ডক্টরেট সম্মাননা পেলেন ইকবাল আহমদ ওবিই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ আগস্ট ২০১৭
দেশ, ০৩ জুলাই: ব্রিটিশ বাংলাদেশি শীর্ষ ব্যবসায়ী, সীমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ওবিইকে সম্মানসূচক ডক্টরেট সম্মাননা দিয়েছে মানচেস্টার মেট্রপলিটান ইউনিভার্সিটি। গত ২৬ জুলাই বুধবার মানচেস্টারে ব্রিজওয়াটার হলে আনুষ্ঠানিক অনারারী ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লর্ড পিটার মান্ডেলসন ও প্রায় ১৫শ অতিথি। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ইকবাল আহমদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং মানচেষ্টার সিটির রিজেনারেশন এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
ব্রিটেনে সবচেয়ে ধনাঢ্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইকবাল আহমদ ওবিই ওহ্বহ্যামে তাদের পারিবারিক সুপার মার্কেটকে একটি গ্লোবাল ব্যবসায় পরিণত করেন। ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে আসেন তিনি। যুক্তরাজ্যে এসে ইকবাল আহমদ শুধু এদেশেই বিশাল ব্যবসা গড়ে তোলেননি, বাংলাদেশেও রয়েছে তার ব্যবসায়িক সাফল্য গাঁথা। প্রায় চার হাজার মানুষ কাজ করেন বাংলাদেশে ইকবাল আহমদের কোম্পানীতে। ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইকবাল আহমদ বাংলাদেশে হিমায়িত খাবার রফতানিতে ছিলেন শীর্ষে। এনআরবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ রফতানি ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে একাধিকবার স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
ব্রিটেনে স্বনামধন্য এই ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি আমদানী করে প্রক্রিয়াজাত করে ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। সীমার্ক কোম্পানীর সিইও এবং চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ইউরোপে সর্বপ্রথম ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি আমদানী করেন এবং মানচেস্টার ভিত্তিক এই কোম্পানী রফতানির জন্য ১৯৯৮ সালে ষ্ক্রকুইনস অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সপোর্টম্ব লাভ করে। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্রোজেন সীফুড কোম্পানী সীমার্ক এর প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল আহমদ বিভিন্ন ব্যবসায়িক মহলে ষ্ক্রমি. কিং প্রণম্ব নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবসায় সফলতার জন্যে ইকবাল আহমদকে ২০০১ সালে রাণীর সম্মাননা ওবিই-তে ভূষিত করা হয়।
ইকবাল আহমদ ওবিই যে সিটিতে বাস করেন সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়নে সবসময়েই সাহায্য করে থাকেন। মানচেস্টার রয়েল হাসপাতাল, মানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবে পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও মানচেস্টারে প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ফ্রি হেলদি খাবার কর্মসূচীতে অবদান রেখেছেন ইকবাল আহমদ। পারিবারিক ব্যবসা ক্ষেত্রে ইকবাল আহমদকে সহযোগিতা করেন তার দুই ভাই কামাল আহমদ ও বিলাল আহমদ।