স্টেপনী গ্রীন স্কুলকে একাডেমী করার চেষ্টা রুখে দাঁড়ানোর আহবান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৭
টাওয়ার হ্যামলেটসের ‘স্টেপনী গ্রীন বয়েজ স্কুল’কে একাডেমী করার পরিকল্পনার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার স্থানীয় স্টিফোর্ড কমিউনিটি সেন্টারে ‘প্যারেন্টস কমিউনিটি অ্যালায়েন্স এগেইস্ট স্টেপনী গ্রীন একাডেমী প্রপোজলি’ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ। সভা পরিচালনা করেন শাহজালাল মস্ক এন্ড কালচারাল সেন্টারের ট্রাস্টি আশরাফ চৌধুরী ও কলেকটিভ অব বাংলাদেশী স্কুল গভর্ণসের চেয়ারপার্সন ও টাওয়ার হ্যালেটস প্যারেন্টস সেন্টারের ট্রাস্টি শাহানুর আহমদ খান। সভায় উপস্থিত পিতা মাতা ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সাথে আলোচনা ছাড়া স্কুলকে একাডেমি করতে যাচ্ছে। স্কুলটি একাডেমীতে রূপান্তরিত হলে স্থানীয় কাউন্সিল, অভিভাবক, প্যারেন্টস গাভর্ণরের মতামতের কোনো মূল্য থাকবে না। যদিও ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন এর নিয়ম অনুসারে স্কুলকে একাডেমিতে রূপান্তরিত করার প্রাক্কালে স্কুলের স্টুডেন্ট, অভিভাবক, স্টাফ, সংশ্লিষ্ট স্টেইক হোলডার্স, এমনকি কমিউনিটির সাথে পরামর্শ সভা করে পূর্ণ আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, পিতা-মাতার সাথে প্রকৃত পক্ষে কোন সভা বা ভোটের মাধ্যমে কোন ধরনের মতামত নেওয়া হয়নি। আর স্থানীয় কমিউনিটির সাথে একেবারেই কোন আলোচনা করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ব্যক্তি স্বার্থে এই বয়েজ স্কুলকে একাডেমি করতে যাচ্ছে। প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ স্কুলকে একাডেমিতে পরিণত না করার জোর দাবি জানান। প্রয়োজনে কমিউনিটিকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এর আগে গত ২৭ জুন একই স্থানে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি নেতা মোঃ আজিজুর রহমান। সভা যৌথভাবে পরিচালনা করেন শাহজালাল মস্ক এন্ড কালচারাল সেন্টারের ট্রাস্টি পেরেন্ট আশরাফ চৌধুরী ও কলেকটিভ অব বাংলাদেশী স্কুল গর্ভনরসের চেয়ারপার্সন ও টাওয়ার হ্যামলেটস প্যারেন্টস সেন্টারের ট্রাস্টি শাহানুর আহমদ খান।
এ ব্যাপারে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস এবং এডুকেশন লিড মেম্বার কাউন্সিলার এ্যামি ওয়াইট গির্ভস বলেন, স্কুলের যেকোন পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই অভিভাবক ও কমিউনিটির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত দু’টি সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার আয়াস মিয়া, সিএনএ এর প্রধান মোঃ ছানু মিয়া, স্টেপনী গ্রীন স্কুলের সাবেক স্কুল গভর্ণর আহবাব মিয়া, স্টিফোর্ড সেন্টারের ট্রাস্টি ও চেয়ারপার্সন মোঃ মোস্তফা উদ্দিন, শাহজালাল মস্ক এন্ড কার্লচারাল সেন্টারের ট্রাস্টি নূরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান ও শামীম চৌধুরী, ক্যানসার রিসার্স এর ডিরেক্টর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা আহবাব হোসেন, খয়ের আহমদ, পুরু মিয়া, মোঃ সুলতান হায়দার, নূর উল্লাহ, ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, মোঃ সফিকুর রহমান, আজিজুর রহমান, মোঃ আব্দুল মালিক, আসাওয়ার আলী, মোঃ শামিম, গিয়াস উদ্দিন, আহমদ আলী, অফিসার নজরুল মোস্তফা, খালিক মিয়া, মেইনস্ট্রিম অফিসার আমিনুল হক, এম এ মালেক, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আব্দুর রহিম, সোয়া মিয়া, সৈয়দ তাজুদ মিয়া, কলা মিয়া, মুহিবুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি