাবে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ঘোষণা করে, ১. স্থানীয় সেফটি কমিটি গঠন, যারা হুমকি পর্যবেক্ষণ, ভুক্তভোগীদের সহায়তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে। ২. শিক্ষা ও গণমাধ্যমভিত্তিক প্রোগ্রাম চালু করে ইসলামোফোবিয়া ও গাজা সংকট নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ৩. আইনি সহায়তা, ঘৃণাজনিত অপরাধ রিপোর্টিং এবং নাগরিক অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণের জন্য সম্পদ সরবরাহ করা। ৪. বর্ণবাদবিরোধী ও মানবিক সংগঠনের সঙ্গে জোট গড়ে তোলা, যাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত প্রভাব সৃষ্টি হয়।

এমসিএ এর সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার হামিদ হোসেন আজাদ সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের শান্তি, ন্যায়বিচার ও ঐক্যের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানে হত্যাযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে আমরা যখন একসাথে দাঁড়াই, তখন আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা দেই, ঘৃণা, বৈষম্য এবং নিরীহ মানুষকে টার্গেট করার কোনও স্থান সভ্য সমাজে নেই।” তিনি আরও যোগ করেন, এমসিএ’র লক্ষ্য হলো বোঝাপড়া বাড়ানো, সহমর্মিতা জাগানো এবং বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা। তিনি বলেন, “আমরা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার জন্য কাজ করছি। সকল নিপীড়িত সম্প্রদায়ের পাশে থাকার অঙ্গীকার আমাদের। তিনি গাজা অভিমুখে যাত্রাকারী মানবিক দলে অংশগ্রহণকারীদের সাহস ও প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান জানান এবং তাদের এ মহান উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সভাপতি তার বক্তব্যে এমসিএ এর সদস্য ও সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সকলকে প্রতিটি মুহূর্তের জন্য সক্রিয় থাকতে হবে, নিয়মিত তথ্যসমৃদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রতিকূলতার মাঝেও সম্মিলিত কণ্ঠই সবচেয়ে বড় শক্তি বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটির সভাপতি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ছাতক ইসলামিক সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন


আপডেট: ৮:০৮:৫৪, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
ছাতক ইসলামিক সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন

ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউকে’র নতুন কমিটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পূর্ব লণ্ডনের গ্রেটোরেক্স সেন্টারে সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন এমদাদুর রহমান। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে পরামর্শ ক্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর নতুন সভাপতি তার ওয়ার্কিং কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান সুমন এবং ট্রেজারারের দায়িত্ব পান কুতুবুজজামান শামীম। নিয়ম অনুযায়ী নবনির্বাচিত কমিটি পূর্ববর্তী ২০২৩ – ২০২৫ সেশনে নির্বাচিত কমিটির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন।

প্রায় ২০ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউকে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের নিজ এলাকা সহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় এবং ব্রিটেনে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৩ টি আধুনিক মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা সম্প্রসারণে ভুমিকা রেখে চলেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও সামাজিক নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা।

সংগঠনের নতুন কমিটিতে আরও যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা হলেন, ফান্ডরাইজিং সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম শিশু, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি দিলওয়ার হোসাইন, ইউথ সেক্রেটারি আতিকুর রহমান মাসুম, ইউকে প্রজেক্ট সেক্রেটারি আবু সাঈদ নীলু, বাংলাদেশ প্রজেক্ট সেক্রেটারি সাইফুর রহমান পারভেজ, এডুকেশন সেক্রেটারি মতিউর রহমান, অফিস সেক্রেটারি শফিজুর রহমান, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি শাহনুর আলী, কালচারাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনু মিয়া, প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি সারওয়ার হোসেন সুজন। আর এক্সিকিউটিভ সদস্য হলেন সর্বজনাব লোকমান আহমদ, ছালেহ আহমেদ, এনামুল হক শাহিন, সেলিম হোসাইন, আকলু মিয়া, মাসুক আহমেদ, আবুল কালাম, আমিনুর রহমান লিলু, মকবুল আহমদ, আবু এহিয়া, বদরুজ্জামান, ইকবাল হোসাইন এবং আসাদুল হক।

এছাড়া উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হলেন সর্বজনাব মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, মজর আলী, মানিক মিয়া, মুহিব আহমদ ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব বিশ্বাস করে যে, এই কমিটি ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউকে’কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং প্রবাসী ও বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎসবমুখর পরিবেশে তারক মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে কমিউনিটি ওপেন ডে অনুষ্ঠিত


আপডেট: ৮:০৭:২১, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
উৎসবমুখর পরিবেশে তারক মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে কমিউনিটি ওপেন ডে অনুষ্ঠিত

তারক মুসলিম সেন্টার সম্প্রতি আয়োজিত কমিউনিটি ওপেন ডে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা এই দিনব্যাপী আয়োজনটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কমিউনিটির মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এবং স্থানীয় সম্প্রীতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার একটি উদাহরণ হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ, পুলিশ কর্মকর্তা, চিকিৎসক, সমাজসেবী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সকলে পরিবার-পরিজনসহ এসে দিনটি উৎসবমুখরভাবে উপভোগ করেন।

ওপেন ডে উপলক্ষে ছিল ১৪টি খাবার ও কাপড়ের স্টল, যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবীরা অংশগ্রহণ করেন। দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পরিবেশিত হয় বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খাবার, যা সবাই অত্যন্ত উপভোগ করেন ও প্রশংসা করেন। শিশুদের জন্য ছিল বাউন্সি ক্যাসেল, মেহেদি, গেমস কর্নারসহ নানা বিনোদনের আয়োজন, যা ছোটদের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দের সঞ্চার করে।

এবারের ওপেন ডের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা স্টল। স্থানীয় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত থেকে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বিএমআইসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এই মানবিক উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত উৎসাহ ও ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন, যা কমিউনিটির কল্যাণমূলক ও জনসেবামূলক কার্যক্রমের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অমুসলিম অতিথিরা মসজিদ পরিদর্শন করে এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেন। তারা মসজিদের সামাজিক, শিক্ষামূলক ও মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এমন উন্মুক্ত আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষে তারক মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সিরাজ আলী উপস্থিত সকল অতিথি, স্বেচ্ছাসেবক ও সহযোগীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত যে আমাদের মসজিদ আজ পুরো কমিউনিটির মিলনস্থল হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিখ্যাত আলেম মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম ওপেন ডের সফল আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রম সমাজে সম্প্রীতি, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমি তারক মুসলিম সেন্টারের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

তারক মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সিরাজ আলী ও জয়েন্ট সেক্রেটারী নাফি আহমেদ চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি আব্দুল মুনতাক্বিম, তারক কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলর কায়সার আব্বাস, তারক মুসলিম সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান মুরাদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া, এসিস্টেন্ট ট্রেজারার সাখাওয়াত হোসাইন চৌধুরী, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী বদরুল আলম, ইমাম হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আসিফ আহমদ, মোহাম্মাদ ওয়াহিদ হক, সাহাব মিয়া, আজির উদ্দিন, ডা: মোহাম্মদ আকরাম, ডা: মোহাম্মদ নূর বাশার, ডিষ্ট্রিক নার্স হোসনা বেগম হক, জাহিদ আলী, সাইফুল ইসলাম, আবু বিহারী, তোফায়েল আহমেদ রাসেল, মি: কণা, সাদিক চৌধুরী, আইটি স্পেশালিস্ট মাওলানা নোমান আহমদ ও দ্যা সানরাইজ টুডে’র ডিজিটাল নিউজ এডিটর ফজলু মিয়াসহ মসজিদ কমিটি ও কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশি পাসপোর্ট মানেই ‘সন্দেহ’, বন্ধ হচ্ছে ভিসা


আপডেট: ১০:২০:৫৪, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গল বার
বাংলাদেশি পাসপোর্ট মানেই ‘সন্দেহ’, বন্ধ হচ্ছে ভিসা

দেশ ডেস্ক:: একসময় ধারণা ছিল, যত বেশি দেশ ভ্রমণ করা যাবে এবং পাসপোর্টে যত বেশি দেশের ভিসা থাকবে, পাসপোর্ট তত বেশি ‘ভারী’ হবে। উন্নত দেশগুলো সহজে ভিসা দেবে। তবে, দিন বদলে গেছে। বর্তমানে সবুজ মলাটের বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে অধিকাংশ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেরই যেন ‘অ্যালার্জি’। ভিসা দেওয়া তো দূরের কথা, যেসব দেশে ভিসা ‘অন-অ্যারাইভাল’ নিয়ম চালু আছে, সেসব দেশও বাংলাদেশিদের প্রবেশ করতে না দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যেও বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে। এসব দেশের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় দীর্ঘ হচ্ছে, প্রত্যাখ্যানের হার বাড়ছে এবং পুরোনো সুবিধাগুলো সীমিত করা হচ্ছে। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে ভিসা পেলেও অনেক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীকে ইমিগ্রেশনে নানা কারণে ‘অফলোড’ করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

পাসপোর্টের গুরুত্ব কমে যাওয়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যখন নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো পর্যটননির্ভর দেশগুলোও বাংলাদেশিদের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়। অথচ এসব দেশে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণসাপেক্ষে ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধা চালু আছে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে বিমানবন্দর থেকে মুহূর্তেই ভিসা দেওয়ার কথা।

পাসপোর্টের গুরুত্ব কমে যাওয়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যখন নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো পর্যটননির্ভর দেশগুলোও বাংলাদেশিদের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়। অথচ এসব দেশে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণসাপেক্ষে ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধা চালু আছে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে বিমানবন্দর থেকে মুহূর্তেই ভিসা দেওয়ার কথা

একসময় বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া ইন্দোনেশিয়া এখন সহজে ভিসা দিচ্ছে না। ভিসার জন্য অনেক নথিপত্র ও ফি প্রয়োজন হচ্ছে, তবুও ভিসা নিশ্চিত নয়। এছাড়া, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ভারত নতুন করে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। বর্তমানে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই করে কেবল মেডিকেল ভিসা দেওয়া হলেও সামান্য ত্রুটি পেলেই অফলোড করা হচ্ছে।

সম্প্রতি দুবাই ও আবুধাবির মতো মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশও নতুন করে ভিসা প্রদান স্থগিত রেখেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টের ওপর যেন ভরসা পাচ্ছে না কেউই।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি পাসপোর্টের প্রতি অনীহা আসার অন্যতম কারণ হলো ভিসার অপব্যবহার ও অবৈধ অভিবাসন। অনেকেই মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই-আবুধাবিতে পর্যটন ভিসা নিয়ে প্রবেশ করে আর দেশে ফেরেন না। তারা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও লুকিয়ে কাজ করেন অথবা গ্রেপ্তার হয়ে দেশে ফেরেন।

এছাড়া, কিছু দেশ অভিযোগ করছে যে বাংলাদেশি পর্যটক বা সাধারণ ভিসাধারীরা এই রুট ব্যবহার করে অবৈধভাবে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

চলতি বছরের ১১ জুলাই ৯৬ জন, ১৩ জুলাই ১২৩ জন, ২৬ জুলাই ৮০ জন এবং আগস্ট মাসের এক দিনে সর্বোচ্চ ৯৮ জন বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে আটকে পরবর্তী ফ্লাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইম জানিয়েছে, পর্যটন ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অন্যতম শর্ত হলো বৈধ হোটেল বুকিংয়ের কাগজপত্র সঙ্গে রাখা। ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের হোটেল বুকিং সন্দেহজনক ছিল; তারা এ বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারছিলেন না। এছাড়া, তাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত ভ্রমণকালীন অর্থও ছিল না।

দালালরা তাদের ভুল বুঝিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় কাজের জন্য পাঠায়। তারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পার হওয়ার জন্য যাত্রীদের নানা রকম বেআইনি কৌশল শিখিয়ে দেয়। যেমন— আশপাশের যাত্রীরা অফলোড হলে লাইন থেকে পিছু হটে বিমানবন্দরের বিশ্রামাগারে লুকিয়ে থাকা এবং শিফট পরিবর্তনের পর আবারও লাইনে দাঁড়ানো। এমন অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণেই মালয়েশিয়া বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলে অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে পর্যটন ভিসায় আসা যাত্রীরা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকার কথা জানালেও আত্মীয়ের আমন্ত্রণপত্র বা ঠিকানা দিতে ব্যর্থ হন। এসব অসঙ্গতির কারণে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয় যে যাত্রী হয়তো অবৈধভাবে কাজ করতে এসেছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা অনেক বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, দালালরা তাদের ভুল বুঝিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় কাজের জন্য পাঠায়। তারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পার হওয়ার জন্য যাত্রীদের নানা রকম বেআইনি কৌশল শিখিয়ে দেয়। যেমন— আশপাশের যাত্রীরা অফলোড হলে লাইন থেকে পিছু হটে বিমানবন্দরের বিশ্রামাগারে লুকিয়ে থাকা এবং শিফট পরিবর্তনের পর আবারও লাইনে দাঁড়ানো। এমন অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণেই মালয়েশিয়া বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলে অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

শুধু কাজের উদ্দেশ্যে নয়, মালয়েশিয়াকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে অনেকে লিবিয়া হয়ে ইতালিসহ ইউরোপের নানা দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

পর্যটননির্ভর দেশ থাইল্যান্ড প্রতিবেশী ভারতীয়দের ভিসা অন-অ্যারাইভালের সুযোগ দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে একগাদা নথিপত্র নিয়েও মাসের পর মাস সময় নিচ্ছে ভিসা দিতে। পাসপোর্টের কপির সঙ্গে আবেদনকারীর ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সলভেন্সি সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স, অফিসের অনাপত্তিপত্রসহ ডজনখানেক নথিপত্র জমা নেয় তারা। কাগজে-কলমে ভিসা পেতে সাত থেকে ১০ কার্যদিবস লাগলেও বর্তমানে তা ৪৫ দিনে গিয়ে ঠেকেছে।

ট্যুর অপারেটররা অভিযোগ করছেন, বর্তমানে থাইল্যান্ড ই-ভিসা চালু করেছে। যে কেউ নিজেই নিজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ উঠেছে। নতুন পাসপোর্টে ভিসা দেওয়া, না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় ৪৫-৫০ দিন সময় নিচ্ছে দেশটি। অনেক ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি সময় নিচ্ছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকের ট্যুর ভেস্তে যাচ্ছে।

থাই ভিসার বিষয়ে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে অনেকেই মালয়েশিয়া, মালদ্বীপসহ অন্যান্য দেশে গিয়ে অবৈধভাবে থেকে কাজ করছেন। এ কারণে অন্যান্য দেশ থেকে থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশিদের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ একে একে বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলেও নেপাল ও শ্রীলঙ্কা ব্যতিক্রম ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য বিনামূল্যে (বছরে একবার) ট্যুরিস্ট ভিসা দেয় নেপাল। তবে, গত কয়েক মাস ধরে দেশটির ইমিগ্রেশনেও বাংলাদেশিদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

নেপাল থেকে অফলোড হওয়াদের বিষয়ে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, অনেক নতুন পাসপোর্টধারী পাসপোর্ট করার কয়েক দিনের মধ্যেই নেপালে পাড়ি দেন। ভ্রমণ অভিজ্ঞতা না থাকায় তাদের প্রতি সন্দেহ তৈরি হয় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের। তারা মনে করেন, অনেকে নেপালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে অন্য দেশে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া, কিছু যাত্রী ভুয়া হোটেল বুকিং বা ভ্রমণ পরিকল্পনা দেখিয়ে নেপালে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদেরও ফেরত দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশের পাসপোর্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

বর্তমানে থাইল্যান্ড ই-ভিসা চালু করেছে। যে কেউ নিজেই নিজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ উঠেছে। নতুন পাসপোর্টে ভিসা দেওয়া, না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় ৪৫-৫০ দিন সময় নিচ্ছে দেশটি। অনেক ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি সময় নিচ্ছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকের ট্যুর ভেস্তে যাচ্ছে।

একই অবস্থা শ্রীলঙ্কার। অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের নানা প্রশ্ন করছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কলম্বো বিমানবন্দরে এই প্রতিবেদককে আটকে দেন একজন ইমিগ্রেশন অফিসার। প্রায় ছয় থেকে সাত মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ১৭টি দেশের ভিসা পাসপোর্টে থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা জানতে চান, ট্যুরিস্ট ভিসায় এখানে কী করতে এসেছেন? এরপর ছয় দিনের হোটেল বুকিং দেখতে চান। ছয় দিন কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব, কীভাবে ঘুরব— জানতে চান। পরিচয় জানতে চাইলে যখন সাংবাদিক বলা হয়, তখন তিনি আইডি কার্ড দেখতে চান। এরপর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। পাসপোর্টে সিল দেওয়ার পর হাসিমুখে ওই কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাংলাদেশি পাসপোর্টে অনেকে এসে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন। এ কারণে আমাদের অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রবেশের অনুমতি দিতে বলা হয়েছে।’

অন্যদিকে, মালদ্বীপ বিমানবন্দরে বাংলাদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত হলো, থাকার মেয়াদের ওপর আগাম পরিশোধিত হোটেল বুকিং। কিন্তু অনেক বাংলাদেশি ভুয়া বুকিং কপি নিয়ে যান। এছাড়া কোথায় থাকবেন, তা বলতে না পারায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এসব বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি রাফিউজ্জামান রাফি বলেন, ‘পর্যটনবান্ধব প্রতিবেশী দেশগুলো ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত, কাতার, বাহরাইন, মিশর, দুবাই, আবুধাবি, ভিয়েতনাম বন্ধ করেছে। ভিসা দিতে অতিরিক্ত সময় নিচ্ছে তুরস্ক। ফিলিপাইন তাদের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া জটিল করেছে। মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর ভিসা দিলেও বিমানবন্দরে অফলোড করছে। পর্যটকরা বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে দেওয়ায় ট্যুর অপারেটররা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের উচিত অতিসত্বর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করা।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রতি বছরই বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক প্রকাশ করে। এই সূচকে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬৮তম। দীর্ঘ দুই দশক পর অবনতি হতে হতে বর্তমানে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৯৪-এ। তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিন ও আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া। ২০২৩ সালে এই অবস্থান আরও শোচনীয় ছিল, ১০১তম।

একই অবস্থা শ্রীলঙ্কার। অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের নানা প্রশ্ন করছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কলম্বো বিমানবন্দরে এই প্রতিবেদককে আটকে দেন একজন ইমিগ্রেশন অফিসার। প্রায় ছয় থেকে সাত মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ১৭টি দেশের ভিসা পাসপোর্টে থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা জানতে চান, ট্যুরিস্ট ভিসায় এখানে কী করতে এসেছেন?

ভিসা দিতে কেন এমন অনীহা— জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘একটি দেশ অন্য দেশের নাগরিককে সাধারণত ভিসা ইস্যু করে যেন ওই ভিসাধারী ব্যক্তি সে দেশে ভ্রমণ করে তাদের অর্থনীতিতে সহায়তা করেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা অর্থনৈতিক সহায়তা না করে বরং সমস্যা সৃষ্টি করছেন। পর্যটন ভিসা নিয়ে অবৈধভাবে ওভারস্টে করছেন, অবৈধভাবে কাজ করছেন। ফলে দেশ ও মানুষ সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, যা ভিসা না দেওয়া ও অফলোডের মূল কারণ।’

‘দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিশৃঙ্খল মনোভাবের কারণে অনেক দেশের ধারণা, বাংলাদেশিরা তাদের দেশে অপকর্ম করতে পারে। এতে সে দেশের সুনাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলে সতর্ক থাকে। আমরা যদি নিজেদের পরিবর্তন করে তাদের কাছে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারি, কেবল তখনই ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর হবে।’

সৌজন্যে : ঢাকাপোস্ট

লন্ডনে হাইকমিশনের সাথে বৈঠকে প্রফেসর আব্দুল হান্নান – প্রবাসীদের সহজ ভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ তৈরী করে দিতে হবে


আপডেট: ৮:২১:৫৯, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
লন্ডনে হাইকমিশনের সাথে বৈঠকে প্রফেসর আব্দুল হান্নান – প্রবাসীদের সহজ ভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ তৈরী করে দিতে হবে

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট-২ (ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ) সংসদীয় আসনের প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল হান্নান বলেছেন, প্রবাসীদের শুধু রেমিটেন্স যোদ্ধা না বলে দেশের অর্থনীতির প্রধানতম চালিকা হিসেবে তাদের যথাযত সম্মান দিতে হবে। বাংলাদেশী নাগরিক পৃথিবীর যে দেশেই বসবাস করেন না কেন, নাগরিক হিসেবে তাদের প্রতিটি অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন যদি প্রবাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ভোটাধিকার বাস্তবে কার্যকর করতে পারে তবে সেটি হবে প্রবাসীদের জন্য সব চেয়ে বড় সম্মানজনক প্রাপ্তি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে আন্তরিক এবং প্রবাসীরা মনে করছেন ভোটার তালিকায় সহজ ভাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা বাংলাদেশ হাইকমিশনকেই পালন করবে।

তিনি গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশে হাইকমিশন লন্ডনে মতবিনিময় কালে বক্তব্য রাখছিলেন। যুক্তরাজ্য সফররত প্রফেসর আব্দুল হান্নান মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে তার পূর্বনিধারিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানের জন্য পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক আকবর হোসেন, হাইকমিশনের কাউন্সিলর মৌমিতা জিনাত।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার,দেশে প্রবাসীদের নিরাপদ বিনিয়োগ এবং দেশে প্রবাসীদের সম্পদ দখলরোধে আইনি সহায়তা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সামাজিক কর্তব্য বিষয়ে প্রফেসর আব্দুল হান্নান আলোচনা করেন।

তিনি হাইকমিশনার আবিদা ইসলামকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে বলেন, আমি দেশে সিলেট-২ নির্বাচনী আসনের একজন প্রার্থী। প্রবাসে আমার আসনের হাজার হাজার নাগরিক বসবাস করেন। অর্থনীতিতে তাদের অবদান কোনো ভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।আমি নির্বাচনী মতবিনিময়ের জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সিটিতে সফর করে সবার কাছ থেকেই এই দাবি পেয়েছি যে তারা সহজ উপায়ে তাদের ভোটাধিকার চান।তারা চান কোনো ধরণের জটিলতা ছাড়া ভোটার হয়ে তাদের আমানত ভোটটি প্রদান করতে।

প্রফেসর হান্নান প্রবাসী বিনিয়োগ বিষয় উল্ল্যেখ করে বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য দেশ চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। তিনি বিনিয়োগে আগ্রহীদের এ ক্ষেত্রে হাই কমিশন থেকে সহায়তা নেয়ার আহবান জানান, সেই সাথে তিনি নিজেও একজন ব্যবসায়ী এবং উদ্যোগতা হিসেবে তাঁর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন,প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ, চাঁদাবাজি কিংবা অন্যান্য কোনো কাজের ক্ষেত্রে যেন আইনি জটিলতার মুখোমুখি না হন। তিনি বলেন, সামাজিক কোনো বিষয়ে তিনি এবং তাঁর দল সর্বাত্বক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বিমান টিকেটের অতিরিক্ত মূল্য এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অন্য এয়ারলাইন্স চালু করতে হাই কমিশনের সহায়তা কামনা করেন।

হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম প্রফেসর আব্দুল হান্নানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, দেশে বিনিয়োগ, বিমানের ভাড়া সহনশীল পর্যায়ে নেয়াসহ প্রবাসীদের সকল ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়নে তাঁর পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সিলেট মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শাহীন, প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ এর প্রেস সেক্রেটারি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ নাগরিক ফোরাম ইউকের সভাপতি শাহ নেসার আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ, ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ নাগরিক ফোরাম ইউকের সদস্য সচিব
আব্দুর রহিম রঞ্জু, ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক কাজী নজমুল আহমদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আব্দুর রব, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব তালেব উদ্দিন রব, আব্দুর রউফ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ কামরুজ্জামান, আব্দুল বাসিত রফি প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস সম্পন্ন


আপডেট: ৮:১৯:৫৪, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধ বার
টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস সম্পন্ন

আজ আমরা শুধু শিক্ষাগত কৃতিত্ব নয়, তরুণদের উদ্যমতা,

সৃজনশীলতা ও উদারতাকেও স্বীকৃতি দিচ্ছি: মেয়র লুৎফুর রহমান

টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন এওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার। এতে বারার বিভিন্ন স্কুলের ২শ ৪৮ জন শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই এওয়ার্ডের মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটসের শিক্ষার্থীদের স্কুল জীবনের সাফল্য বা অর্জন, একনিষ্ঠতা, প্রতিভার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ডের জন্য নিজ নিজ স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মনোনীত করা হয়।

এওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে তরুণ মেধাবীদের সম্মান জানাতে এবং তাদের অর্জিত সাফল্য উদযাপন করতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে এই সংখ্যা প্রায় হাজার।

এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে চুড়ান্ত বিজয়ীদের হাতে সার্টিফিকেট এবং ৫০ পাউন্ডের ভাউচার তুলে দেন টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, এখন তাদের দ্বিতীয় বছরে, আমাদের বারার ক্যালেন্ডারে এডুকেশন এওয়ার্ড আমার প্রিয় মুহূর্ত গুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। আজকে আমরা শুধু শিক্ষাগত অর্জনের বা কৃতিত্বের মূল্যায়ন করছিনা বরং আমরা আমাদের তরুণদের সত্যিকার অর্থে অনুপ্রেরণাদায়ক করে তোলে এমন উদ্যমতা, সৃজনশীলতা এবং উদারতাকে আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি।
মেয়র বলেন, মনোনীত প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের স্কুল, তাদের পরিবার এবং তথা সমগ্র টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্যে সম্মান বয়ে এনেছেন।
এতে এডুকেশন কেবিনেট মেম্বার এবং ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইয়ূম তালুকদার ও চিলড্রেন্স সার্ভিসেস এর কর্পোরেট ডিরেক্টর স্টিভ রেডি এবং অনুষ্ঠানের স্পন্সর আইকন কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডক্টর নুরুন নবীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইয়ূম তালুকদার বলেছেন, এই এওয়ার্ডে নেতৃত্ব এবং টিমওয়ার্ক শুরু করে সততা এবং উদ্ভাবনীসহ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভিন্নমাত্রার শক্তিশালী গুণ বা প্রতিভার প্রতিফলন দেখা যায়। কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত তাদের কৃতিত্বকে উদযাপন করা এবং তাদের এই কষ্টার্জিত সাফল্যের পেছনে তাদের স্কুল এবং পরিবারের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ একটি ব্যাপার। এর মাধ্যমে মূলত সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসের সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ রচনা করছি।

চিলড্রেন্স সার্ভিসেস এর কর্পোরেট ডিরেক্টর স্টিভ রেড্ডি বলেন, “টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আজকের এই আয়োজন আমাদের তরুণ প্রজন্মের অসাধারণ অর্জনকে উদযাপন করছে। প্রতিটি শিক্ষার্থী তাঁদের প্রতিভা, অধ্যবসায় এবং স্কুল ও কমিউনিটিতে ইতিবাচক অবদানের জন্য সম্মানিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “এই বছর ২৭টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুরস্কার পাচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের পরিবার, শিক্ষক ও মেন্টরদের অবদানের স্বীকৃতিও জানানো হচ্ছে। এডুকেশন এওয়ার্ড ২০২৫ আমাদের টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রাণবন্ত, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং সম্ভাবনাময় চেতনার প্রতিফলন।”
তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারাই এই বরোর ভবিষ্যৎ। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আপনাদের পরবর্তী যাত্রা দেখার জন্য।

টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি ইয়ং মেয়র এবং এ বছর এডুকেশন এওয়ার্ডের কো-হোস্ট বা সহকারী উপস্থাপক রোচেল লিউইস গ্যারি বলেন, “শিক্ষা, সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব এবং ইতিবাচক নানা কর্মকান্ডে আমাদের তরুনদের সাফল্য উদযাপন করতে পেরে টাওয়ার হ্যামলেটস গর্বিত। একজন ইয়ং ডেপুটি মেয়র হিসেবে আমি এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সম্মানিত যারা পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে, নতুন ধারণা আনতে এবং আমাদের বারোকে বসবাস ও শেখার জন্য আরও ভালো জায়গা করে তুলতে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

এওয়ার্ডের জন্য বারার ভেতরে লোকাল অথরিটি অর্থাৎ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত, স্বাধীন এবং বিশেষ স্কুল অথবা কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে মনোনয়নের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যারা তাদের জিসিএসই, এ-লেভেল কিংবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য মনোনয়ন উন্মুক্ত ছিল।

পরিপূর্ণ অর্থে সাফল্য উদযাপন :
মনোনয়ন গুলোতে বিভিন্ন মানদন্ড প্রতিফলিত হয়েছে, বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে তরুনরা তাদের স্কুল এবং বৃহত্তর কমিউনিটিতে অবদান রেখেছেন। এওয়ার্ডে শুধু শিক্ষাগত কৃতিত্বের মূল্যায়ন করা হয়নি, বরং ব্যক্তিগত এবং শিক্ষাগত গুনাবলি: শিক্ষাগত কৃতিত্ব, শিক্ষাগত কৌতূহল, স্থিতিস্থাপকতা। নেতৃত্ব এবং সহযোগিতা: নেতৃত্ব, দলগত কাজ, সততা। – সৃজনশীল এবং সামাজিক অবদান: সৃজনশীলতা, সামাজিক সম্পৃক্ততা, স্কুলের অবদান। পুরষ্কার বিতরণীর পাশাপাশি, দিনটিতে বক্তব্য, পরিবেশনা, একটি ভিডিও এবং ইন্টারেক্টিভ এক্টিভিটিজের আয়োজন করা হয়, যেখানে তরুণরা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা এবং পরিবেশনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

শিশু এবং তরুণদের জন্য চলমান বিনিয়োগ :
এডুকেশন এওয়ার্ড টাওয়ার হ্যামলেটসের শিশু এবং তরুণদের শিক্ষাগত যাত্রায় বৃহত্তর সহায়তা এবং বিনিয়োগের অংশ।
কাউন্সিলের ইয়ূথ সার্ভিস, ইয়ং টাওয়ার হ্যামলেটস এ কাউন্সিল ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে, যা বারার ইয়ূথ সেন্টারগুলোসহ বিভিন্ন জায়গায় ইয়ংদের জন্যে বিনামূল্যে ১শটির মত এক্টিভিটিজ বা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল দেশের প্রথম লোকাল অথোরিটি যেখানে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারী স্কুলের সব শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি স্কুল মিল চালু করেছে, যার ফলে পরিবারগুলোর শিশু প্রতি বছরে গড়ে ৫৫০ পাউন্ড সাশ্রয় হচ্ছে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে, সেকেন্ডারী স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় দুই মিলিয়ন অতিরিক্ত ফ্রি মিল সরবরাহ করা হয়েছে।

এ বছর, কাউন্সিল স্কুল ক্লোদিং গ্র্যান্টও চালু করেছে, যে পরিবারে বছরে সর্বোচ্চ আয় ৫০,৩৫০ পাউন্ড সেই পরিবারের সন্তান যারা প্রথমবারের মতো প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারী শুরু করেছে তারা রিসিপশন ইয়ারের শিক্ষার্থীর জন্যে ৫০ পাউন্ড এবং ইয়ার সেভেন ইয়ারের শিক্ষার্থীর জন্য ১৫০ পাউন্ড স্কুল ইউনিফর্ম ও পোষাক ক্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য আখতার ইসলামের পিতার ইন্তেকাল : ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক


আপডেট: ১০:২১:৩৯, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গল বার
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য আখতার ইসলামের পিতার ইন্তেকাল : ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক

লন্ডন, ৬ অক্টোবর ২০২৫ : লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সাব এডিটর আখতার ইসলামের পিতা মোহাম্মদ মোস্তফা ৪ অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় খুলনা শহরের বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যূকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯৭ বছর। তিনি ৫ ছেলে, ২ কন্যা, নাতি-নাতনীসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখেছেন। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার খুলনা শহরে এবং দ্বিতীয় জানাজা গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বসিকপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরহুমকে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হবে।

আখতার ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়া হয়েছেন। একই সাথে তাঁর দুই ভাই আমেরিকা থেকে ও এক ভাই কানাডা থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন । তাঁরা বাংলাদেশে পৌঁছে পিতার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন। মরহুম মোহাম্মদ মোস্তফা কর্মজীবনে খুলনা নিউজপ্রিন্ট পেপার মিলে চাকরি করতেন।

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক : 
এদিকে আখতার ইসলামের পিতার মৃত্যুতে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ ও কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন । পাশাপাশি তাঁর স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণের শক্তি দানের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন। পিতার মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন আখতার ইসলাম।

বিবিসি প্যানোরামা’র প্রতিবেদনে তোলপাড় : পুলিশ সার্জেন্ট গ্রেফতার


আপডেট: ২:৪৮:০৭, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনি বার
বিবিসি প্যানোরামা’র প্রতিবেদনে  তোলপাড় : পুলিশ সার্জেন্ট গ্রেফতার

রোমান বখত চৌধুরী, ৫ অক্টোবর ২০২৫: লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সার্জেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে । সম্প্রতি বিবিসি প্যানোরামা’র এক গোপন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর পুলিশ স্টেশনে পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় এবং বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই সার্জেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই কর্মকর্তা লন্ডনের চারিং ক্রস পুলিশ স্টেশনে কর্মরত ছিলেন । পরে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশের ভেতরের গোপন চিত্র :
বিবিসি প্যানোরামায় গোপনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়— লন্ডনের ব্যস্ততম চারিং ক্রস পুলিশ স্টেশনে বর্ণবাদ, নারী বিদ্বেষ এবং শক্তি প্রয়োগে উল্লাস করার মতো আচরণ করছে কিছু পুলিশ সদস্য। তাছাড়া অভিবাসীদের গুলি করার কথা বলেছেন, গ্রেফতারে জোরজবরদস্তি করে আনন্দ পেয়েছেন, অথচ ধর্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগকে তারা গুরুত্ব দেননি।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ডি ভ্যালেন্টাইন বলেছেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি—চারিং ক্রসসহ মেট পুলিশের যেকোনো স্থানে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । তিনি আরও বলেন, আমরা সব পুলিশ ও কর্মীদের উৎসাহিত করি যেন তারা যেকোনো অপরাধমূলক আচরণ বা অনিয়ম রিপোর্ট করে—যাতে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি।
বিবিসির তদন্ত শেষ হওয়ার পর, তারা মেট পুলিশের কাছে বিস্তারিত অভিযোগের তালিকা পাঠায়। এর ভিত্তিতে আটজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়, আরও দুইজনকে তাদের বর্তমান পদ থেকে কম গুরুত্বপুর্ণ পদে বদল করা হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি বলেন বিবিসি প্যানারমার প্রতিবেদনে প্রকাশিত আচরণ ছিল ‘লজ্জাজনক, সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং পুলিশের নীতিমালা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে’।

যুক্তরাজ্যে পালিত হলো দশম ‘ভিজিট মাই মস্ক’ : নানা ধর্মের মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিলো ইস্ট লন্ডন মসজিদ


আপডেট: ৭:৫০:৩৩, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনি বার
যুক্তরাজ্যে পালিত হলো দশম ‘ভিজিট মাই মস্ক’ : নানা ধর্মের মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিলো ইস্ট লন্ডন মসজিদ

লন্ডন, ৪ অক্টোবর ২০২৫ : নানা ধর্ম ও বর্ণের হাজার হাজার মুসলিম-অমুসলিমের অংশগ্রহণে যুক্তরাজ্যে দশম বারের মতো উদযাপিত হলো ‘ভিজিট মাই মস্ক’ কর্মসূচি । ৪ অক্টোবর শনিবার যুক্তরাজ্যের দুই শতাধিক মসজিদ অমুসলিম নারী পুরুষ ও শিশু কিশোরদের জন্য খুলে দেওয়া হয় ।
ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইস্ট লন্ডন মসজিদ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘ভিজিট মাই মস্ক’ দিবস উদযাপন করে। সারাদিনই দলে-দলে আসতে থাকেন বিপুলসংখ্যক খৃস্টান, ইহুদী, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ । তাঁরা মসজিদের ভেতর ঘুরে দেখেন । মসজিদ ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে ফিরে যান তারা।

অন্যান্য মসজিদের মতোই ইস্ট লন্ডন মসজিদ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা ছিলো । দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারিয়াম সেন্টারের দ্বিতীয়তলায় নন-মুসলিম ভিজিটিং সেন্টারে বিপুল সংখ্যক নন-মুসলিম ও মুসলিমের উপস্থিতিতে দিবসের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় ।

মারিয়াম সেন্টারের ম্যানেজার সুফিয়া আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার মাইয়ুম মিয়া তালুকদার, মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. ওয়াজেদ আখতার ও ইস্ট লন্ডন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদ।
জুনায়েদ আহমদ বলেন, ভিজিট মাই মস্ক বৃটেনের মসজিদগুলোর জন্য একটি অপুর্ব সুযোগ। প্রতি বছর এই দিবসটিতে আমরা আমাদের গল্প তুলে ধরতে পারি। সেই গল্প হচ্ছে, আমরা কারা, আমরা কী করছি। ইস্ট লন্ডন মসজিদ ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত লন্ডনের সবচেয়ে প্রাচীণ মসজিদ । এখানে শুধু দৈনন্দিন উপাসনাই হয়না, এটি শিক্ষার একটি কেন্দ্রবিন্দু। কমিউনিটি সেবা থেকে শুরু করে তরুণনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবেশ সুরক্ষাসহ নানাবিধ কর্মসূচি এই মসজিদে পরিচালিত হয়ে থাকে। ভিজিট মাই মস্ক আমাদেরকে একে অপর সম্পর্কে জানা ও বুঝার সুযোগ করে দেয় । পারস্পারিক ভুল বুঝাবুঝি দুর করে । আজকের বিশেষ দিবসে মসজিদ ঘুরে দেখে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ ইসলাম ও মুসলমাদের জীবনের গভীরতা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।

এমসিবির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ওয়াজেদ অখতার বলেন, বিশ্বজুড়ে আমরা ইমলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভক্তি ও ঘৃণা ছড়ানো বৃদ্ধি পেতে দেখছি । তা দুর করতে আমরা আমাদের গল্প তুলে ধরবো । ভিজিট মাই মস্ক এই জন্য নয় যে, এখানে এসে আমরা ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি সম্পর্কে শিক্ষা নেবো । আমরা এসেছি আমাদের গল্প শেয়ার করতে, আমরা কারা, আমরা কী করছি। এটাই ভিজিট মস্ক কর্মসূচির মুল লক্ষ্য । তিনি আরো বলেন, ইস্ট লন্ডন মসজিদসহ বৃটেনের মসজিগুলো সারাবছর গুরুত্বপুর্ণ কাজ করছে । সেটা হতে পারে শরনার্থীদের সাহায্য করা, ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করা, আমাদের রাস্তাগুলোকে নিরাপদ রাখা কিংবা স্থানীয় হসপিসের জন্য ফান্ডরেইজ করা। কিন্তু এরপরও মসজিদ ও ইসলাম সম্পর্কে ভুল বুঝাবুঝি ও ঘৃণা ছড়ানোর প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে। আজকের ‘ভিজিট মাই মস্ক’ থেকে আমরা যে বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে চাই তা হলো, আমরা বিভক্ত নই, আমরা ঐক্যবদ্ধ । একতাই আমাদের শক্তি।
দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিলো নন-মুসলিমদেরকে মসজিদের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখানো, জামাতে নামাজ পড়ার দৃশ্য দেখানো, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রদর্শনী, চিলড্রেন এক্টিভিটি ইত্যাদি।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের নিউ-মুসলিম প্রজেক্ট-এর অফিসার শালিমা উদ্দিন মালিক দর্শনার্থীদের মসজিদের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখান । তিনি বলেন, আগতদের অনেকেই তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, তাঁরা মসজিদের আশেপাশেই বসবাস করেন । প্রতিদিনই মসজিদের পাশের রাস্তা দিয়েই হাঁটাচলা করেন। কিন্তু কখনো মসজিদে প্রবেশ করেননি। আজকে ভিজিট মাই মস্ক দিবসে মসজিদ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলে তারা মসজিদ ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। ইসলাম ও মসজিদ সম্পর্কে মিডিয়ায় তারা এতোদিন যে নেতিবাচক প্রচারণা দেখে আসছিলেন তা তাদের কাছে অমুলক মনে হয়ে হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একটি ইতিবাচক ধারণা জন্ম নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মুসলিম কাউন্সিল অব বৃটেন (এমসিবি) ভিজিট মাই মস্ক কর্মসূচি চালু করে । প্রথম বছরই নন-মুসলিমদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায় । ওই বছর যুক্তরাজ্যের ২০টি মসজিদ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে । পরের বছর ২০১৬ সালে দ্বিতীয় অপেন ডে’তে অংশগ্রহণ করে ৮০টি মসজিদ। ২০১৭ সালে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে দেড়-শতাধিক মসজিদ । এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সারাদেশের প্রায় ১৮০টি মসজিদে ব্যাপকভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয় । এরপর থেকে প্রতি বছর দেশব্যাপী অংশগ্রহণকারি মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে ।
এবার দুই শতাধিক মসজিদ ভিজিট মাই মস্ক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে । সারাদিনই নন মুলিমদের জন্য মসজিদগুলো উন্মুক্ত ছিলো। বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মসজিদগুলো ঘুরে দেখে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে একটি ভালো ধারনা নিয়ে ফিরে যান।