কারস্বার্থে চালু হচ্ছেনা ‘সিলেট-লন্ডন’ সরাসরি ফ্লাইট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০১৭
তাইসির মাহমুদ: দেড় দশক আগে যখন লন্ডন আসি তখন আকাশ পথে বাহন ছিলো বাংলাদেশ বিমান। এরপর বিভিন্ন সময় দেশে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে নয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সে। কারণ অন্যান্য এয়ারলাইন্স নির্ধারিত সময়ে আকাশে ওড়ে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছে। সার্ভিস ভালো। ভাড়াও বিমানের চেয়ে কম। দীর্ঘ পনেরো বছর পর এবার বিমানে বাংলাদেশ গেলাম। কারণ একটিই। লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট। ৯ ঘণ্টায় সিলেট পৌঁছা যায়। ঢাকায় ট্রানজিটে অপেক্ষা করতে হয়না।
২০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল সোয়া ৬টায় ছিলো বিমানের সিলেটগামী ডাইরেক্ট ফ্লাইট। সাধারণত পাঁচটার মধ্যে বিমানের কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। তাই ৫টার অনেক আগে কাউন্টারে পৌঁছতে হয়। সেন্ট্রাল লন্ডনে যানজটে আটকা পড়ায় হিথ্রো এয়ারপোর্টে বিমানের কাউন্টারে পৌঁছলাম ৫টা ৪০মিনিটে। নিশ্চিত ছিলাম ফ্লাইট পাবো না। এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে আসতে হবে। কিন্তু কাউন্টারে পৌঁছে দেখলাম তখনও ১৫/১৬জন যাত্রী ব্যাগেজসহ দাঁড়িয়ে আছেন। অপেক্ষা করছেন বোর্ডিং পাসের জন্য। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। ভাবলাম, সকলের যে গতি আমারও তা-ই হবে। অন্যদের মতোই বেলটে ব্যাগেজ ছেড়ে দিয়ে বোর্ডিং পাস নিয়ে সিকিউরিটি চেকিং শেষে বিমানে ওঠলাম। বাকি যাত্রীরাও কিছুক্ষণের মধ্যে বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে আরোহন করলেন।
যাত্রীবোঝাই বিমান। উড্ডয়নের জন্য একেবারেই প্রস্তুত। হঠাৎ আচমকা ঘোষণা, ‘সম্মানিত যাত্রীসাধারণ আমাদের কিছু যাত্রী দেরিতে আসার কারণে বিমান উড্ডয়নে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হবে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।” ঘোষণাটি প্রথমে বাংলায় পরে ইংরেজিতে দেয়া হলো। যাতে বাঙালি ননবাঙালি সকলেই বুঝতে পারেন। ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও যাত্রীদের উপর দোষ চাপানোর ঘোষণা শুনে হাসি থামাতে পারলাম না। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছি। কিন্তু কোনো এয়ারলাইন্সে এ ধরনের ঘোষণা শুনিনি। বাংলাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন দূরের কথা- কোনো দূরপাল্লার বাসকেও কোনোদিন যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখিনি। সময়ের বাস নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ বিমান এতো দয়ালু যে তারা যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করে। বিষয়টি ভেবে বেশ আনন্দ পেলাম। কিন্তু পাশের সিটের সহযাত্রী ফ্লাইট বিলম্বের গোমর ফাঁস করে দেয়ায় আনন্দ ফিকে হয়ে গেলো। তিনি মুখ ভ্যাংচিয়ে বললেন- দেখুন, অ্যানাউন্সমেন্টের ধরন দেখুন। তারা কাউন্টারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস দিতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। আর এখন ঘোষণা দিচ্ছে যাত্রী দেরিতে আসার কারণে ফ্লাইট দেরি হচ্ছে। আমার বাম পাশে ছিলেন এক শ্বেতাঙ্গ বৃটিশ যাত্রী। ইংরেজি ভাষায় ঘোষণা শেষ হলে হাসতে হাসতে বললেন ‘ইটস রিয়েলি ফানি’। আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, কোনো এয়ারলাইন্স যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে-এটা তো আগে জানতাম না।
সে যাক। আমার লেখার উদ্দেশ্য সিলেটগামী ফ্লাইট নয়। বিষয়বস্তু ফিরতি ফ্লাইট নিয়ে। অর্থাৎ ‘সিলেট-লন্ডন’ ফ্লাইট। যেহেতু প্রায় সাড়ে তিনশত যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বোয়িং এয়ারক্রাফটি সিলেটে সরাসরি অবতরণ করে, তাই ধারণা ছিলো ওই ফ্লাইটই সম্ভবত সিলেট থেকে যাত্রী নিয়ে লন্ডন ফিরবে। হয়তো ঢাকায় ঘণ্টা খানেক থামতে পারে। আর এজন্যই বিমানে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ধারণা যে একেবারেই ভুল ছিলো, তা টের পেলাম ফিরতি ফ্লাইটের দিন। অর্থ্যাৎ পয়লা নভেম্বর ভোর পৌনে ৬টার ফ্লাইটে। ফিরতি ফ্লাইট যখন ভোরে, তখন শহর থেকে ৮০ মাইল দূরের গ্রামের বাড়ি থেকে গভীর রাতে এসে ফ্লাইট ধরা যায় না। তাই বিকেলের আগেই শহরে পৌঁছতে হয়। এক বন্ধুর বাসায় অর্ধরাত্রি যাপন করবো আগেই তাঁকে বলে রেখেছিলাম। তিনি রাতের বেলা ওঠে গাড়ি ড্রাইভ করে আমাকে এয়ারপোর্ট পৌছে দেবেন। যেহেতু ভোর সোয়া ৫টায় ফ্লাইট, তাই দুই ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৩টার মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হবে। আর ৩টার মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হলে বাসা থেকে বের হতে হবে কমপক্ষে আড়াইটার মধ্যে। তাছাড়া হাত-মুখ ধুয়ে চা খেয়ে বের হওয়ার জন্য কমপক্ষে আরো আধাঘণ্টা আগে ঘুম থেকে ওঠতে হবে। অর্থ্যাৎ ঘুম থেকে জাগতে হবে রাত ২টার মধ্যে। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিছানায় গড়াগড়ি করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ঘুম হলোনা। কারণ ২টায় বের হতে হবে। খামাখা একটা দুশ্চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। মোটেও ঘুম হয়না ।
চা-নাস্তা সেরে রাত ২টার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আড়াইটার মধ্যে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছে যাত্রীদের লাইনে দাঁড়ালাম। ঘন্টা খানেক সময় লাগলো বোর্ডিং পাস পেতে। এরপর সিকিউরিটি চেক শেষে কনকোর্স হলে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা। ফ্লাইট এলো যথাসময়ে। ছাড়লোও সময় মতো। ৬টার মধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলাম। ছোট দুটো এয়ারক্রাফটে করে সিলেট থেকে সকল যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হলো। যেহেতু ছোট এয়ারক্রাফটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাই আশংকা হলো, ঢাকায় দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হতে পারে। শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌছে জানতে পারলাম আমাদের ফ্লাইট হবে সাড়ে ১১টায়। অর্থাৎ সাড়ে ৫ ঘণ্টা এয়ারপোর্টে বসে থাকতে হবে। সারারাত একবারও ঘুমাইনি। আগেরদিন দুপুর ১টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। আর পরদিন সকাল সাড়ে ১১টায় ফ্লাইট। ৯ ঘণ্টার লন্ডন ফ্লাইটে ওঠার আগেই ২২ ঘণ্টা ট্রাভেলিং হয়ে গেছে।
করার কিছু নেই। ঘুমে ঢুলুঢুলু দু’চোখ। শুধু আমিই নয়। আমার মতো অবস্থা প্রায় তিন শতাধিক লন্ডন যাত্রীর। এয়ারপোর্টে ঘুমকাতর অবস্থায় পড়ে আছেন। কেউ বেঞ্চে হেলান দিয়ে, কেউ শুয়ে নাক ডাকাচ্ছেন। সকলেই নির্ঘুম, ক্লান্ত-শ্রান্ত। কারণ প্রত্যেককে আমার মতো আগের দিন দুপুরে বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। কেউ মৌলভীবাজার, কেউবা হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ কিংবা সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছেন। শহরে কোনো আত“ীয়ের বাসায় রাত্রিযাপন করেছেন। নতুবা হোটেলে অর্ধরাত কাটিয়ে মধ্যরাতে এয়ারপোর্ট পৌঁছেছেন। সারারাত কোনো ঘুম হয়নি। এখন শাহজালাল এয়ারপোর্টে সাড়ে ৫ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। ভাগ্য মন্দ হলে, সাড়ে ১১টার ফ্লাইট বাতিলও হতে পারে। রাজধানীর কোনো হোটেলে রাত্রিযাপন করে ভাগ্যভালো হলে ফ্লাইট হতে পারে পরদিন। নির্ঘুম রাত্রি কাটিয়ে সকালে ফ্লাইটের জন্য এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করা যে কত কষ্টের তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারার কথা নয়।
এয়ারপোর্টে পৌঁছার পরপর আমরা যখন ট্রানজিটের উদ্দেশ্যে হাঁটছি তখন এক বিমান কর্মকর্তা এসে বললেন, আপনাদেরকে নাস্তা করতে হবে। একটি রেস্টুরেন্ট দেখিয়ে দিয়ে বললেন, আপনার ওইদিকে যান। আমরা বিমানের যাত্রী কিনা নিশ্চত হয়ে ম্যানেজার ভেতরে ঢুকতে দিলেন। ভেতরে গিয়ে নাস্তার জন্য বসে আছি। কিন্তু ওয়েটার এসে বললো, স্যার বিমান থেকে আপনাদের নাস্তার পারমিশন আসেনি। স্যরি আপনাকে নাস্তা দেয়া যাবে না। তার কাছে জানতে চাইলাম, নাস্তার যদি পারমিশন নাই তাহলে রেস্টুরেন্টে নিয়ে আসার অর্থ কী? ওয়েটারকে এমন প্রশ্ন করতেই পাশের টেবিল থেকে ওঠে এলেন আরো এক বিমানকর্মকর্তা। তিনি কোনো কথা না বাড়িয়ে নাস্তা এনে দিতে ওয়েটারকে নির্দেশ দিলেন। তাঁর বদান্যতায় একটা পরোটা আর চা দিয়ে সকালের নাস্তা সারতে হলো। কিন্তু অন্যান্য যাত্রীদের নাস্তা না পেয়ে বেরিয়ে আসতে দেখলাম। এরপর বিমানবন্দরে নাস্তা ও পানি ছাড়া তন্দ্রাচচ্ছন্ন অবস্থায় সকলকে পার করতে হলো দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘণ্টা।
একটি বিষয় গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করলাম, বিমানে যেসকল যাত্রীর সাথে লন্ডন এলাম তার শতভাগই সিলেটী। ঢাকা থেকে বিমানে ওঠেছেন এমন কোনো যাত্রী চোখে পড়েনি। তাহলে একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। বোয়িং এয়ারক্রাফটে করে সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট না দিয়ে কেন এতো ভোরে ছোট ছোট এয়ারক্রাফটে করে ঢাকায় এনে আরো সাড়ে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হচ্ছে। যাত্রী তো সবই সিলেটী। ঢাকায় এনে অপেক্ষায় রাখা হচ্ছে কার স্বার্থে।
তাছাড়া এত ভোরে সিলেট থেকে ফ্লাইট দেয়ার কারণ কী? ফ্লাইটটি যদি দুপুরে কিংবা বিকেলে সিলেট থেকে হতো তাহলে যাত্রীরা গ্রামের বাড়ি থেকে সরাসরি এয়ারপোর্ট এসে বিমানে চড়তে পারতেন। আগের দিন পরিবার পরিজন ফেলে সিলেট শহরে এসে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থাকতে হতো না। থাকতে হতোনা হোটেলে। রাতে এয়ারপোর্ট পৌঁছার রয়েছে নানা ঝুঁকি। গভীর রাতে সিলেট শহর থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় ডাকাত কিংবা ছিন্তাইকারীর কবলে পড়ার আশংকা থেকেই যায়।
জানিনা, কার স্বর্থে সিলেট-লন্ডন ফ্লইট চালু হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে যখন কোনো মন্ত্রী, এমপি লন্ডন আসেন তখন সভা-সমাবেশে প্রবাসীদের জন্য খুব দরদী কথাবার্তা বলেন। বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে রিফিউলিং (বিমানে জ্বালানি বা তেল ভরার প্রক্রিয়া) সিস্টেম চালু না হওয়ার কারণে সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে না। গত দেড় দশক ধরে এই একই বক্তব্য শুনে আসছি। সিলেট এয়ারপোর্ট আগে থেকে অনেক প্রশস্ত হয়েছে। সুশৃঙ্খল ও সুন্দর হয়েছে। দালালদের দৌরাত্ম কমেছে। কিন্তু রিফিউলিং ব্যবস্থা যেনো আলোর মুখ দেখছে না।
লন্ডন থেকে যদি বড় এয়ারক্রাফট ওসমানী বিমানবন্দরে সরাসরি অবতরণ করতে পারে তাহলে ঢাকার পথে উড্ডয়ন করতে অসুবিধা কোথায়? যে ফ্লইটটি লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট অবতরণ করে সেই ফ্লাইটটিই তো যাত্রীবোঝাই করে সরাসরি লন্ডন ফিরতে পারে? সিলেট এয়ারপোর্টে যদি রিফিউলিং ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ঢাকায় পৌঁছে যাত্রীদের বিমানে বসিয়ে রেখে কি রিফিউলিং করা যায় না? কার স্বার্থে, কেন সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে না সেটা বোধগম্য নয়?
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান কর্মকর্তাদের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘‘আপনার বিমানের অফিসাররা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর। বিশেষ করে বহির্বিশ্বের বিমানের স্টেশন ম্যানেজারদের প্রতি বিষোদগার করে বলেছেন, ওরা চোর। ওদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনুন।’’
বছর কয়েক আগে অভিজ্ঞ বৃটিশ কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল যখন বাংলাদেশ বিমানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের চাকরি ইস্তফা দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছিলেন তখন পূর্ব লন্ডনের ওয়াটারলিলি হলে এক সভায় তাঁর সাথে দেখা হয়েছিলো। বিমান নিয়ে তাঁর একটি ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি রাজি হননি। বলেছিলেন, চাকরি ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসার পেছনে এমনসব কারণ আছে যা কখনো বলা যাবে না।
বিমানে উচ্চপদে কর্মরত আমার এক বন্ধুর কাছে কেভিন স্টিলের চাকরি ছেড়ে আসার কারণ জানতে চেয়েছিলাম। তিনি এক কথায় উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিমান একটি সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত। কেভিন স্টিল প্রথম যেদিন এমডি হয়ে বিমানে যোগ দিয়েছিলেন, ওইদিন থেকেই তাঁর বিদায় ঘণ্টা বাজানোর জন্য একটি সিন্ডিকেট কাজ করছিলো। তারা সফল হয়েছে। কেভিন পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। কারণ প্রধানমন্ত্রীইতো বিমানকে ভালো করতে একজন অভিজ্ঞ বৃটিশ কর্মকর্তাকে এমডি করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে ধরে রাখতে পারেননি।
তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনীত অনুরোধ -বিমানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সম্পর্কে আপনি সবচেয়ে ভালো জানেন। আপনি যখনই যুক্তরাজ্যে আসেন প্রবাসীদের অবদানের কথা বলেন। প্রবাসীদের প্রতি আপনি সবসময়ই আন্তরিক। লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইটের মতোই সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এই কাজের মধ্যদিয়েই প্রবাসীদের প্রতি আপনার আন্তরিকতা প্রমাণিত হবে।
তাইসির মাহমুদ: সম্পাদক, সাপ্তাহিক দেশ, লন্ডন।