স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব দলকে একজোট থাকতে হবে : লন্ডনে মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের আস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ,গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পরে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে দেশকে আবার পথে নিয়ে আসার জন্য এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য।
গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনে রয়েল রিজেন্সি হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ‘ অনুস্টিত এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবার তার দলবল নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে তুলে দিতে। যে মহিলা এক সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই মহিলা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেই মহিলা আজকেও ভারতে বসে দেশের কিভাবে ক্ষতি করা যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কিভাবে বিপন্ন করা যাবে সেই চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তাই এদের কখনো ক্ষমা করা যায় না। তাই পরিষ্কার কথা শেখ হাসিনাকে গণ হত্যার অপরাধে অবশ্যই দ্রুত বিচার হতে হবে। যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার হবে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, পতাকা নামিয়ে আগুন দেওয়া, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ, সিলেট ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে উগ্রবাদী ভারতীয়দের বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান যুক্তরাজ্য সফররত বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এটা কোন ধরনের বন্ধুত্ব? এটা কোন ধরনের প্রতিবেশীসুলভ আচরণ? বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, এমন একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে আহবান জানাই যে, এই বিষয়ে আমরা একমত থাকি একজোট থাকি। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষায় আমরা একজোট হবো, ঐক্যবদ্ধ হবো।
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মহাসচিব বলেন ,আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে এখানে বেশিদিন রাখতে চাই না,আমরা তাঁকে দেশে নিয়ে যেতে চাই। তাঁর নেতৃত্ব আমাদের এখন খুব প্রয়োজন। দেশের মানুষ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে, তারেক রহমান আসবেন আর আসলেই আমাদের শক্তি, আন্দোলন, সংগ্রাম অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের দায়িত্বটা কী? এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, দ্রুত এই জঞ্জালগুলোকে সাফ করে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া। তাঁরা মনে করেন নির্বাচনী ব্যবস্থা, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক ন্যূনতম যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। কারণ, তাঁরা এর আগেও বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা তত বাড়তে থাকবে। তত বেশি গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য গিয়াস আহমেদ, সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, গোলাম রাব্বানী সোহেল, ১ম সদস্য শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন, সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, শেখ শামসুদ্দিন শামিম, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার, কাজী ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, আতিকুর রহমান চৌধুরী পাপ্পু, আবেদ রাজা, এম এ মুকিত, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, খসরুজ্জামান খসরু, গোলজার খান, সুজাতুর রেজা, ড. মুজিবুর রহমান (দপ্তরের দায়িত্বে), আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, হাসনাত কবির খান রিপন, সিনিয়র সদস্য কাউন্সিলার তফজ্জল হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমদ চৌধুরী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ইউরোপ কোঅর্ডিনেটর কামাল উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক আহবায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, সিনিয়র সদস্য শামসুর রহমান মাহতাব, ফখরুল ইসলাম বাদল, এস এম লিটন, এম এ সালাম, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আব্দুস সামাদ, আব্দুল বাসিত বাদশা, বাবুল আহমদ চৌধুরী, মোস্তফা সালেহ লিটন, সালেহ আহমেদ জিলান, কে আর জসীম, জামাল আহমেদ, এডভোকেট খলিলুর রহমান, শাহীন মিয়া, টিপু আহমদ, সেলিম আহমেদ (সহ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মোশাহিদ আলী, তৈয়বুর রহমান হুমায়ুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্দুল মাজিদ তাহের, রাজু আহমদ, মওদুদ আহমেদ, প্রচার সম্পাদক ডালিয়া বিনতে লাকুড়িয়া, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার লিয়াকত আলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক খিজির আহমদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ এনাম তানিম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কামাল মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিপু, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার শামসুজজোহা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ গাজী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সহ প্রচার সম্পাদক মইনুল ইসলাম, তোফাজ্জল আলম, এডভোকেট শারিয়ার কোরেশী, মুক্তাদির আলী, মোঃ তৌকির শাহ, আব্দুল আহাদ, শিবলী শহীদ খুশনবিশ, তুরন মিয়া, কদর উদ্দিন, রাজ্ হাসান, সোহেল আহমদ সাদিক, সৈয়দ মোসাদ্দিক আহমদ, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, মোঃ আরিফ আহমদ, সৈয়দ শামীম আহমদ, সোহেল আহমদ, লুবেক আহমদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ, রুহুল ইসলাম, এনামুল হক লিটন, জসিম উদ্দিন সেলিম, আব্দুল হামিদ খান হেভেন, খালেদ চৌধুরী, ইউনুছ পাঠান বুলু, মিসবাউল ইসলাম বাবু, শরীফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাবু, মির্জা নিক্সন, শরিফুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, আলী আকবর খোকন, মিজানুর ইসলাম মির্জা, সালেহ আহমদ, ফয়সল আহমদ, নূরে আলম সোহেল, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, সুজাত আহমদ, শিশু মিয়া, শারিয়ার রহমান জুনেদ, তপু শেখ, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, মতিউর রহমান চৌধুরী, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ( সহসভাপতি পদ মর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আবুল হোসেন, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার আবুল মনসুর শাহজাহান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য বাবর চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জে লিমন, কেন্দ্রীয় জাসাসের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন সহ যুক্তরাজ্য বিএনপির জোনাল কমিটির সাবেক দায়িত্বশীলদের নেতৃত্বে এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহের জোনাল কমিটির নেতৃত্বে এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগদান করেন ।