হামলার পর হামলায় থমকে গেছে বৃটেন : লন্ডনারদের জীবনযাত্রায় স্থবিরতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুন ২০১৭
দেশ রিপোর্ট: ২২ মার্চ বৃটিশ পার্লামেন্টের কাছে সন্ত্রাসীর গাড়িচাপায় ৫ নিরপরাধ ব্যক্তি নিহত হওয়ার দুই মাসের মাথায় মানচেস্টারে ভয়াবহ বোমা হামলা কেড়ে নেয় আরো ২২ প্রাণ। আর মানচেস্টারের ঘটনার ১২দিনের মাথায় নৃশংস কায়দায় লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলায় খুন হলেন আরো ৭ জন। এই তিন সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ ব্যক্তি। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৬২ জন। হামলার পর হামলায় থমকে গেছে বৃটেন। স্থবির হয়ে পড়েছে লন্ডনারদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। হামলার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে মুসলিম কমিউনিটি। মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কঠিন সময় পার করছে। রাস্তাঘাতে হেঁটে চলার সময়, শপিংমলে কেনাকাটার সময় আতংকে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। কখন, কে বোমা ছুঁড়ে মারে কিংবা গাড়ি চাপা দেয়-এই আতংকে তটস্থ থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
৩ জুন লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার পর বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসসহ পুর্ব লন্ডনের এশিয়ান কমিউনিটির মানুষের জীবনযাত্রায় অস্বাভাবিক স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাসে, ট্রেনে, রাস্তাঘাট ও শপিং মহলে বাঙালি মুসলমাদের কোলাহল অনেকটা কমে গেছে। বিশেষ করে দাড়িওয়ালা, টুপি, পাঞ্জাবী পরা মুসলিম পুরুষ এবং হিজাবী নারীদের মধ্যে আতংক পরিলক্ষিত হচ্ছে বেশি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় লন্ডন ব্রীজ হামলা:
ফ্যাশনেবল এলাকা বলে খ্যাত লন্ডন ব্রিজ এবং বারা মার্কেট এলাকার সবগুলো রাস্তা ভর্তি বার, পাব আর রেস্টুরেন্টে। ছুটির সন্ধ্যাগুলোতে প্রায় সব সময়ই জনাকীর্ণ ও কোলাহলপূর্ণ থাকে এই এলাকাটি। ৩ জুন শনিবার সন্ধ্যাটিও তার ব্যতিক্রম ছিল না; কিন্তু উচ্ছ্বাস-আনন্দে ভরপুর সন্ধ্যাটার শেষটা ছিল বিষাদে গাথা। রাত ১০টার দিকে লন্ডন ব্রিজে জনতার ভিড়ের মধ্যে একটি ভ্যান চালিয়ে দেয় তিন হামলাকারী। এরপর তারা সাদা রঙের ওই ভ্যান থেকে ছুরি হাতে বেরিয়ে আসে এবং কাছের বারা মার্কেট এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। এতে নিহত হয় সাতজন এবং আহত হয় ৪৮ জন। পরে পুলিশের গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত হয়।
৫৩ বছর বয়সী প্রত্যক্ষদর্শী মার্ক রবার্টস বলেন, ‘এটি ছিল ভয়ানক’। রবার্টসের মতো আরো অনেকে এদিন সাক্ষী ছিলেন লন্ডন ব্রিজ ও বারা মার্কেটে এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার। রবার্টস বলেন, প্রথমে সাদা একটি ভ্যান ব্রিজের ফুটপাথে হাঁটতে থাকা মানুষের ওপর তুলে দিলে হামলাটি শুরু হয়। ‘মনে হচ্ছিল চালক নির্দিষ্ট করে একটি দলকে লক্ষ্য করেছিল। আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত।’ হামলাকারীদের ভ্যানটি ফুটপাথে তুলে দেয়ার পর অন্তত ছয়জনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন রবার্টস।
গেরার্ড নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ঘটনার পর আমি এক বৃদ্ধকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি, যিনি বলছিলেন তাকে ছুরি মারা হয়েছে।’ গেরার্ড এক বালিকাকে তিন হামলাকারী কর্তৃক একের পর এক ছুরি মারতে দেখার কথাও জানান।
‘তারা ওই মেয়ের ওপর হামলা চালায় এবং আরেক ব্যক্তিকে ছুরি মারে। তারা রাস্তার ওপর দৌড়ে পাবের এক বাউন্সারকে ছুরি মারে।’ আমি তাদের দিকে বোতল, বিয়ারের গ্লাস, চেয়ার, টুল সব ছুড়ে মারছিলাম, তবুও আমি ছিলাম অসহায়। সব কিছুর পর ওই বালিকাকে মারা ছুরির দৃশ্যই গেরার্ডের চোখে ভাসছিল।
‘তারা মেয়েটিকে ১০ কি ১৫ বার ছুরি মেরেছিল। মেয়েটি সেসময় বারবার সাহায্যের আকুতি জানাচ্ছিল।’ গেরার্ডের দাবি, তার ছুড়ে মারা জিনিস এক হামলাকারীর পেছন দিকে আঘাত করলে হামলাকারী তাকে ধাওয়া দেয়, তবে শেষপর্যন্ত তিনি পালাতে সক্ষম হন।
ডি নামের ২৬ বছর বয়েসী আরেক নারী প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, লন্ডন ব্রিজের সথে এসে ধাক্কা খায় একটি ভ্যান। সেখানে ছুরিধারী এক ব্যক্তি দৌড়াচ্ছিল। তিনি সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে মদ বারের ভেতর ঢুকেন। আতঙ্কগ্রস্ত মহিলা তার নামের শেষাংশ জানাতে অস্বীকার করেন। মার্ক রবার্ট নামের আরো এক ব্যক্তি বলেন, ‘ব্রিজে অন্তত ছয়জন হতাহত হয়। ভয়ানক পরিস্থিতি দেখে আমি হীম হয়ে যাই, কী করতে হবে বুঝতে পারছিলাম না।’ কলুম ওডয়ের তখন বারা মার্কেটের কাছে এক রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন। তিনি সেখানকার ভয়াবহ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম যে, পিতা-পুত্র দৌড়ে পালাচ্ছেন। লোকজন ও নিরাপত্তারক্ষীরা দৌড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, কে বা কারা তাদের ছুরিকাহত করেছে বা করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে সারাহ কার্ন আলজাজিরাকে জানান, আমি পাঁচ বা ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেলাম এবং লোকজনকে দৌড়াতে দেখলাম। তারা রাস্তা দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল। আমি টি-শার্ট পরা একজনের শরীর রক্তে ভেজা দেখতে পেলাম। ইতালির ফটোগ্রাফার গ্যাবরিয়েল শিয়োট্টো বারা মার্কেটের কাছে একটি বারে টিভিতে চ্যাম্পিয়ন লিগ ফাইনাল দেখছিলেন। বারের ঠিক বাইরে তিন ব্যক্তিকে গুলি করতে দেখতে পেলেন। তিনি এক হামলাকারীর ছবি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। পরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।
জানাজা পড়াতে ১৩০ ইমামের অপারগতা:
লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের জানাজা পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন লন্ডনের ১৩০ ইমাম। তাঁরা এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামের নামে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের জানাজা না পড়ানোর কথা জানিয়েছেন। এদিকে গত ৫ জুন সোমবার ইস্ট লন্ডন মসজিদে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। যারা ইসলামের নামে এসব হামলা করে তারা ইসলামের শত্রু বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
৩ ঘাতকের পরিচয় প্রকাশ:
হামলাকারী ৩ ঘাতকের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। এদের তিনজনই মুসলিম। একজনের নাম খুরাম শাজাদ ভাট (২৭)। সে পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত। দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম রাশিদ রেদোয়ান। সে মরক্কো ও লিবিয়ান বংশোদ্ভূত নাগরিক। রাশিদ অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তার বয়স ৩০। সে পেশায় ছিলো শেফ। তার প্রকৃত নাম নাম ছিল রাশেড এলখাডর। এই দুজন পূর্ব লন্ডনের বার্কিং এলাকার বাসিন্দা ছিলো। তৃতীয় হামলাকারীর নাম ইউসেফ জাগবা (২২)। সে মরক্কান বংশোদ্ভূত ইতালিয় নাগরিক।
হামলাকারীদের ব্যাপারে আগেই সতর্কতাজারি ছিল:
লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী ৩জনই পূর্ব থেকেই পুলিশ এবং এমআই ফাইভের সন্দেহ তালিকায় ছিলো। এর মধ্যে ইস্ট লন্ডনে বসবাকারী ইতালিয়ান নাগরিক ২২ বছর বয়সী ইউসেফ জাগবা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সন্দেহভাজন তালিকায় ছিলেন। ২০১৬ সালের মার্চে সিরিয়ায় যাওয়ার পথে ইতালির বলঙ্গা এয়ারপোর্টে জাগবাকে আটক করেছিল ইতালিয়ান পুলিশ। তখন তার মোবাইলে আইএস সম্পর্কিত নানান তথ্য পাওয়া গিয়েছিলে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে ইতালিয়ান পুলিশ। ইস্তাম্বুল যাওয়ার পথে আরো কয়েকবার তাকে আটক করা হয়। এরপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বৃহৎ তথ্য ভান্ডারে জাগবার সব তথ্য দিয়ে তাকে ইইউর ওয়াইড সন্দেহভাজন তালিকাভুক্ত করা হয়। তারপরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি ইউকেতে প্রবেশের সময়ও তিনি কোনো বাধার মুখে পড়েননি। এছাড়া হামলাকারী খুরাম ভাটের ব্যাপারেও ২০১৫ সাল থেকে এমআইফাইভ জানত।
বার্কিং মসজিদ থেকে বহিস্কার হয় এক হামলাকারী:
ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়া ইসলাম সমর্থন করেনা এমন বিষয় নিয়ে চিৎকার করার কারনে লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী নিহত ৩ জনের একজনকে ২ বছর আগে বার্কিং জাবির বিন জায়েদ মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়। মূলধারার এক সংবাদ মাধ্যমে এই কথাটি বলেছেন মসজিদের তত্তাবধায়ক। তবে তিনি তার নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য জাবির বিন জায়েদ মসজিদের ইমাম বক্তব্য দিলে সেই বক্তব্যের বিরোধীতা করে ওই ব্যক্তি চিৎকার করে বলতে থাকেন, ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এসময় সে খুব রাগান্বিত ছিলো। তখন তাকে শান্ত হতে বলা হয়। কিন্তু সে চিৎকার করতেই থাকে। এরপর তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। মসজিদের তত্তাবধায়ক আরো বলেন, মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার পর সে বলে, তার উপর জোর খাটানোর অধিকার কারো নেই! এটি আল্লাহর ঘর। সবকিছুর মালিক আল্লাহ! তখন তাকে বলা হয়, হয়তো সে সঠিক তবে এখন এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে যারা তারা এর সিদ্ধান্ত নেবে। মসজিদের তত্তাবধায়ক আরো জানান, অভিযুক্ত লোকটির কোন বন্ধু ছিলো না। সে নামাজের সময় আসতো, নামাজ শেষ করেই চলে যেতো। তাকে দেখতে অশিক্ষিত মনে হতো, এছাড়া তার তেমন কোন ইসলামিক জ্ঞান ছিলো বলে মনে হয়নি।
টেমস নদী থেকে আরেক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার:
লন্ডন ব্রিজ ও বরো মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আরেক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তার নাম মিঃ টমাস। তিনি ফ্রান্স বংশোদ্ভুত নাগরিক। হামলার পর তিনি লাপাত্তা ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে লাইম হাউজ সংলগ্ন টেমস নদী থেকে গত ৫ জুন সোমবার বিকালে উদ্ধার করা হয়।
এনাফ ইজ এনাফ- প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে:
সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে কড়া ভাষণ দিয়েছেন। ৪ জুন রোববার নিজ কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে (এনাফ ইজ এনাফ)। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলার প্রশ্নে, অনেক কিছুই পরিবর্তন করা দরকার। তার বক্তব্য, লন্ডন ব্রিজ হামলা প্রমাণ করে বৃটেনে চরমপন্থা নিয়ে ‘একটু বেশিই সহিষ্ণুতা’ বিরাজ করছে। সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হলে ‘কিছু রূঢ় ও বেশ বিব্রতকর কথাবার্তা’র প্রয়োজন আছে। তিনি সন্ত্রাসবাদীদের সাজা বৃদ্ধি ও ইন্টারনেটে নজরদারি আরোপেরও ইঙ্গিত দেন। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান ও ইন্ডিপেনডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, বৃটেনে সামপ্রতিক তিন সন্ত্রাসী হামলা হয়তো কোনো ‘অভিন্ন নেটওয়ার্কে’র কাজ নয়। তবে সবকিছুই ‘ইসলামী চরমপন্থার এক অশুভ আদর্শ’ থেকে উৎসরিত। অবশ্য, তিনি এ-ও বলেছেন, এই আদর্শ ইসলাম ধর্মের বিকৃত রূপ। ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ আরোপে নতুন বৈশ্বিক চুক্তি করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতে, সাইবার জগতের জন্য নতুন নিয়ম আনা হলে, সন্ত্রাসীরা অনলাইনে নিরাপদ অবলম্বন পাবে না। প্রধানমন্ত্রী আরো অভিযোগ করেন, বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ট করছে না। উল্লেখ্য, লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার মাত্র ১১দিন আগে ম্যানচেস্টারে এক কনসার্টে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২২ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৬৪ ব্যক্তি। এর আগে ২২ মার্চ ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট ভবনে পাশে গাড়ি পথচারিদের ওপার গাড়ি দেয় আত“ঘাতি সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৫০ জন হন।
আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-জন বিগস:
লন্ডন ব্রীজ এলাকায় হামলার পর টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস যে কোন পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহধ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন আঘাতকারীদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্চেছ আমাদের মধ্যে বিভক্তি আনা। কিন্তু লন্ডন এবং ম্যানচেস্টারের বর্বরতা প্রমাণ করেছে হামলাকারীরা কখনোই সফল হবে না এবং এধরনের হামলার কোন যৌক্তিকতা নেই। শনিবার রাতে লন্ডন ব্রীজে হামলার পর এক বিশেষ বিবৃতিতে মেয়র জন বিগস একথা বলেন। বিবৃতিতে মেয়র আরো বলেন, এই নৃশংস ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। এই মুহূর্তে আমাদের সবাইকে শান্ত থাকতে হবে। পাশাপাশি সর্তকতারও প্রয়োজন রয়েছে। যে কোন সন্দেহজনক পরিস্থিতি পুলিশকে জানানোর জন্যও মেয়র অনুরুধ জানিয়েছেন। মেয়র হামলায় নিহতদের আত“ার শান্তি এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করে স্বজন হারানো পরিবারের উদ্দেশ্যে সমবেদনাও প্রকাশ করেন।