‘ঘুরে এলাম এক স্বপ্নপুরী’
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭
আহমদ ইকবাল চৌধুরী:
শিরোনাম দেখে মনে হবে উন্নত বিশ্বের কোন পর্যটন নগরীর কথা লিখছি। আসলে আমি যে স্বপ্নপুরীর কথা লিখছি- সে আমার দেশ, সে আমার জন্মভূমি। আজকে বাংলাদেশ ভ্রমনের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। এবারের সফরটা হঠাৎ, তাই এমিরেটস টিকেট করলাম, নিজের শহরে সরাসরি যেতে পারছি না বিধায় মনটা কিছুটা খারাপ ছিল। কিন্তু ঐ দিন বিমানের ফ্লাইট সিডিউল বিপর্যয়ের কথা শুনে মনে হল সিদ্ধান্ত নেওয়া খারাপ হয়নি। দুবাই এয়ারপোর্টে তিন ঘন্টার যাত্রা বিরতি, অনেকেরই জানা এ যেন এক অনিন্দ্য সুন্দর এয়ারপোর্ট। সেখানে লন্ডন প্রবাসী ব্যবসায়ী, কমিউনিটি নেতা মাইনুল ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো। খুব কম সময়ে একান্ত আপন করে নিলেন। চেক ইন এ গিয়ে দেখি লম্বা লাইনে দুবাই থেকে আমাদের বাংলাদেশী ভাইয়েরা দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের কারো হাতে ১৫-২০ কেজি ওজনের হাত বেগ, কারো হতে আবার একের অধিক, কেউবা ওজন কমানোর জন্য স্পাইস-চকলেটের পেকেট কোমরে বাঁধছেন, কেউবা আবার একের অধিক জামা-কাপড়, চাদর নিজের শরীরে লাগাচ্ছেন। মাইনুল ভাই এক ভদ্র লোককে জিজ্ঞেস করলেন- আপনারা কেন এসব করছেন? ভদ্রলোক উত্তর দিলেন- দেশে আত্মীয় স্বজন, পরিবার পরিজনের জন্য সবকিছু ভাই। কথা হল তাদের কাজকর্ম ও অর্থ উপার্জন নিয়ে। শুনে রীতিমত বিস্মিত হলাম। যাদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে, জিডিপি বৃদ্ধির মূলে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা নেই। তারা বিনিময়ে সিআইপি বা ভিআইপি হবার স্বপ্ন দেখেন না, নেই তাদের বিশেষ কোন চাওয়া-পাওয়া। একদিকে মালিকের (কফিল) অমানবিক আর্থিক ও মানসিক নির্যাতন, অন্যদিকে আইনী সহায়তার জন্য কনসুলেট অফিসে গেলে অসহযোগিতা, দীর্ঘসুত্রিত ও হয়রানি তাদের প্রবাস জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে। তবুও জীবন যুদ্ধে তাঁরা থেমে নেই। গ্রামীণ অর্থনীতি বা শহরের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আমরা শুধু শিল্পায়ন এবং শিল্পপতিদের অবদানের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলি। কিন্তু মাইক্রো অর্থনীতিতে প্রবাসীদের বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের প্রবাসীদের অবদান যে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা আমরা পারতপক্ষে স্বীকার বা মুল্যায়ন করি না। তাদেরকে যথাযোগ্য মুল্যায়ন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করল। অনেক বছর পর দেশে যাওয়া, তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখবার জন্য মনটা ব্যাকুল ছিল। হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের অবস্থা দেখে মনে হল সত্যিই আমাদের মাঝে একটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। লাগেজ কালেকশন পয়েন্টে আগেকার মত টানাটানি নেই। পাউন্ড নেওয়ার জন্য বাটপার, পকেটমার বা সিন্ডিকেট চক্র নেই। নিরাশার বুকে আশার জয়োল্লাস। সন্ধ্যা প্রায় ৭:১৫ মিনিট। ঢাকায় অসম্ভব যানজট। পার্কিং থেকে মেইন রোডে আসতে প্রায় ৪০ মিনিটের অধিক সময় লেগে গেল। যানজট থেকে মুক্তি পাবার আশায় আমাদের ড্রাইভার ময়মনসিংহ হয়ে সিলেটের দিকে রওয়ানা হলেন। শুরু হল সেই চিরচেনা বাংলাদেশের স্ব- রুপে আবির্ভাব। রাত প্রায় ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার অদূরে কয়েকজন তরুণ আমাদের গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারকে কি যেন বলল। ড্রাইভার দু’শ টাকা তাদের হাতে ধরিয়ে দিলেন। তারা আমাদের গাড়িটি ছেড়ে দিল। আমি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম- ভাই সামনে কি কোনো ব্রিজ, যার জন্য আপনি কি টোল দিলেন? মৃদু হেসে উত্তর-জ্বি-না, ওদের সাথে প্যাঁচাল করে লাভ নেই তাই দিয়ে দিলাম। তখনই সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে মনের ভিতর নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিছুদূর যেতে না যেতেই আবার আরও কয়েকজন তরুণ একটি ট্রাককে ধাওয়া করছে। সাথে আরও কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ভাগ্যিস- আমাদেরকে ছেড়ে দিল। প্রশ্ন হল- আসলে এই এলাকা কি ডিজিটালের আওতামুক্ত? নতুবা এরা ডিজিটাল চাঁদাবাজ। প্রশাসনের যোগসাজশে এরা কোটি কোটি টাকা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে। আমাদের সোনার ছেলেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, সুতরাং পুলিশ, র্যাব চোখ থাকতে অন্ধ। দিনে-দুপুরে এরা নিজের দেশের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। এ যেন এক মগের মুল্লুক। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘ইংরেজরা সভ্য জাতি, আর তাদের সভ্যতার যাতাকলে পৃষ্ট গোটা ভারতবর্ষ’। আর আমি বলব ‘বাংলাদেশীরা সভ্য জাতি, আর তাদের সভ্যতার যাতাকলে পৃষ্ট তাদের নিজ জাতি।’
জরুরি প্রয়োজনে একদিন কুলাউড়ায় গেলাম, ফিরতি পথে টোল দিতে হল। কোন আপত্তি নেই, দেশের উন্নয়নে টোল দিতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়, কিন্তু ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিনা টোলে জামাই আদরে আমার দেশের উপর দিয়ে বীর দর্পে যাচ্ছে, অথচ তাদের টোল দিতে হয় না। একে বলে সভ্যতা! এক মন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন ‘ভারতের কাছ থেকে টোল আদায় করা অসভ্যতা।’ ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু, কিন্তু বিনিময়ে আমরা বন্ধুর কাছ থেকে কী পেলাম?
একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রে বন্ধুত্ব হতে হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে। ১৯৭১ সালে ভারত তাদের সহযোগিতার হিসাব কষেছে খুব ভাল করেই এবং তারা তাদের লভ্যাংশ তখনই তুলে নিয়েছে। আর্থিক বৈদেশিক সাহায্যের ৯০ শতাংশ ভারতের কাছে গিয়েছিল, আরও একটি বড় লাভ ভারতের-যেটি টাকার অংকে নিরূপন করা সম্ভব নয়, আর সেটি হল পাকিস্তানকে দ্বিখন্ডিত করা, দিস ইজ দ্যা ফ্যাক্ট। এটা দেখে হয়ত অনেকে আমাকে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা বলবেন। আজকে মিয়ানমার বিষয়ে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের জন্য একটি সতর্ক বার্তা, আর এ বার্তা যদি আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি, এর খেসারত হাজার বছর দিয়েও শেষ হবে না। সারা বিশ্ব যখন মিয়ানমারের জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে সোচ্ছার, তখন ভারতসহ গুটি কয়েক দেশ তাদের নিজেদের স্বার্থে মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা একেবারে ‘বন্ধু বেঈমান’ সিনেমার মতো। এটাকে যদি আমি পজিটিভলি চিন্তা করি তবে তা হল মোদির আধিপত্যবাদী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতা, কারণ ভারত এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের হারাবার কিছু নেই। ভারত আমাদের প্রতিবশী বন্ধু রাষ্ট্র, ৭১ সালে ভারতের সহযোগিতার জন্য জাতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারতের সামরাজ্যবাদী আগ্রাসী ভূমিকা আমাদের জন্য যে হুমকি, আমাদের রাজনীতিবিদদেরকে বিচক্ষণতা ও দুরদর্শিতার সাথে মোকাবিলা করতে হবে। এই সেই ভারত যারা আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে রণকৌশল প্রশিক্ষণ দিতে চায় এবং সমরাস্ত্র বিক্রি করতে চায়। তারা প্রতিনিয়ত সিমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করেই চলছে। জনৈক মন্ত্রীর ন্যায় অন্ধভাবে কাউকে বন্ধু ভেবে নিজের ভিটে মাটি দিয়ে দেওয়া বা রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার জন্য কাউকে সমূলে নির্মূল করা বা শত্রু ভেবে আজীবন বিরোধিতা করা সমীচীন নয়।
এবার ফেরার পালা। সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ফ্লাইট সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে, তাই ৪টা ৩০ মিনিটে ঘর থেকে বের হলাম। ভোর বেলা মালনীছডা চা বাগানের উঁচু পাহাড় ও আঁকাবাঁকা পথ, এ যেন এক ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে গেল কৈশোরে। স্মৃতিপটে চলে আসে পড়ন্ত বিকেলের লাক্কাতুরা গলফক্লাবে আড্ডা, আজকে যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেখানে কখনও ফুটবল আবার কখনও ক্রিকেট খেলতাম। চারদিকে পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। সত্যিই ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
আমার ছিল বিমানের সাথে সিলেট-ঢাকা কানেকটিং ফ্লাইট। কিন্তু সিলেট থেকে বিমানের সাথে প্রথমেই শুরু হয়ে গেল ডিজিটাল দুর্ভোগ। চেক ইন কাউন্টারে আমাকে বলা হল যে, আপনাকে সম্পূর্ণ লাগেজ এর ভাড়া দিতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার টিকিট কি দেখেছেন? উত্তর হ্যা! তারপরও বলে ভাড়া দিতে হবে। অনেক তর্ক হল দু’জন অফিসারের সাথে। মনে হল এরা এখনও ডিজিটাল হয়নি। নিজের বাড়িতে বিধায় একটু হাস্যরস করে বললাম আপনারা ডিজিটাল না এনালগ? দেশ ডিজিটাল হয়েছে শুনলাম কিন্তু আপনারা হতে পারলেন না, আরেকজন এসে বলল, স্যার মাল একটু বেশি, ‘মরার উপর খরাড় ঘা।’ তখন বলে অতিরিক্ত মালের ভাড়া দিতে হবে। দিনটি শুরু হল সমস্যা দিয়ে। অনেক্ষণ পর বলল- আচ্ছা আপনি যান। পরে লাগেজের ট্যাগে দেখি ২৯ কেজি। আমার লাগেজ এলাউন্স ছিল ৩০ কেজি। বিমান নামক ঐ যন্ত্রটিতে একের পর এক সমস্যা। সিলেট থেকে একই সময়ে দু’টি ফ্লাইট ছিল। একটি ফ্লাইট বাতিল করে সবাইকে একসাথে দিয়ে দিল। শুরু হল এলাহী কান্ড, ছোটবেলা দেখেছি বড় পুরানো বাস সালুটিকর বা জকিগঞ্জ যেত, যাকে আমরা সিলেটী ভাষায় ‘মুরিরটিন’ বলতাম। সৌভাগ্যবশত আমার ফ্লাইট বাতিল হয়নি তাই নিজের সিটে বসে পড়লাম, কিন্তু যাদের ফ্লাইট বাতিল হল তাদের বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না। অব্যবস্থাপনা কাকে বলে তা এত স্বল্প পরিসরে বলা অসম্ভব ।
যেহেতু আমি এমিরেটস এর কানেক্টিং ফ্লাইটের যাত্রী সেহেতু ঢাকায় এসে অভ্যন্তরীণ আগমন দিয়ে আমার লাগেজ কালেকশন করার কথা, প্রায় দু ঘন্টা অপেক্ষার পরও লাগেজের কোন হদিস মেলেনি। এয়ারপোর্টে কিছু লোক অনেক খোজাখুঁজির পরও কোন হদিস পায়নি। তাই নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে সময়মত বর্ডিং পাস নিয়ে নিলাম। এমিরেটস এর কাউন্টারের ভদ্রলোক পুরো ব্যাপারটি শুনে লাগেজ না দেখেই আমাকে লাগেজের জন্য ট্যাগ দিয়ে দিলেন এবং লাগেজ পাওয়ার পর বেলটে না দিয়ে সরাসরি ভেতরে যেতে বলেন। তিনি আমাকে ফ্লাইট ছাড়ার ৪৫ মিনিট আগে আসতে বলেন। যেহতু কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাবে সেহতু তিনি আমার জন্য ভিতরে অপেক্ষা করবেন। তার সার্ভিসে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। দেশী (বিমান) এবং বিদেশী (এমিরেটস) কোম্পানীতে চাকরিরত কর্মকর্তার যাত্রী সেবার পার্থক্য অনুভব করলাম। আমি লাগেজের খোঁজে আবারো চলে গেলাম অভ্যন্তরীণ আগমন কাউন্টারে, সবাই আশান্বিত করে কিন্তু খোজাখুঁজির গতি এতো সৗ যে দু-তিন দিনেও পাওয়া মুশকিল। কেউ আবার বলে ভাই আপনারা কেন বিমানে আসেন। আমি শেষ পর্যন্ত লাগেজের আশা ছেড়ে দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বহির্গমন কাউন্টারে এলাম।
নির্ধারিত সময়ের একটু পরে অর্থাৎ ৭মিনিট দেরী হয়ে গিয়েছিল। ইমিগ্রেশন অফিসার প্রথমেই বলেন আপনি এ ফ্লাইটে যেতে পারবেন না। আমি জিজ্ঞেস করলাম- কেন? বললেন, বাইরে নোটিস দেখেন নাই। আমার দেরী হওয়ার কারণ বুঝিয়ে বললাম। তখন বললেন, এমিরেটস কাউন্টার বন্ধ আপনি যেতে পারবেন না। আমি আমার বর্ডিং পাস দেখালাম, গেইটের কর্মকর্তার বললেন, স্যার বলেছেন আপনি যেতে পারবেন না। অনেক অনুরোধ করলাম। মেদ ভুঁড়িওয়ালা স্যার এলেন। তিনিও আমার উপর চড়াও, আমি যেতে পারব না। কিন্তু ঐ ফ্লাইটের মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রীরা তখনও লম্বা লাইনে ফাইনাল চেক ইন এ দাঁড়িয়ে আছেন। আমার অপরাধ আমি ৭ মিনিট দেরিতে এসেছি। ব্যারিস্টার রিজওয়ানের উপর নির্যাতনের কথা চিন্তা করে নিজেকে সংযত রাখলাম। মনে হল দেশটি আমাদের না। প্রায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পেলাম। এদের প্রফেশনালিজম, ইন্টিগ্রিটিও হিউমানিটি নিয়ে ভাবার বা দেখভাল করার কারো অবকাশ নেই। সার্ভিস বেইস ডিপার্টমেন্টগুলোকে যদি মানবীয় না করে দানবীয় করা হয়, তাহলে মেশিন সর্বস্ব ডিজিটালাইজেশন জনজীবনে কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। জনগণের টাকায় এরাই দেশ-বিদেশে অনেক ট্রেনিং নিয়ে জনগণের প্রতি দানবীয় হয়ে উঠে এবং জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। প্রতিনিয়ত তারা কর্মক্ষেত্রে গ্রস-মিসকন্ডাক্ট করে যাচ্ছে। এয়ারপোর্ট হল দেশের আয়না, যেখানে পা রেখেই একটি দেশ সম্পর্কে নব্বই ভাগ ধারনা পাওয়া যায়। এখানকার মানুষগুলোর মানসিকতা যদি বিশ্ব ডিজিটালাইজেশনের সাথে তাল মিলিয়ে না চলে, তাহলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কর্মক্ষেত্রে শুধু নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে না থেকে মানুষের প্রয়োজনে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এগিয়ে আসতে হবে, ইংরেজীতে একটি কথা আছে ‘গোইং এক্সট্রা মাইল’(জিইএম)।
লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যাংকার