‘জেল হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নজিরবিহীন কালো অধ্যায়’
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৪
জেল হত্যাদিবস উপলক্ষে ‘৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ ফাউন্ডেশন ইউকের’ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকাকেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নজিরবিহীনকালো অধ্যায় যা জাতি চিরদিন মনে রাখবে। এর সাথে জড়িত মাস্টারমাইন্ডদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে না।
গত ৩ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় পূর্ব লন্ডনের কমার্শিয়াল রোডে একটি হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মী এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী রেজাউদ্দৌলা সোহান। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের আজীবন সদস্য ও আইনজীবী ডক্টর আনিছুর রহমান আনিছের পরিচালনায় সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা অভ্যন্তরেজাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এমমনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা গুলিকরে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। তারা সবাই বঙ্গবন্ধুরঅনুপস্থিতিতে একাত্তর সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হত্যাকাণ্ড ছিলনজিরবিহীন। আজ আমরা পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি সেই চার জাতীয় নেতা, স্বাধীনবাংলাদেশের প্রথম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, গণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুরআলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ মঞ্জুরুলইসলাম, ডক্টর আনসার আহমেদ উল্লাহ, শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, ইয়াসমিনসুলতানা পলিন, ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান লেখক ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, মোঃআনা মিয়া, নাট্যকর্মী স্বাধিন খসরু, মোঃ মনিরুজ্জামান, আব্দুল হান্নান,জলিল চৌধুরী, আবু ইউসুফ লিক্সন, ফজলুল হক, আব্দুল শহিদ, রাসিকমিয়া, সিরাজ মিয়া, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম নিউপোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি