আইফোন ও অর্থ হাতিয়ে নিতে খালা-খালাতো ভাইকে খুন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৪
সিলেট প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ শহরের আলোচিত মা-ছেলে খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। আইফোন ও কিছু অর্থ হাতিয়ে নিতেই ভাগনের হাতে খুন হন ফরিদা বেগম ও তাঁর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন খান বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই কিশোরের একজনের খালাতো ভাই নিহত মিনহাজুল। এক সপ্তাহ আগে ওই কিশোর ও তার বন্ধু পরিকল্পনা করে মিনহাজের আইফোন এগারো ও কিছু টাকা চুরি করে নিজেরা পার্টির আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মিনহাজদের বাসায় আত্মীয়স্বজন থাকায় চুরি করা সম্ভব হচ্ছিল না। মঙ্গলবার রাতে বাসা খালি থাকায়, শেষ রাতের দিকে মিনহাজের খালাতো ভাই তার বন্ধুকে বাসায় ডাকে। পরে দুই বন্ধু মিনহাজের কক্ষে ঢুকে ফোন চুরি করার সময় টের পায় মিনহাজ। তিনজনে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বটি দিয়ে আঘাত করা হয় মিনহাজকে। হট্টগোলের আওয়াজ পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে মিনহাজের মা এলে তাকেও বটি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ফরিদা বেগম ও তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিনহাজুল ইসলাম নিহত হন।
পুলিশ সুপার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ দ্রুত অপরাধীকে শনাক্ত করে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে তার এক বন্ধুকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করে। ঘটনায় জড়িত দু’জনেই শহরের একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগরে (এসপির বাংলোর সামনে) নিজের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন ফরিদা ও মিনহাজুল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন করতে থানা পুলিশের পাশাপাশি সিলেট থেকে পিবিআই ও সিআইডি কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন।