অবিলম্বে গুম, গোপন আটক বন্ধের আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (ভিডিওসহ)
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৭
দেশ ডেস্ক: গুম ও সিক্রেট বা গোপন আটক বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ও অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। ৫ই জুলাই নিউ ইয়র্ক থেকে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী সহ কয়েক শত মানুষকে অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষগুলো। তাদের অনেককে আটক রাখা হয়েছে সিক্রেটভাবে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এমন গুম অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত বাংলাদেশ সরকারের। একই সঙ্গে এসব অভিযোগের দ্রুততার সঙ্গে পক্ষপাতহীন, নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। সংশ্লিষ্টদের পরিবারের কাছে এ বিষয়ে জবাব দেয়া উচিত। এরকমভাবে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সদস্যদের বিচার করারও দাবি জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। বাংলাদেশের গুম নিয়ে ৮২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এর শিরোনাম ‘‘‘উই ডোন্ট হ্যাভ হিম’: সিক্রেট ডিটেনশনস অ্যান্ড এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস ইন বাংলাদেশ”। এতে বলা হয়, শুধু ২০১৬ সালেই বাংলাদেশে গুম হয়েছেন কমপক্ষে ৯০ জন। অনেককে সিক্রেটভাবে কয়েক সপ্তাহ বা মাস আটক রাখার পর তাদেরকে আদালতে তোলা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২১টি ঘটনা প্রামাণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যেখানে বন্দিদের পরে হত্যা করা হয়েছে। ৯ জন কোথায় আছেন এখনও জানা যায় নি। এতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের আগস্টে বিরোধী দলীয় প্রথম সারির রাজনীতিকদের তিনজন ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সিক্রেটভাবে আটক রাখার ৬ মাস পরে তাদের একজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে অন্য দু’জন রয়েছেন নিখোঁজ। ২০১৭ সালের প্রথম ৫ মাসে ৪৮ জন মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিক্রেট কারাগারে আটক রাখার সময়ে অনেককে নির্যাতন ও অশোভন আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, গুমের ঘটনা প্রামাণ্য এবং এ বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু সরকার আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে এই চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। লোকজনকে আটক, তাদেরকে দোষী বা নির্দোষ সাব্যাস্ত করা, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা এমনকি তাদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে কিনা সে বিষয়ে দৃশ্যত মুক্তভাবে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা।