‘পুরস্কার ফেরত দেওয়া কোনো সমাধান নয়’
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০১৫
ভারতে উগ্র অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের পুরস্কার ফিরিয়ে প্রতিবাদ জানানোর পন্থাকে সমর্থন করছেন না অভিনেতা কমল হাসান। তিনি জানান, পুরস্কার ফেরালেই সমস্যার সমাধান হবে না।
অভিনেতার মতে, ১৯৪৭ সালে একবার এই অসহিষ্ণুতার জন্য দেশভাগ হয়েছিল, আবার তা হতে দেওয়া যায় না।
ক্রমবর্ধমান উগ্র অসহিষ্ণুতার আবহাওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বুদ্ধিজীবী মহল। সেই প্রতিবাদস্বরূপ, কেউ সাহিত্য অাকাদেমি পুরস্কার তো কেউ পদ্ম-পুরস্কার ফেরত দিয়েছেন। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন দেশের প্রখ্যাত লেখিয়ে, তেমনই রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক, বিজ্ঞানী ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতরা। চিত্র পরিচালকদের মধ্যে সম্প্রতি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দ পটবর্ধন ও নীশিথা জৈন। পুরস্কার ফেরানোর প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছেন শাহরুখ খান ও শর্মিলা ঠাকুরও।
কিন্তু, কমল হাসান ঠিক এর বিপরীত মেরুতে। প্রতিবাদের এই পন্থাকে সমর্থন করেন না বলে এদিন জানিয়ে দিলেন তিনি। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এই খ্যাতনামা অভিনেতা-নির্মাতা বলেন, পুরস্কার ফিরিয়ে কিছুই অর্জন হবে না।
এতে আপনি আখেরে সরকার ও যে সকল মানুষ এত ভালবেসে পুরস্কার প্রদান করেছে, তাঁদের অপমান করছেন। কমল হাসান মনে করেন যে যারা পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন তারা সমস্যার সমাধান চান না বরং আলোচনায় আসার জন্য তা করছেন।
তিনি বলেন, পুরস্কার ফিরিয়ে হয়ত আপনি নিজেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসছেন, কিন্তু তা করার আরও অনেক উপায় আছে। যারা পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা অত্যন্ত প্রতিভাবান। স্রেফ একটা লেখার মাধ্যমেও তাঁরা সমান দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। সহিষ্ণুতা হল দেয়া-নেওয়ার মতো পদ্ধতি। শিল্পীদেরও উচিৎ আরও সহিষ্ণু হওয়া। পুরস্কার রেখেও যে কোনও অসহিষ্ণু সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়া যায় বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। দ্য হিন্দু।