বিষপান ও প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
দেশ ডেস্ক: বিষ এমন একটি পদার্থ যা শরীরে প্রবেশের পর অসুস্থতা, আঘাত বা মৃত্যু হতে পারে। বিষ সম্পর্কে বলা হয়,‘A poison is a substance that causes injury, illness or death, when it enters into the body’. বিষ তরল, ধূয়া ও গ্যাস আকারের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যেভাবে প্রবেশ করুক না কেন তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিষপান করলে সাধারণত হাসপাতালে নেয়ার আগে রোগীর অবস্থা নাজুক হয়ে যায়। আর এজন্য দরকার হয় প্রাথমিক চিকিৎসার। নিচে বিষপানের প্রাথমিক চিকিৎসা উল্লেখ করা হলো:
উন্মুক্ত স্থানে রাখা: বিষপানের রোগীকে প্রথমে উন্মুক্ত স্থানে রাখতে হবে। যেখানে পর্যাপ্ত বাতাস থাকে। যাতে করে রোগী কিছুটা স্বস্তি অনুভূতি লাভ করে।
বিষ চিহ্নিতকরণ: আগে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, রোগী কোন ধরনের বিষপান করেছে। বিষপান যদি অধিক ক্ষতিকর হয় তাহলে বিলম্ব না করে তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
লালা পরীক্ষা: প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে রোগী কোন ধরনের বিষপান করেছে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। তারপর বিষপানের ধরণ অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দিতে হবে।
সতর্কতার সঙ্গে সরানো: রোগীকে যদি পূর্বের স্থান থেকে সরানো দরকার পড়ে, তখন তাকে সতর্কতার সঙ্গে সরাতে হবে। দরকার হলে দু-তিনজন লোক তাকে ধরে নিয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কোন উত্তেজক পানীয় ও খাদ্য খাওয়ানো যাবে না।
বালিশ দিয়ে শুয়ানো: অজ্ঞান হলে রোগীকে উপুড় করে বুকের নিচে বালিশ দিয়ে শুইয়ে দিতে হবে। রোগীর পা দুটো হাটু হতে উপরের দিকে ভাজ করে দিতে হবে।
পানি দেয়া: জ্ঞান ফেরার জন্য মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। গরম চা বা কফি খাওয়াতে হবে।
হাসপাতালে প্রেরণ: রোগীর মূল চিকিৎসা মূলত হাসপাতালে যাওয়ার পর শুরু হয়। সেখানে রোগীকে মুখে নল ঢুকিয়ে বমি করানোর ব্যবস্থা করা হয়।
সুতরাং বলা যায়, হাসপাতালে নেয়ার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা যতদূর সম্ভব প্রদান করলে রোগী তুলনামূলক ভালো অবস্থায় থাকে যাতে চিকিৎসা দ্রুত হয়।
[লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম রচিত ‘জনস্বাস্থ্য ও সমাজকর্ম’ শীর্ষক বই থেকে] (মানবজমিন থেকে নেওয়া)