লন্ডনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০২৪
লন্ডনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের একটি স্থানীয় হলে যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ও সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ড. খন্দকার মারুফ মোশারফ, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা সায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, তাজুল ইসলাম, আবেদ রাজা, এম এ মুকিত, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হুরায়রা সাদ মাস্টার, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খসরুজ্জান খসরু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ জিলান, এডভোকেট খলিলুর রহমান, মহিলা দলের আহবায়ক ফেরদৌস রহমান, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বাবর চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিম উদ্দিন । আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরের পুরো প্রেক্ষাপট এবং শহীদ জিয়ার সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । ১৯৭৫ সালে সিভিল ও মিলিটারি উভয় সেক্টরে যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল তখনো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শহীদ জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । সিপাহী ও জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা মুক্ত হোন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের নেতৃত্ব দেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন ও ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৯০ সালে দেশের সংকটকালে স্বৈরাচার এরশাদের পতনে ঘটাতে এগিয়ে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দেশকে নিয়ে গিয়ে ছিলেন উন্নয়নের শিখরে। দেশের উন্নয়নের অগ্রজাত্রাকে স্তব্দ করে দিতে দেশি বিদেশী কুচক্রীমহনের সহায়তায়. মইন-ফখর এক এগারো সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে তাবেদারদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এই তাবেদার বাহিনী দেশের মানুষের সকল অধিকারকে পদদলিত করে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশে সৃষ্টি করেছিল এক বিভীষিকাময় পরিস্তিতি। দেশের সর্বত্রই ছিল গুম-খুন, হত্যা-লুন্ঠত আর রাহাজানি। আয়না ঘর সৃষ্টি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সমাজের ভিন্নমতের মানুষের জীবনকে করে তুলেছিল দুর্বিষহ। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে ফ্যাসিবাদের সাম্রাজ ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে, পালিয়ে গেছে ফাসিস্ট মাফিয়া হাসিনা। বর্তমানে দেশ ও জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল চলছে । দেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরা আজও সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। বক্তারা বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের আলোকে সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানান। বক্তারা অভিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সহ সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। সভার শেষে বক্তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিহত সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সাবেক সহ সভাপতি আক্তার হোসেন, উপদেষ্টা ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজ, ঢাকা বিশবিদালয়ের সাবেক সিনিট সদস্য নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মিসবাহুজ্জামান সোহেল, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের কো-অর্ডিনেটর কামাল উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত বাদশা, বাবুল আহমেদ চৌধুরী, আব্দুস সামাদ, শাহিন মিয়া, টিপু আহমেদ, সেলিম আহমেদ(সহদপ্তর সম্পাদক), সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমদ শাহীন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাদল, ইস্ট মিডল্যান্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল্লাহ খান, নিউহাম বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সাউথাম্পটন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনসুরুর রহমান শাহী, লন্ডন নর্থ ওয়েস্ট বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজি এম এ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, কেন্ট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল ইসলাম রুলু, কেমডেন এন্ড ওয়েস্ট মিনিস্টার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ কবির, জাসাসের সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজবির চৌধুরী শিমুল, প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুড়িয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জে লিমন আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার লিয়াকত আলী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আখতার মাহমুদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার শামসুজ্জোহা, ধর্ম বিষয়ক সাম্পাদক আব্দুস শহিদ, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ গাজী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তৌকির শাহ, সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শিবলি শহিদ খোশনবিশ, সহসাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কদর উদ্দিন সহ প্রচার সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, সহ প্রবাসি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আরিফ আহমেদ, সাবেক সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আহবাব হোসেন খান বাপ্পি, সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ সরফরাজ আহমেদ সরফু, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ উদ্দিন ভুঁইয়া বাবু, সাবেক সদস্য আরিফ মাহফুজ, লন্ডন মহানগর বিএনপিরনেতা আব্দুস সালাম আজাদ. আলহাজ্ব মাস্টার আমির উদ্দিন. এম এ তাহের, রোমান আহমেদ চৌধুরী, মাহবুব হাসান সাকিব, তুহিন মোল্লা, সোহেল আহমেদ, মোঃ শাহনেওয়াজ জুয়েল, সিদ্দিকুর রহমান অলি ওয়াদুদ, রুমেল আহমেদ, সৈয়দ আতাউর রহমান, আসমা জামান, শামসুল ইসলাম, হাবিবুল গফফার মুক্তা, আশিক বক্স, আমির হোসেন, শেরওয়ান আলী. করিম মিয়া, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী সাকী, মোঃ আকছার আহমদ, হালিমুল ইসলাম হালিম, মোঃ রফিক আহমদ, মো পারভেজ মিয়া সুজা, আলী আহমদ লিটন মোড়ল, কবির আহমদ, কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নিজাম উদ্দিন, মোঃ জাবেদুর রহমান, হারুন আহমদ. জাহেদুল হক, মোহাম্মদ রুবেল, শফিউল আলম সোহেল, মমিনুল ইসলাম মন্ডল, বাবুল হোসেন ভূঁইয়া, নাছির আহমদ, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হক রাজ, সহসভাপতি দেওয়ান আব্দুল বাছিত, বাকি বিল্লাহ জালাল, আক্তার হোসেন শাহিন, শাজাহান আলম, সানুর মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক নুরল আলী রিপন, এমাদুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তাফা, সাব্বির হোসেন সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আতাউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকমল হোসেন, শেখ সাদেক, আলিফ মিয়া, নুরুল আফসার লিমন প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি