সাবেক এমপি ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে চোরাই গাড়ি ব্যবসার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৪
দেশ ডেস্ক:: গ্রেপ্তারের পর জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে চোরাই গাড়ি ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি। এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ১ ও ৯। জাপার সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকায় তারকা হোটেল নির্মাণের নামে কয়েক কোটি টাকা হাতি নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপরে হামলার অভিযোগে গত ২ অক্টোবর সিলেটের কোতোয়ালি থানায় ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন কুমারপাড়ার বাসিন্দা সাবুর আলী সাবু।
ওই মামলায় তাকে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে কাস্টমস এক্সাইজ এবং ভ্যাট কমিশনারের কাছে অভিযোগে সোহেল রানা বলেন, ইয়াহিয়া ও তার ভাই সোহল আল-রাজি চৌধুরী ল্যান্ডক্রজার (প্রাডো) গাড়ি ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৫২৭০ ও রেঞ্জরোভার ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৮৮১৯ ব্যবহার করেন। এ দুটি গাড়ি যন্ত্রাংশ হিসেবে আমদানি করে শুল্ক ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়িয়ে আনেন। কুড়িল বিশ্বরোডের আশীসের গ্যারেজে নতুন গাড়ির চেসিস নম্বর মুছে ফেলে পুরান গাড়ির চেসিস নম্বর বসিয়ে নেন। ওই গাড়িটি ২০২১ মডেলের হলেও নম্বর প্লেট ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৫২৭০ অনুযায়ী কাগজ কলমে ১৯৯৮ মডেলের। আবার ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৮৮১৯ রেঞ্জরোভার গাড়িটি ২০১৫ মডেলের হলেও নম্বর প্লেট অনুযায়ী কাগজ কলমে সেটি ১৯৯৮ মডেলের। এর ফলে একই নম্বর প্লেটে দুটি গাড়ি চলছে।
এদিকে গত ২৭ জুন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ইয়াহিয়া চৌধুরী। সেখানে তার অংশীদারদের প্রধান আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর ২ নম্বর সড়কে ১৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে চার তারকা মানের বেঙ্গল হোটেল অ্যান্ড ইসপিটিলিটি লি. নামে আবাসিক হোটেলের তার অংশীদার। তবে জিনাত রিজওয়ানা লোকজন নিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করে তার স্টাফদের মারধর করে আহত করেছেন। অনেক মালামাল লুট করেছেন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান তদন্তে এর কোনো সত্যতা পাননি। উল্টো অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শেষে গত ৩১ অক্টোবর ওই মামলার অভিযোগে মিথ্যে মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। সেখানে মিথ্যে অভিযোগের কারণে ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় উল্টো অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
ইয়াহিয়া চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।