জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ২১৬ রান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
খেলাধুলা ডেস্ক:: চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। বিশ্বকাপ সুপার লীগের এই সিরিজে দুই ম্যাচ জিতলেই পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আর আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বরে উন্নীত হবে টাইগার বাহিনী। এমন সমীকরণে বল হাতে ভালোই শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপে ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে আফগানিস্তান হারিয়েছে সবকটি উইকেট। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১৬ রান।
১ রানে ৩ উইকেট নেই আফগানিস্তানের
দলীয় ১৯৪ রানে ষষ্ঠ এবং সপ্তম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ৪৪তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে গুলবাদিন নায়েব (১৭) এবং রশিদ খানকে (০) আউট করেন সাকিব আল হাসান। দলীয় সংগ্রহে ১ রান জড়ো করতে আরো একটি উইকেট হারায় আফগানরা।
অর্থাৎ, ১৯৫ রানে অষ্টম উইকেট হিসেবে মোস্তাফিজের হাতে ধরা দেন মুজিবুর রহমান। ১ রান করতে তিন উইকেট হারায় সফরকারী দল।
নজিবুল্লাহ-নবী জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরালেন তাসকিন
দলীয় সংগ্রহ শতকের ঘরে পৌঁছতে নিয়মিত বিরতিতে চার উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। ১০২ রানে আফগানদের চতুর্থ উইকেট হিসেবে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে সাজঘরের পথ দেখান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সেই থেকে ৬৫ রানের পার্টনারশিপে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। আফগানদের ইনিংসে যা সর্বোচ্চ জুটি। নবী ২০ বলে ২৪ রানে তাসকিনের উইকেটে পরিণত হলে ভাঙে এই জুটি।
হাফসেঞ্চুরির পথে রয়েছেন ৫৮ বলে ৪১ করা নাজিবুল্লাহ। ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের ১৬৬ রান।
রহমত শাহকে ফেরালেন তাসকিন
পঞ্চম ওভারে নিশ্চিত উইকেট মিস করেছেন তাসকিন আহমেদ। ওভারটির পঞ্চম বলে তাসকিনের বাউন্সি বল লেগে উড়িয়ে মারেন ইবরাহিম জাদরান। বাউন্ডারি লাইনের সামনে দুই হাতের ফাঁক দিয়ে বল ফেলে দিয়ে তাসকিনকে হতাশ করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নিশ্চিত উইকেট মিসে তাসকিনের সেই নাখোশ ঠোঁটে হাসি ফুঁটেছে ২১তম ওভারের শেষ বলে। ক্রিজে সেট ব্যাটার রহমত শাহকে ফিরিয়েছেন তিনি। তাসকিনের বল খেলতে গিয়ে আরেক পেসার মোস্তাফিজের হাতে তুলে দেন রহমত শাহ। ৬৯ বলের ধীর গতির ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
২৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান আফগানিস্তানের।
ক্রিজে রয়েছে হাশমত উল্লাহ শহীদি (১৬) এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান (২)।
আফগানদের প্রতিরোধে শরীফুলের আঘাত
মাত্র ১১ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানিস্তানের ১৭ রানে আরেকটি উইকেট ফেলতে পারতো বাংলাদেশ। তবে তাসকিনের করা পঞ্চম ওভারের ৫ম বলে ইবরাহিম জাদরানের ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জীবন ফিরে পেয়ে রহমত শাহকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জাদরান। দুজন মিলে করেন ৪৫ রান। আফগানদের সেই প্রতিরোধে এবার আঘাত হানলেন শরীফুল ইসলাম। টাইগার পেসারের বল স্লিপে থাকা ইয়াসির আলী চৌধুরীর হাতে তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইবরাহিম জাদরান। ক্রিজ ছাড়ার আগে এই ওয়ানডাউন ব্যাটার ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করেন।
১৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫৬ রান।
ক্রিজে রয়েছেন রহমত শাহ (২৩) এবং অধিনায়ক হাশমউল্লাহ শহীদি (০)।
শুরুতেই মোস্তাফিজের আঘাত
সুপার লীগের অন্তর্ভূক্ত ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতলে লীগ টেবিলের শীর্ষে উঠবে টাইগাররা। আর আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করলে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও হবে উন্নতি। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টারের তোপে দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারালো আফগানরা।
মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফিরলেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১৪ বল খেলে ১টি চার হাঁকান তিনি। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজকে খুলতে গিয়ে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন গুরবাজ।
৪.২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৪ রান। ক্রিজে রয়েছে ইবরাহিম জাদরান (৩) এবং রহমত শাহ (১)।
বোলিংয়ে বাংলাদেশ, ইয়াসিরের অভিষেক
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা।
বাংলাদেশের হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বীর। এর আগে টেস্ট খেলা ইয়াসির সাদা বলে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলের রঙিন পোশাকেও শুরু হল তার যাত্রা।
গত জুলাইয়ে শেষ ম্যাচ খেলার পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছে টাইগাররা। সিরিজের তিনটি ম্যাচই আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), নাজিবউল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ইয়ামিন আহমাদজাই, ফজল হক ফারুকি।