ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে আপনার যা জানতে হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বজুড়ে অক্টোবর হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাস । ইউকে-তে এই ক্যান্সারে আক্রান্তের হার অত্যন্ত বেশি।
সাউথ ওয়েস্ট লন্ডন ব্রেস্ট স্ক্রিনিং সার্ভিসের কনসালটেন্ট রেডিওলজিস্ট ডা. মমতা রেড্ডি বলেন, ‘প্রতি সাতজন নারীর মধ্যে একজন তাদের জীবদ্দশায় ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।‘
তিনি আরো বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব হলে চিকিৎসায় সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কাজেই আমাদের সবার জানতে হবে ব্রেস্ট ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য কী কী করতে হবে এবং কোথায় গেলে সাহায্য পাওয়া যাবে। আমাদের পুরুষদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে কারণ বিরল হলেও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে তারাও। কারণ সবারই কিছু ব্রেস্ট টিস্যু থাকে।’
আমি কোন বিষয়টি দেখব?
ডা. রেড্ডি বলেন, ‘আপনার ব্রেস্ট স্বাভাবিক সময়ে দেখতে কেমন তা আপনাকে জানতে হবে। নিয়মিত আপনাকে ব্রেস্ট পরীক্ষা করতে হবে । তাহলে কোন ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন। এই পরিবর্তনই আপনাকে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সতর্ক করে তুলবে। পিরিয়ড-পরবর্তী সময় এ পরীক্ষা করার জন্য যথোপযুক্ত । আপনার পিরিয়েড যদি নিয়মিত হয় বা না হয় সে বিষয়টিও এক্ষেত্রে নজরে রাখতে রাখতে হবে।’
ব্যথা ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ। তবে এটাকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের অবধারিত লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া যায় না। ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ব্রেস্টে লাম্প বা গোটা এবং ব্রেস্টের টিস্যুর পুরুত্ব বেড়ে যাওয়াকে ধরে নেয়া যেতে পারে । ডা. রেড্ডি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বহু মানুষ ব্রেস্টে লাম্পের উপস্থিতি পাওয়ামাত্র আতংকিত হয়ে ওঠেন । তবে সৌভাগ্যবশত সব লাম্পই ক্যান্সার নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া সবচেয়ে ভালো।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:
১. একটি বা দুটি ব্রেস্টেরই আকারে পরিবর্তন আসা বা গোটার উপস্থিতি
২.বগলে গোটার উপস্থিতি বা জ্বালাপোড়া
৩. ব্রেস্টের ত্বক কুচকে যাওয়া বা গর্তের উপস্থিতি
৪.নিপল বা এর আশপাশে র্যাশ
৫.নিপল থেকে কিছু বের হওয়া। যেখানে রক্তের উপস্থিতি স্পষ্ট
৬.নিপলের আকৃতিতে পরিবর্তন। যেমন ব্রেস্টের মধ্যে ঢুকে যাওয়া।
কী করে নিজের শরীর পরীক্ষা করতে হবে তা জানতে দেখতে পারেন www.nhs.uk/common-health-questions/lifestyle/how-should-i-check-my-breasts
আমি কি উচ্চ ঝুঁকিতে আছি?
ইউকেতে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি তার ব্যাকগ্রাউন্ডভেদে ভিন্ন হয়। তবে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড যাই হোক না কেন আপনাকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের সঠিক কারণ সম্পর্কে অবশ্য এখনো সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি । তবে কিছু কিছু কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ডা. রেড্ডি বলেন, ‘নারী হওয়া এবং বয়স বাড়তে থাকা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে ঝুঁকি । ‘ প্রতি ১০ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর মধ্যে আটজনেরই বয়স ৫০-এর ওপরে। তবে কম বয়সী নারী ও পুরুষরাও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।
আপনার ঘনিষ্ঠ কোনো আত্মীয় যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার বা ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডা. রেড্ডি বলেন, ‘মায়ের কাছ থেকে এ ধরনের কিছু জিন তার সন্তানের মধ্যে চলে আসার আশংকা সব সময়ই থাকে। আপনার যদি এ নিয়ে উদ্বেগ থাকে তাহলে জিপি প্র্যাকটিসের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন। তারা আপনাকে যথাযথ পরামর্শ দেবেন এবং এনএইচএস জেনেটিকস পরীক্ষার জন্যও আপনাকে পাঠাতে পারেন। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আপনি নিশ্চিত হবেন, ক্যান্সারের ঝুঁকিসহ কোনো জিন আপনার শরীরে আছে কিনা। বা অন্য কোনো কারণে আপনি ঝুঁকির মধ্যে আছেন কিনা।
আমি কি এটা প্রতিরোধ করতে পারি?
ব্রেস্ট ক্যান্সার ঠেকানোর জন্য নানা ধরনের গবেষণা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা । কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয় । অংকের পরিমাপে যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলেও কিছু সুবিধা পাওয়া যায় । স্যাচুরেডেট ফ্যাট এবং অ্যালকোহল গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে রাখাও ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় হতে পারে। সুস্বাস্থ্য রক্ষায়ও এগুলো সহায়কের ভূমিকা পালন করে । হার্ট অ্যাটক, ডায়াবেটিস বা অন্য ক্যান্সার থেকে সুরক্ষাও এগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
স্ত্রী হরমান ইস্ট্রোজেন অনেক সময় ব্রেস্ট ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কম বয়সে পিরিয়ড হওয়া এবং সময় পার করে মেনোপজ হওয়াও ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দীর্ঘ দিন ইস্ট্রোজেন হরমন শরীরে থাকা। যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রেস্টফিডিং ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খুব বেশি সহয়কের ভূমিকা পালন করে না।
আমার কি স্ক্রিনিং-এর প্রয়োজন আছে?
ব্রেস্ট স্ক্রিনের এক্স-রে হচ্ছে মেমোগ্রাফি। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরকে ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্ত করা সহজ হয়। অনেক ক্ষেত্রেই আপনি নিজে বুঝে ওঠার আগেই এই পরীক্ষার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
এনএইচএসের পক্ষ থেকে ৫০ থেকে ৭১ বছর বয়সী নারীদের জন্য বিনামূল্যে এ সেবা প্রদান করা হয়। ইউকে-তে প্রতি বছর অন্তত এক হাজার ৩০০ নারীর প্রাণ এই সেবার কারণে রক্ষা পায়। ডা. রেড্ডি বলেন, ‘আমরা জানি, এই পরীক্ষা প্রাণ রক্ষায় সহায়কের ভূমিকা পালন করে। তবে বহু নারী এই পরীক্ষা করাতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিষয়টি নিয়ে নারীদের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত জরুরি। স্ক্রিনিং-এ কী হয় তা তাদের জানাতে হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় তাদের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। সেক্ষেত্রে তারা হয়তো কিছুটা স্বস্তি পাবেন।’
পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগে অন্তত ৩০ মিনিট । মেমোগ্রাম মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। সেখানে আপনি এক বা দুজন নারী মেমোগ্রাফারকে পাবেন। যারা এই পরীক্ষা করবেন এবং একই সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে তার জবাব দেবেন। এই অভিজ্ঞতা স্বস্তিকর করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় সব কিছুই করবেন।’
প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশি নারী ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করান। প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে অন্তত চারজনকে এর পরও আরো নানা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই চারজনের মধ্যে অন্তত একজনের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে।
এ ধরনের স্ক্রিনিং করার জন্য আগ্রহীদের বেশিরভাগ সময়ই হাসপাতালে যেতে হয়। তবে সব ক্ষেত্রে বিষয়টি কার্যকর নাও হতে পারে। বাকিদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভ্রাম্যমাণ স্ক্রিনিং ভ্যানের breast screening service ব্যবস্থাও রয়েছে। ভ্যানগুলো সাধারণত সুপারমার্কেটের পার্কিং বা অন্য জায়গায় রাখা হয় । এই সেবা নিতে হলে আপনাকে স্থানীয় ব্রেস্ট স্ক্রিনিং সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোথায় এই পরীক্ষা করা যেতে পারে সে ব্যাপারে সেখান থেকেই পরামর্শ দেয়া হবে।
বয়স ৭১ পার হলে আপনাকে এনএইচএস আর অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাঠাবে না । আপনি নিজে প্রতি তিন বছর অন্তর এই পরীক্ষা চালিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে screening service –এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মেমোগ্রাফি করানোর জন্য অনুরোধ করতে হবে।
আপনার যদি স্ক্রিনিং-এর অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস হয়ে যায় তাহলেও বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ নেই। অ্যাপন্টেমেন্টের তারিখ যদি এক সপ্তাহ , মাস বা বছরও পার হয়ে যায় তারপরও আপনি screening service – এর সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে লজ্জার কিছু নেই
উষা মারওয়াহর বয়স ৬৯। সাবেক এই ফ্যাশন ডিজাইনারের চারটি নাতি-নাতনি রয়েছে। তিনি ডায়াবেটিক ও হার্টের অসুখে আক্রান্ত। তার হার্টে দুটি রিং পরানো। এক সময় তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। রোগটিকে পরাজিত করেছেন তিনি।
তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘২০০৯ সালে টিভি দেখার সময় আমি বাম ব্রেস্টে একটা মোচড় অনুভব করি। ধরার পর মনে হলো, একটা লাম্প বা গোটা। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে আমি খুব একটা দুশ্চিন্তা করিনি। তবে মনে হলো, বিষয়টি নিয়ে জিপি প্র্যাকটিসের সঙ্গে কথা বলে রাখা ভালো।
ওই লাম্প থেকে ছোট একটি টিস্যু নিয়ে বায়োপসি করা হলে জানা যায়, আমি স্টেজ ফোরের হরমোনাল ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। দ্রুতই আমি রেডিওথেরাপি শুরু করি। এবং চিকিৎসা চালিয়ে যাই। এরপর আট বছর আমি ভালো ছিলাম। ২০১৭ সালে একই ব্রেস্টে আবার ক্যান্সার ফিরে আসে। ওই সময় আমার অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাও ছিল। যে কারণে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারে ভয় পাচ্ছিলেন। এরপর একটি ব্রেস্ট ফেলে দিতে আমি মাসটেকটমি করাই। এর আগে আট মাস আমি কেমোথেরাপি করিয়েছি । সৌভাগ্যবশত আমি দ্বিতীয়বারের মতো ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাই।’
‘২০২০ সালে পরিবারের সঙ্গে আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাই। ওই সফরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। কোভিড তখন কেবল পুরো বিশ্বে ছড়াতে শুরু করেছে। আমাদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, আমরাও এতে আক্রান্ত হতে পারি। আমার শরীরটাও খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। তখনও এটি নিশ্চিত করার মতো কোনো পরীক্ষা ছিল না। আমরাও নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। ওই সময় আমার পরিবারের বাকিরা সুস্থ থাকলেও আমি সেরে উঠতে পারিনি। আমার বুকে আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা আমাকে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। তাতে দেখা যায়, ক্যান্সারের কোষ আমার ফুসফুস ও প্লীহায় ছড়িয়ে পড়েছে।’
‘আমার আগে আমার পরিবারের কেউ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন না। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে তিনবার আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে । বিষয়টি শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। ক্যামোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং শারীরিকভাবে আমার যে পরিবর্তন তা মেনে নেয়া সহজ ছিল না। এক পর্যায়ে আমাকে বলা হয়, আমি হয়তো আর ৯-১৮ মাস বাঁচব। সে সময় আমার স্বামী-সন্তান ও নাতি-নাতনিরা ক্রমাগত আমাকে মানসিকভাবে উৎসাহ যুগিয়ে গেছে। নানাকিছুতে তারা আমাকে ব্যস্ত রেখেছে এবং এমনও সময় গেছে যখন অসুস্থতার কথা আমার মনেই পড়েনি । আমি আমার চিকিৎসা সম্পন্ন করেছি। সব টেস্ট করিয়েছি। গত দুটি সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, আমার শরীরে আর ক্যান্সারের কোষ নেই।’
‘সময় কঠিন হতে পারে। কিন্তু আমি আমার মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করেছি এবং ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। আমি এখনো শিল্প ও ফ্যাশন পছন্দ করি। ইউটিউব থেকে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি। এছাড়াও South Asian Health Action (SAHA) –এ আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করি । এই বিষয়টিও জীবনের প্রতি আমাকে ইতিবাচক থাকতে সহায়তা করে। সাহা-তে আমি আমার রোগ এবং রোগমুক্তি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলি। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করি । তাদের মাধ্যমেই আমি NHS Core20PLUS5 health inequalities project– এ যোগ দেই। এভাবেই বিভিন্ন ক্যান্সার কমিউনিটির সঙ্গে আমার সংযোগ তৈরি হয় । কারণ আমি জানি, এ রোগ বহনের অনুভূতি কেমন।”
‘আমাদের সংস্কৃতিতে অনেক সময়ই আমাদের শরীরও আমাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে শরীরে কোন লাম্পস দানা বাঁধছে কিনা তা আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পারি। গোসলের সময় কাজটি করা যায়। টিভি দেখার সময়ও করা যায়, যেমন আমি করেছিলাম। ক্যান্সার স্ক্রিনিং-এর জন্য আমাদের যে প্রস্তাব দেয়া হয় তাও আমরা গ্রহণ করতে পারি। ডাকে এ প্রস্তাবসহ চিঠি আসে। কোন কিছু নিয়ে যদি অস্বস্তি থাকে তাহলে বিষয়টি নিয়ে জিপি প্র্যাক্টিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। হয়তো কিছুই পাওয়া যাবে না। কিন্তু এ পরীক্ষা আপনার মনকে স্বস্তি দেবে। তবে যদি পরীক্ষায় ক্যান্সার সনাক্ত হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ আপনার জীবন বাঁচাতে সহায়ক হতে পারে।