গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সভা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমিনুল ইসলাম মুকুল, লন্ডন:: ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সকল মন্ত্রী-এমপি এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (এফআরআই)। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিনের একটি হল রুমে উক্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি রায়হান উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বুরহান উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপ জমিয়ত ও হেফাজতের সভাপতি মুফতী শাহ সদর উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়বে আমির মাওলানা আব্দুল কাদের সালেহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরীর সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শাহিন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্হিত ছিলেন এফআরআই এর সহসভাপতি আবুল মনসুর, আমিনুল ইসলাম মুকুল, মোঃ আব্দুল গফ্ফার শাহিন, সহ সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুনির, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, এম এম ইয়াজদিন, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফান্টু, শিক্ষাও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, তথ্য সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নির্বাহি সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহিন আলম, ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনালের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল জাবির, মোঃ আশরাফুল আলম, মোঃ আখলাক হোসেন, মোঃ তহুর আহমেদ, সুহাইল আহমদ, আব্দুল আলী, মোঃ নাইমুর রহমান, মুজিবুর রহমান, মোঃ জাহেদুল ইসলাম, মেহেদি হাসান রনি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানো স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের সকল মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যা, আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর জনতার মিছিলে পাখির মতো গুলি করে মানুষ খুন, গুম ও নির্যাতনের সাথে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসর প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাদের সহযোগিতায় দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায় প্রবাস থেকে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ্।