স্বামীর খোঁজে হবিগঞ্জে পাকিস্তানি যুবতী মাহা বাজোয়ার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
সিলেট প্রতিনিধি:: মাহা বাজোয়ার। পাকিস্তানের নাগরিক। বয়স অনুমান ৩০ বছর। তার বাবা মোহাম্মদ মকসুদ আহামেদ বাজোয়ার লাহোরের বাসিন্দা। মাহা বাজোয়ার স্বামীর খোঁজে এখন চুনারুঘাটে অবস্থান করছেন। স্বামী সাজ্জাদ প্রেমিকা বউয়ের আগমন টের পেয়ে কেটে পড়েছেন। স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসন গেড়েছেন। মাতব্বররা বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রায় ১০ বছর আগের কথা। পাকিস্তানি যুবতী মাহা বাজোয়ার দুবাইয়ের একটি নাইট ক্লাবে চাকরি করতেন।
এই ক্লাবে চাকরি পেয়ে যান সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার। এ সুবাধে সাজ্জাদের সঙ্গে মাহার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চুটিয়ে প্রেম করার পর এক সময় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বেশ সুখেই চলছিল সাজ্জাদ-মাহার সংসার কিন্তু পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি এই নর-নারীর প্রেম-বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তাদের মাঝে দেখা দেয় কলহ-বিবাদ। এক সময় স্ত্রীকে দুবাইয়ে রেখে সাজ্জাদ গোপনে দেশ চলে আসেন। মাহা বাজোয়ার স্বামীকে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।’
এক সময় তিনি জানতে পারেন সাজ্জাদ বাংলাদেশে চলে গেছে। মাহাও কম যান না। তিনি ভিসা নিয়ে গত ৮ই ডিসেম্বর চুনারুঘাটের বড়াইল গ্রামে চলে আসেন এবং তিনি সাজ্জাদের স্ত্রী বলে দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আশপাশের উৎসুক মানুষ সাজাদের বাড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। স্বামীকে না পেয়ে মাহা সাজ্জাদের ভাই স্বপনের ঘরে আশ্রয় নেন। মাহা সাংবাদিকদের জানান, সাজ্জাদ তাকে বিয়ে করেছেন। তারা ২-৩ বছর একত্রে ঘর সংসার করেছেন কিন্তু হঠাৎ সাজ্জাদ তাকে না জানিয়ে পালিয়ে এসেছেন। এর বেশি তিনি বলতে রাজি নন।
একটি সূত্র জানান, বিয়ের পর মাহাকে নিয়ে সাজ্জাদ দেশে এসেছিলেন। তখন বিষয়টা গোপন রাখা হয় তবে ২০১৮ সালে মাহাকে সাজ্জাদ তালাক দিয়েছেন কিন্তু মাহা সেই তালাক মানতে রাজি নন। তিনি স্বামীর সংসার করতে আগ্রহী। সাজ্জাদ আত্মগোপনে থাকার কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
চুনারুঘাট থানার ওসি রাসেদুল হক জানান, মাহা থানায় এসেছিল। তিনি মাহাকে স্থানীয় মুরুব্বিদের কাছে পাঠিয়ে দেন। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক মাতব্বর বলেন, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। সাজ্জাদ মজুমদার চুনারুঘাট পৌর শহরের উত্তর বড়াইলের শফি মজুমদারের পুত্র।