‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে ফেরতের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২৪
সিলেট প্রতিনিধি :: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিলেটজুড়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। ইতোমধ্যে তার মুক্তি চেয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাকে ফেরতের জোর দাবি তুলেছেন।
তার নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরেও সরকার পতনের পর বিজয় মিছিলে ইলিয়াস আলীর মুক্তি স্লোগান দেন। তারা বলছেন, ইলিয়াস আলী সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ‘আয়নাঘরে’ বন্দি রয়েছেন।
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস আলীকে সুস্থ্য অবস্থায় মুক্তির দাবিতে সিলেটে নানা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ও মহানগর বিএনপি। এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় একই কর্মসূচি পালন হয়েছে।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, ‘আমার স্বামীকে ফেরত দিন। আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে। দয়া করে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমরা আর কিছুই চাই না। ’ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডিতে ইলিয়াস আলীকে ফেরত চেয়ে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলীসহ যেসকল নেতাকর্মী গুম হয়েছেন তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার জোড় দাবি করছি। পাশাপাশি দীর্ঘ ১৫ বছরে দলের যেসব নেতাকর্মী ও ছাত্রজনতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অভিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। পরদিন মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সরকার ইলিয়াসকে গুম করে রেখেছে। তার মুক্তি চেয়ে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। সিলেটেও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলে দলটি। হরতাল-অবরোধ চলাকালে বিশ্বনাথে পুলিশের গুলিতে মারা যান তিন বিএনপি কর্মী। এক পর্যায়ে আন্দোলন স্থবির হয়ে যায়। থমকে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতাও। এরপরও অপেক্ষার প্রহর গুনেন পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের। সর্বশেষ সিলেট জেলা বিএনপির র্পূনাঙ্গ কমিটিতে তাকে ১ নম্বর সদস্য রাখা হয়। এরআগেও তাকে একই পদে রাখা হয়েছিলো। এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে পরিবার। এতে বলা হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার স্বামীকে অবৈধ ভাবে আটকে রেখেছে।