ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ পথ ফিরে পেয়েছে : জামায়াত আমীর ড. শফিকুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে পথহারা হয়েছিল, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবার পথ ফিরে পেয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের নর্থ ইংল্যান্ডের ওল্ডহাম শহরের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওয়েল ফেয়ার বিডির উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্খীদের ভীড় ছিল লক্ষ্যণীয়। অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের বক্তৃতা চলাকালে কোলাহল পূর্ণ পরিবেশে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে।
মাওলানা নোমান আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সৈয়দ বদরুল আলম, সারওয়ার হোসাইন সুজন ও নুরুল আমিন তারেকের প্রাণবন্তকর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী ইমরান আহমেদ চৌধুরী এবং সংগীত পরিবেশন করে নর্থ কালচ্যারাল গ্রুপের সদস্যরা।
বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যম তাঁর বক্তব্য খন্ডিত করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলনে, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা গণহত্যা এবং জুলুম নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার এ সরকারকে শুরু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচজনকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে জেলখানার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, এমন কোনো কাজ যদি দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতির কারণ হয়, দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সংশোধনের উদ্দেশ্য উত্তম পরামর্শ দিবেন। দ্বীনের ন্যায় সঙ্গত কাজে অতীতে যেভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন সবার কাছ থেকে, সেটা অব্যাহত রাখতেও অনুরোধ করেন।
র্দীঘ বক্তৃতা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব গভীর মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন উপস্থিত ৬ শতাধিক শ্রোতাবৃন্দ।
এছাড়া ড. শফিকুর রহমান দলীয় নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্খীদের পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথা উল্লেখ করে বলেন, উপযুক্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই শান্তিময় জীবনযাপন সম্ভব হবে। এছাড়া তিনি বৃটেনে যারা বসবাস করছেন, তাদের সে দেশকে সম্মান, দেশের আইন, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান এবং সামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার উপদেশ প্রদান করেন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. রেদওয়ানুর রহমান, শিক্ষাবিদ ড. দিলদার চৌধুরী, আতিকুর রহমান জিলু, সৈয়দ জামিরুল ইসলাম বাবু, আনোয়ার আলী জিতু এবং জাহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে নেতাকর্মীরা বলেন, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৈষম্যহীন এবং ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমেই, ‘জেনারেশন জেড’ কর্তৃক অর্জিত বিপ্লব স্বার্থক হবে।