‘এডাস্ট হবে কারিগরি ও দক্ষতাভিত্তিক প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়’
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্মমূখী শিক্ষার সম্প্রসারণ ও দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট খোলার বিষয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক আলোচনা সভা (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর বিকাল ৫ টায় এই সভা (ভার্চুয়াল) হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মাননীয় চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম লিটন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. এ.এন.এম এহসানুল হক মিলন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক বিশেষ দূত ও মেরিন পলিসি এক্সপার্ট ক্যাপ্টেন মঈন আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ও ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রউফ, বিসিএস এডমিন একাডেমির সাবেক সিনিয়র ফ্যাকাল্টি শেখ আখলাক আহমেদ, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র করেন্সপন্ডেন্ট মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার, যুক্তরাজ্যের ফ্রিল্যান্সার ও সিনিয়র ডাটা ইঞ্জিনিয়ার রুপম রাজ্জাক, এম.এম শামীম, এগ্রটেক এক্সপার্ট ও কৃষি উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন আহমেদ সৈকত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আদনান রহমান, রোবোটিক্স এন্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মাজিদ ইশতিয়াক আহমেদ এবং সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন শাহীন।
প্রধান অতিথি ড. এ.এন.এম এহসানুল হক মিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং (টিভিইটি) ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রয়োজনের তাগিদে আগামীতে সরকার পৃথকভাবে প্রযুক্তি ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রশিক্ষণে একাডেমিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ তথ্য-উপাত্ত সহ ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি সেক্টর, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, হেলথ এন্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট, ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট, রিনিউয়েবল এনার্জি, জাপানিজ ল্যাগুয়েজ এন্ড কালচার, এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি, ইংলিশ কমিউনিকেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স কোর্স চালু করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। কোর্স পরিচালনায় সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপতি মো. শামসুল আলম লিটন সম্মানিত অতিথিদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং, মেরিটাইম (সি সারফিং), হেলথ এন্ড সোস্যাল কেয়ার এবং ভ্যাট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে নতুন কোর্স চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অভিজ্ঞ দেশী ও বিদেশী ট্রেনিং প্রাপ্ত প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং কোর্সগুলো হবে স্বল্প খরচের। কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই কার্যক্রম সফল করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সহ সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর তানঝিম আরা ইঝুম এবং সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম পরিসমাপ্তি করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি